ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত:
عَن زَيدِ بنِ خَالِدٍ
الجُهَنِيِّ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ
فَطَّرَ صَائِماً، كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ، غَيْرَ أنَّهُ لاَ يُنْقَصُ مِنْ
أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْءٌ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
বাংলা অনুবাদ: যায়েদ ইবনে খালেদ জুহানী রাদিয়াল্লাহু
আনহু হতে বর্ণিত, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে (রোজাদারের) সমান নেকীর অধিকারী হবে। আর তাতে
রোজাদারের নেকীর কিছুই কমবে না।”
[তিরমিযি ৮০৭, ইবনু মাজাহ ১৪৪৬, আহমদ ২১১৬৮, দারেমি
১৭০২]
এছাড়াও এ প্রসঙ্গে ইবনে হিব্বান রহ. তার সহিহতে
বর্ণনা করেন, রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘যে
ব্যক্তি রমজান মাসে তার উপার্জিত হালাল রিজিক হতে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, ফিরিশতাগণ রমজান মাসের প্রত্যেক রাতে তার জন্য
আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। আর কদরের রাতে হজরত জিবরাইল আ. তার সাথে
মোসাফাহা করবেন। আর যার সাথে হজরত জিবরাইল আ. মোসাফাহা করবেন তার অন্তর কাঠিন্যমুক্ত
হবে এবং আল্লাহর ভয়ে কান্নার সময় তার অশ্রু বৃদ্ধি পাবে।’
রোজাদারকে ইফতার খাওয়ানোর ইবাদতের মাধ্যমে আরও
অনেকগুলো ইবাদত পালিত হয়। যেমন, নিমন্ত্রিত
ভাইদের সাথে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের
কারণ। যেমনটি রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘তোমরা মুমিন হওয়া ব্যতিত জান্নাতে যেতে পারবে
না। আর পারস্পারিক ভালোবাসা ছাড়া মুমিন হতে পারবে না। (সহিহ মুসলিম)।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরের হাদীসে রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত বর্ণনা
করা হয়েছে। যে ব্যক্তি রোজা রাখেনি তাকে খাওয়ানোর বিষয়ে নয়। তাই জেনে শুনে যদি যে রোজা
রাখেনি তাকে ইফতার খাওয়ানো হয় তাহলে অবশ্যই তাকে খাওয়ানোর কারণে অনেক অনেক সওয়াব পাওয়া
যাবে। তবে রোজাদারকে খাওয়ানোর ফজিলতটা পাওয়া যাবে না।
তবে যদি না জেনে, যে রোজা রাখেনি তাকে ইফতারী করায় তাহলে আশা করা
যায় আল্লাহ তায়ালা রোজাদারকে ইফতারী করানোর সওয়াব দিয়ে দিতে পারেন। কারণ, আল্লাহ তায়ালা অনেক অনেক দয়ালু।