ওয়া
আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া ফরযে কেফায়া।কিছুসংখ্যক মানুষ আদায় করে নিলে সমস্ত উম্মাহর পক্ষ্য থেকে আদায় হয়ে যাবে।
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
لَا يَحِلُّ سَفَرٌ فِيهِ خَطَرٌ إلَّا بِإِذْنِهِمَا. وَمَا لَا خَطَرَ فِيهِ يَحِلُّ بِلَا إذْنٍ وَمِنْهُ السَّفَرُ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ
যে সফরে ক্ষতির আশংকা থাকবে সে সফর মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত বৈধ নয়।আর যে সফরে ক্ষতির সম্ভাবনা নাই,সে সফর মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীত বৈধ।এর মধ্যে একটি হলো,ইলম অন্বেষণের জন্য সফর করা।অর্থাৎ ইলম অর্জনের জন্য সফর করাটা মাতাপিতার অনুমতি ব্যতীতও বৈধ।................বিস্তারিত জানুন-
1707
সুতরাং দ্বীনী আলোচনা করলে সন্তানের মারাত্বক কোনো ক্ষতি হবে না।এমন পরিস্থিতিতে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব নয়।বরং সন্তান সে দ্বীনী আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে যদি কোথাও দ্বীনী আলোচনা করলে নিজের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়,তাহলে এহেন পরিস্থিতিতে মাতাপিতার অনুসরণ ওয়াজিব।
(২)
ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,
" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।(সহীহ বোখারী-১/২৩০)
ইমাম আহমদ রাহ কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো,যার পিতা তাকে মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে বারণ করে।ইমাম আহমদ রাহ প্রতিউত্তরে বললেন,
" ليس له طاعته في الفرض "
আল্লাহর ফরয বিধানের উল্টো পিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।(গেযাউল আদাব ফি শরহে মনযুমাতিল আদাব-১/৩৮৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
মসজিদে নামায পড়তে পারেন,দ্বীনের দাওয়াতও দিতে পারেন।এক্ষেত্রে মায়ের বিধিনিষেধের পরওয়া করা হবে না।তবে নিজের জীবনের প্রতি হুমকি হয়ে দাড়ালে এক্ষেত্রে আপনি মাতাপিতার আদেশ মানতে বাধ্য।
ইমামতি করলে যেহেতু উম্মাহর মধ্যে ফাতনা হওয়ার অাশংকা রয়েছে।লোকজন কয়েকভাবে বিভক্ত হতে পারে।বিবেধ সৃষ্টি হতে পারে।যা উম্মাহর জন্য ক্যান্সার স্বরূপ।সুতরাং ইমামতি থেকে বিরত থাকবেন।