আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

এক বছর আগে আমার বোনের সাথে আমার প্রচুর কথাকাটি হয়।যারা সবসময় আমার ক্ষতি করতে চায় তাদের সাথেই তার সব থেকে বেশি খাতির।না করাতে ঝগড়াঝাটির পর থেকে আমার সাথে আর কথা বলে না,তাই আমিও আর কথা বলি নি।এরপর যখন জানতে পারি আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারীর সাথে আল্লাহ সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন আমি কয়েকবার ওর সাথে কথা বলি।কিন্ত ও বলে নাই।লাস্টবার আমি খুবই অপমানিত হই।বাসায় মেহমানের সামনে ওর সাথে কথা বলার পর ও ও আমার দিকে ফিরেও তাকায় নাই।এই পরিস্থিতিতে ও আমার সাথে নিজে থেকে কথা বলতে না চাওয়া পর্যন্ত যদি আমি আর কথা না বলি আমার কি গুনাহ হবে?

আমি অনেক ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম।এরপর একটা এক্সামে রেজাল্ট খারাপ পর সবাই আমাকে এত অপমান করতো,এত আঘাত করতো আমি রীতিমতো মানসিক রোগী হয়ে যাই।দীর্ঘ পাঁচটা বছর পর আল্লাহ তায়ালা আমাকে অনুগ্রহ করে কিছুটা দ্বীনের বুঝ দেন,আলহামদুলিল্লাহ। ধীরে ধীরে সেই ট্রমা থেকে বের হতে থাকি।এখন এইটা নিয়েও শুরু হয়েছে।কথা বলতে গেলেই এত বেশি আঘাত করে কথা বলে!!এটা এক বা দুইবার না,প্রতিবারেই।আমি যদি সবার সাথে দুরত্ব রাখি মানে আগের বাড়িয়ে না কথা বলি আমার কি গুনাহ হবে?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_220408_185153_952.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1577 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ذَهَبَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ إِلَى أَنَّ دَرَجَاتِ الصِّلَةِ تَتَفَاوَتُ بِالنِّسْبَةِ لِلأَْقَارِبِ، فَهِيَ فِي الْوَالِدَيْنِ أَشَدُّ مِنَ الْمَحَارِمِ، وَفِيهِمْ أَشَدُّ مِنْ غَيْرِهِمْ . وَلَيْسَ الْمُرَادُ بِالصِّلَةِ أَنْ تَصِلَهُمْ إِنْ وَصَلُوكَ؛ لأَِنَّ هَذَا مُكَافَأَةٌ، بَل أَنْ تَصِلَهُمْ وَإِنْ قَطَعُوكَ . فَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُ لَيْسَ الْوَاصِل بِالْمُكَافِئِ وَلَكِنَّ الْوَاصِل الَّذِي إِذَا قُطِعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا
হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম,এবং শাফেয়ী ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,সিলাহ রেহমি আত্মীয়তার স্থরভেদে প্রযোজ্য হবে।মাহরামের তুলনায় মাতা-পিতার জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।আর গায়রে মাহরামের তুলনায় মাহরামের জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।সিলাহ রেহমির অর্থ এটা নয় যে,কেউ আপনার সাথে ভালো ও উত্তম ব্যবহার করল,আর বিনিময়ে আপনিও তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন।কেননা এটার নাম তখন সিলাহ রেহমি না হয়ে  মুকাফা'।বরং আত্মীয় কেউ আপনার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ককে ছিন্ন করার পরও আপনি তার দিকে উত্তম ব্যবহার নিয়ে অগ্রসর হবেন এটাই হলো মূলত সিলাহ রেহমি।যেমন সহীহ বুখারী সহ বিভিন্ন রেওয়াতে এসেছে,সিলাহ রেহমি এটা নয় যে,আত্মীয় কারো ভালো ব্যবহারের বিনিময়ে আপনিও তার সাথে ভালো ব্যবহার করলেন,বরং সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পরও তার সাথে ভালো ব্যবহার করার নামই হলো সিলাহ রেহমি।(৩/৮৪)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি কথা বলার চেষ্টা করেছেন, তাই আপনার পক্ষ্য থেকে সিলাহ রেহমির দায়িত্ব আদায় হয়ে গিয়েছে, এখন তার কথা বলার পূর্ব পর্যন্ত আপনি তার সাথে কথা বলা স্থগিত করতে পারবেন।এতেকরে আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...