আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
218 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (61 points)
আসসালামু আলাইকুম, নবি রাসূলগন দ্বারা কি জ্বীন জাতি হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছে? আর যদি হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে?

 ১২৩৫৬৭৮৮৯০০০৬%৳-(০(;ঃঃঃঃঃঃ৮৮+৯৯৯৯;;--ঃঃ*--++((((((((((৫৮৮৯৯৯৯৯৯৯৯%&'৩৩১৪৮৯০০-+৯০০)০০০০০০৭**&*-++((০*ঃ+৯(০০০)০০-&ঃ৭-৯((&৪&ঃঃ৭*-++৯৯৯৯৯৫৭৮৮৮৮৮৮৮৮+৮+

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/12475 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
জীন জাতির মধ্যে নবী-রাসুল প্রেরিত হওয়ার সপক্ষে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে-
অর্থ-"হে জীন ও মানব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্য থেকে কি রাসুলগণ তোমাদের কাছে আসেনি, যারা আমার নিদর্শন তোমাদের কাছে বর্ণনা করতো ও তোমাদের এ দিনের ব্যাপারে সতর্ক করতো ?" (সূরা- আনআম, আয়াত- ১৩০) ।
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা জীন ও মানব উভয় সম্প্রদায়কে সম্বোধন করে বলেছেন- তোমাদের মধ্য থেকে আমার পয়গম্বর কি তোমাদের কাছে পৌঁছেনি? এতে বোঝা যায় যে, মানবজাতির পয়গম্বররূপে যেমন মানব প্রেরিত হয়েছেন, তেমনি মানব সৃষ্টির পূর্বে জীনজাতির পয়গম্বররূপে জীন প্রেরিত হয়েছেন ।
কিছু সংখ্যক তাফসীরকারকের মতে- মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)-এর আগমনের পূর্বে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের নবী সে সম্প্রদায় থেকে প্রেরিত হতেন । মানব সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গোত্রের জন্য যেমন মানব নবী তদ্রূপ জীন জাতির বিভিন্ন গোত্রের জন্য জীন নবী আগমন করতেন । কেননা, পৃথিবীতে মানব সৃষ্টির হাজার হাজার বছর পূর্বে জীন জাতির অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল । তাহলে তাদের মধ্যে নবী-রাসুল না থাকলে তারা কিভাবে হেদায়েত লাভ করতো?
বিখ্যাত তাফসীরবিদ কাজি সানাউল্লাহ্ পানিপথী (রহঃ) তাফসীরে মাযহারীতে বলেছেন, ভারতবর্ষের হিন্দুরা তাদের বেদের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরনো বলে উল্লেখ করে এবং তাদের অনুসৃত অবতারকে সে যুগেরই লোক বলে উল্লেখ করে । এটা অসম্ভব নয় যে, তারা এ জীন জাতিরই পয়গম্বর ছিলেন এবং তাদেরই আনীত নির্দেশাবলী পুস্তকাকারে সন্নিবেশিত করা হয়েছে । হিন্দু সম্প্রদায়ের অবতারদের যে সব চিত্র ও মূর্তি পাওয়া যায়, সেগুলির দেহাকৃতিও অনেকটা এমনি ধরণের । কারো অনেকগুলো মুখমণ্ডল, অনেক হাত পা, কারো হাতির মত শুঁড় । এগুলো সাধারণ মানবাকৃতি থেকে ভিন্ন । জীনের পক্ষে এহেন আকৃতি ধারণ মোটেও অসম্ভব নয় । তাই এটা সম্ভব যে, তারা জাতির রাসুল কিংবা তাদের প্রতিনিধি ছিলেন এবং এ সকল প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ তাদের নির্দেশাবলীর সমষ্টি ছিল । এরপর আস্তে আস্তে অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের ন্যায় একেও পরিবর্তিত করে তাতে শিরক ও মূর্তিপূজার অনুপ্রবেশ ঘটেছে । (তাফসীরে মারেফুল কুরআন, ৩য় খণ্ড, ৫১৩ পৃঃ) ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...