প্রশ্নঃ
আসসালামুয়ালাইকুম, হযরত আশা করি ভাল আছেন,
মাসআলার উত্তরটি ইমারজেন্সি জানা প্রয়োজন তাই আশা করি হযরত খুব দ্রুতই মাসআলার উত্তরটি প্রদান করে উপকৃত করবেন।
মাসায়ালাটি হল এক স্বামী তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হওয়ায় এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে বলে তোকে ১০০ তালাক দিলাম,এ কথা বলার পরও তারা একসাথে থাকতে থাকে,কিছুদিন পর মেয়ে তার বাবার বাড়িতে বিষয়টি জানায়, বাবার বাড়ির লোক বিষয়টি এক হুজুরের কাছে জানতে চাইলে হুজুর বললো তাদের মাঝে বিবাহ অবশিষ্ট নেই, তারা এখন স্বামী-স্ত্রী না এই কথা জানতে পেরে মেয়ে তার স্বামীকে এব্যাপারে জানালে স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করে কিন্তু স্ত্রী তার স্বামীর সাথে স্বামী-স্ত্রীর আচরণ (সহবাস) থেকে বিরত থাকে,কিন্তু তারা একই ঘরে থাকে এমতাবস্থায় ৪মাস অতিবাহিত হয়ে যায়,
যেহেতু স্ত্রী তার স্বামীর সাথে সহবাস থেকে বিরত থাকে তাই সে তার স্ত্রীকে বলে যেহেতু তুই বলছিস তালাক হয়েছে তাই আমি হুজুর আনতেছি হুজুর বলবে তালাক হয়েছে কিনা, এক হুজুরকে আনা হলো হুজুর বললো আপনাদের মাঝে তালাক হয়নি,আপনার স্বামীর যা বলেছে সেটা গুনা হয়েছে কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি তাই আপনারা একটি বকরি সদকা করে দিবেন,আমি নতুনভাবে বিবাহ করিয়ে দিচ্ছি আপনারা আবার ঘর সংসার করুন কিন্তু স্ত্রী আর বিবাহ বসেনি।
বর্তমানে স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করে কিন্তু স্ত্রী কসম করে তালাকের কথা স্বীকার করে ।
এখন জানার বিষয় হল
১/উক্ত হুজুরের কথা ঠিক আছে কি??
২/স্বামী উক্ত হুজুর আনার দ্বারা কি তালাকের কথা স্বীকার করা বোঝায়??
৩/এখানে তালাক পতিত হওয়ার ক্ষেত্রে স্বামীর কথা গ্রহণযোগ্য হবে নাকি স্ত্রীর কথা???
৪/তাদের মাঝে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে কিনা?? হলে কত তালাক হয়েছে??
৫/যদি তালাক হয়ে থাকে তাহলে স্বামী-স্ত্রী সুলভ আচরণ চার মাস যাবৎ না হওয়ায় তাকে নতুন করে ইদ্দত পালন করতে হবে কিনা??
হযরত এর নিকট আকুল আবেদন এইযে,খুব দ্রুত বিস্তারিত দলিলসহ উত্তরটি প্রধান করে উপকৃত করবেন একটু কষ্ট হলেও উত্তরটি জানালে খুবই উপকৃত হব!!!