আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।
১.কাউকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে গেলে এবং দ্বীনি আলোচনা করলে যদি পিতামাতা বাধা দেয় তাহলে কি করা উচিত?
২. মসজিদে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এবং প্রভাবশালী লোকেরা মসজিদ নিয়ন্ত্রন করে। এমন মসজিদে কোন দ্বীনি আলোচনা করলে কিছু লোক তা সহ্য করতে পারে না৷ পিতামাতা এসব শুনলে মসজিদে নামাজ পড়াতে নিষেধ করে( মসজিদের ইমাম না থাকলে) এবং সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে বলে  ।  তাছাড়া নামাজ পড়াতে গেলে কিছু বিদআতি লোক জামাত ছেড়ে চলে যায়। পিতামাতার কথা উপেক্ষা করে ইমামতি করা উচিত হবে? করলে ঘরে ঝগড়া বিবাদ শুরু হবে, অনেক জামেলা হবে।
এমন অবস্থায় কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (589,380 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-
(১)
দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া ফরযে কেফায়া।কিছুসংখ্যক মানুষ আদায় করে নিলে সমস্ত উম্মাহর পক্ষ্য থেকে আদায় হয়ে যাবে।
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
لَا يَحِلُّ سَفَرٌ فِيهِ خَطَرٌ إلَّا بِإِذْنِهِمَا. وَمَا لَا خَطَرَ فِيهِ يَحِلُّ بِلَا إذْنٍ وَمِنْهُ السَّفَرُ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ
যে সফরে ক্ষতির আশংকা থাকবে সে সফর মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত বৈধ নয়।আর যে সফরে ক্ষতির সম্ভাবনা নাই,সে সফর মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত বৈধ।এর মধ্যে একটি হলো,ইলম অন্বেষণের জন্য সফর করা।অর্থাৎ ইলম অর্জনের জন্য সফর করাটা মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীতও বৈধ।................বিস্তারিত জানুন-1707 

সুতরাং দ্বীনী আলোচনা করলে সন্তানের মারাত্বক কোনো ক্ষতি হবে না।এমন পরিস্থিতিতে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব নয়।বরং সন্তান সে দ্বীনী আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে যদি কোথাও দ্বীনী আলোচনা করলে নিজের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়,তাহলে এহেন পরিস্থিতিতে মাতাপিতার অনুসরণ ওয়াজিব।


(২)
ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,
" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।(সহীহ বোখারী-১/২৩০)

ইমাম আহমদ রাহ কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো,যার পিতা তাকে মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে বারণ করে।ইমাম আহমদ রাহ প্রতিউত্তরে বললেন,
" ليس له طاعته في الفرض "
আল্লাহর ফরয বিধানের উল্টো পিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।(গেযাউল আদাব ফি শরহে মনযুমাতিল আদাব-১/৩৮৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
মসজিদে নামায পড়তে পারেন,দ্বীনের দাওয়াতও দিতে পারেন।এক্ষেত্রে মায়ের বিধিনিষেধের পরওয়া করা হবে না।তবে নিজের জীবনের প্রতি হুমকি হয়ে দাড়ালে এক্ষেত্রে আপনি মাতাপিতার আদেশ মানতে বাধ্য।
ইমামতি করলে যেহেতু উম্মাহর মধ্যে ফাতনা হওয়ার অাশংকা রয়েছে।লোকজন কয়েকভাবে বিভক্ত হতে পারে।বিবেধ সৃষ্টি হতে পারে।যা উম্মাহর জন্য ক্যান্সার স্বরূপ।সুতরাং ইমামতি থেকে বিরত থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 252 views
...