আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in সাওম (Fasting) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ সম্মানিত উস্তায,

ওয়াইফ পেগনেন্ট বলে হাসবেন্ড রোজা রাখতে দিতে চাচ্ছেনা,ওয়াইফের কোনো সমস্যা হচ্ছে না রোজা রাখতে কিন্তু হাসবেন্ড কোনমতেই রাখতে দিচ্ছে না রোজা।রোজা রাখলে কথা বলা বন্ধ করে দিচ্ছে।

এই অবস্থায় কি ওয়াইফ রোজা  না রাখতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (684,510 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/14185 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
«وَعَوَارِضُ الصَّوْمِ الَّتِي قَدْ يُغْتَفَرْ ... لِلْمَرْءِ فِيهَا الْفِطْرُ تِسْعٌ تُسْتَطَرْ
حَبَلٌ وَإِرْضَاعٌ وَإِكْرَاهُ سَفَرْ ... مَرَضٌ جِهَادٌ جُوعُهُ عَطَشٌ كِبَرْ» - «حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» 2/ 421)
নয়টি কারণে রোযা না রাখার অুনমোদন রয়েছে, গর্ভ,দুগ্ধপান,জোড়জবরদস্তী,সফর,অসুস্থতা,জিহাদ,অনাহার,পিপাসা,বৃদ্ধ( রদ্দুল মুহাতর-২/৪২১)

গর্ভবতী মা:
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সরাসরি মায়ের খাবার থেকে পুষ্টি পায় না, বরং আম্বিলিক্যাল শিরা দিয়ে মায়ের রক্ত থেকে পুষ্টি পায়। তাই মা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে গর্ভস্থ সন্তান পুষ্টিহীনতায় ভুগবে, এই ধারণা সত্য নয়।
প্রথম ও শেষের ৩ মাস সাধারণত মায়েরা দুর্গন্ধ, বমি, বারবার ক্ষুধা লাগা ইত্যাদি নানারকম অসুস্থতায় ভুগে থাকেন, তাই মায়ের জন্য কষ্টকর হলে এসময় সিয়াম না রাখাই উত্তম, পরে সুস্থ হয়ে কাযা করে নেবেন। তবে দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে (৪ থেকে ৬ মাস) সাধারণত মায়েরা তুলনামূলক সুস্থ থাকেন। তাই মায়ের জন্য কষ্টকর না হলে, এবং সব টেস্টের রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকলে এ সময় নির্দ্বিধায় সিয়াম রাখতে পারেন। তবে কষ্টকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে রোযা না রাখা বা ভঙ্গ করারও অনুমোদন রয়েছে।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কষ্টকর পরিস্থিতির সম্মুখিন না হলে, স্ত্রীর জন্য উচিৎ রোযা রাখা।স্বামীর জন্য রোযা ভাঙ্গা চাপ প্রয়োগ কখনো উচিৎ হবে না। স্ত্রীর তার স্বামীর নির্দেশ মানতেও এখানে বাধ্য নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 492 views
0 votes
1 answer 337 views
...