উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাকরে বয়স কমিয়ে লিখানো জায়েয হবে না।এটা স্পষ্টত ধোঁকা। আর ধোঁকা দেয়া হারাম।
তবে যদি ঘটনাক্রমে দু বৎসর কম লিখা হয়ে যায়,এবং সেটাকে বদলানো না যায়,তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবে না। চাকুরী নেয়ার ক্ষেত্রে যদি সরকারী নিয়ম থাকে ৩০বৎসরের আর সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপনার বয়স হয় ত্রিশ বৎসর।কিন্তু বাস্তবে বয়স হলো বত্রিশ।তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত চাকুরী গ্রহণ না করাই উত্তম।
,
কেউ উক্ত চাকুরী গ্রহণ করে নিলে যদিও উক্ত কাজ অনুচিৎ হবে,তাকওয়ার পরিপন্থী কাজ হবে।
তবে বেতন ভাতা হারাম হবে না।
,
যদি কেউ ভুল জন্ম তারিখ দিয়ে চাকরি নিয়ে থাকে, তাহলে সঠিক বয়স হিসেবে যে তারিখ পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ, সে পর্যন্ত চাকরি করবে। এর বাইরে চাকরি করবে না। করলে এই্ কাজটি মিথ্যাচারের মধ্যে পড়বে, কারণ তিনি রাষ্ট্রের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।
তবে যদি কেহ তারপরেও চাকরি করে,তার বেতন ভাতা হারাম হবেনা।
,
তবে যদি প্রকৃত জন্ম তারিখ না জানা যায়, সেটা ভিন্ন কথা। অর্থাৎ এ কাজের সাথে নিয়ত যুক্ত। যদি কেউ ইচ্ছে করে এ ধরনের ভুল জন্ম তারিখ দিয়ে থাকে, তাহলে গুনাহ হবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার উক্ত দশ মাসের বেতন হালাল হবে।
বেতনের ক্ষেত্রে সমস্যা নেই।