আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (58 points)
edited by
আচ্ছালামু আ'লাইকুম হুজুর,

১. কোনো এক ব্যক্তি তার বন্ধুর কিছু টাকা তাকে না জানিয়ে নিয়ে নেয়, এভাবে সে তার বন্ধুর হক নষ্ট করলো। পরবর্তীতে সে বন্ধুকে উক্ত বিষয় না জানিয়ে শুধু বলেছে, আমি তোর অনেক হক নষ্ট করেছি আমাকে ক্ষমা করে দিস। পরে তার বন্ধু মুখের স্বীকারোক্তি দিয়েছে ক্ষমা করে দিসি। এগুলো আর এমন কি।
প্রশ্ন হলো, এইভাবে উক্ত টাকা এর হক কি মাফ হয়েছে? নাকি ঐ টাকার কথা জানাতে হবে এবং ফেরত দিতে হবে?

২. একবার আমার বন্ধুরা প্রধান কার্যালয় এর সামনে রাস্তার আমের গাছ থেকে আম পেরে নিয়ে আসলে সকলে মিলে খাওয়া দাওয়া হয়। এখন এই রাস্তার গাছের আম খেয়ে কাদের হক নষ্ট করা হলো? সরকারের নাকি জনগণের? আর কিভাবে এর হক আদায় করবো?

৩. ছোট বেলায় আশে পাশের আম গাছ থেকে আম পেরে খেতাম, কখনো হয়তো যাদের গাছ তাদের দৌড়ানিও খেয়েছি, বকা শুনেছি। কিন্তু আম খাওয়ার মাধ্যমে তাদের হক নষ্ট করেছি। কখনো অনেক দূরে দূরে গিয়ে আম পারা হতো আবার অনেক গাছ এখন নেইও আর মালিকদের চিনিও না(কিছু কিছু মালিকদের চিনা আছে)। এখন এই বান্দার হক কিভাবে আদায় করবো?

৪. অনেক বান্দার হক নষ্ট করা হয়েছে; এমনও আছে ওই বান্দাকে চিনি না, তার চেহারাও মনে নেই, তার সাথে আর দেখাও হবে না, এসকল ক্ষেত্রে উক্ত বান্দার হক কিভাবে আদায় করবো?

৫. অনলাইনে বিভিন্ন দ্বীনি কোর্স করা হয়, অনেক কোর্সে দারস গুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর দেখার সুযোগ থাকে না, আবার নতুন করে পেমেন্ট করে নতুন ব্যাচ এর সাথে দারস দেখতে হবে, এতে হয়তো সামান্য বা অনেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে দারস আলোচনার মধ্যে। তো এসকল ক্ষেত্রে আমি আমার ব্যাচ এর দারস গুলো ডাউনলোড করে আমার কাছে রেখে দেই তাহলে কি গুনাহ হবে? যেহেতু ডাউনলোড করার পারমিশন নেই। [[[ডাউনলোড করার উদ্দেশ্য নিজের কাছে সংরক্ষণ করা আর পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম এর জন্য রেখে যাওয়া। বাহিরের কাউকে শেয়ার করা উদ্দেশ্য নেই।]]]

৬. অনেক কোর্স এ যে শুধু রেজিঃ করেছে সেই উক্ত কোর্সের ভিডিও দেখার অনুমতি রয়েছে পরিবারের অন্য কারো দেখার অনুমতি নেই। এতে যদি পরিবারের অন্য কাউকে দেখাই তাহলে কি গুনাহ হবে?

৭. কোনো এক ভাই বললো, সে আগে ফেসবুকে একজন এর পেজ এর কাজ পেয়েছিল, বিনিময় দেওয়া হতো না শুধু বিভিন্ন পোস্ট করে পেজকে সচল রাখতো। সেই ভাই বিভিন্ন adult বা অশ্লীল ছবি ও গান বাজনা পোস্ট করতো যা গুনাহের কাজ। পরবর্তীতে ওই পেজের মালিক একদিন তাকে না বলে ওই পেজ বিক্রি করে দেয় অন্য জনের কাছে। পরে উক্ত ভাই হেদায়েত পায়। এখন সে জানতে চাচ্ছে, সে যে বিভিন্ন পোস্ট করেছিল এর গুনাহ কি সদকায়ে জারিয়া এর মত তার আমলনামায় আসতে থাকবে? যদি তার করা পোস্ট গুলো এখনও থেকে থাকে এবং কেউ সেই পোষ্ট দেখে। ( ভাইটি ওই পেজ খুঁজার চেষ্টা করেছিল মূল মালিককেও জিজ্ঞেস করেছিল কিন্তু পেজের সন্ধান আর পায়নি।) এখন, যদি গুনাহ তার আমলনামায় আসতে থাকে এটা বন্ধ করার উপায় কি তাও যদি বলতেন?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
যেহেতু সেই বন্ধু উক্ত টাকা নেয়ার বিষয় জানেনা,তাই তাকে বিষয়টি জানিয়েই মাফ চাইতে হবে।

(০২)
এটি সরকারী কোনো কার্যালয় হলে এতে সরকারের হক নষ্ট করা হলো।
এখানে সরকারী কোষাগারে অনুরুপ টাকা জমা দিতে হবে।
সম্ভব না হলে  গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।

হ্যাঁ যদি জন সাধারণ দের জন্য সেই গাছের আম খাওয়ার অনুমতি থাকে,তাহলে সমস্যা নেই।

(০৩)
যাদেরকে চিনেন,তাদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
নতুবা টাকা দিতে হবে।
,
আর যাদেরকে চিনেননা,তাদের নামে অনুরুপ টাকা সদকাহ করে দিবেন।

(০৪)
৩ নং জবাব দ্রষ্টব্য।

(০৫)
আপনি বিষয়টি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন।       
আপনি প্রয়োজনের বিষয়টি জানাবেন।
আশা করা যায়,ডাউনলোড সংক্রান্ত অনুমতি পাবেন।

(০৬)
হ্যাঁ গুনাহ হবে।

(০৭)
সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি ঐ পেজ খুজে সেই পোস্ট গুলি ডিলিট করার আপ্রান চেষ্টা করবে।
আপ্রান চেষ্টার পরেও ডিলিট সম্ভব না হলে বা পেজ পাওয়া সম্ভব  না হলে আল্লাহ মাফ করবেন।

কেননা আল্লাহ তায়ালা কাউকে তার সাধ্যাতীত কাজ চাপিয়ে দেননা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (58 points)
১নং উত্তরের জন্য, উক্ত বিষয় বললে হয়তো সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এতে করণীয় কি? 
৫ নং উত্তরের জন্য, তারা অনুমতি দিবে না। এটা তাদের নিয়ম বহির্ভূত। এক্ষেত্রে করণীয় কি?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...