আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in সাওম (Fasting) by (27 points)
আসসালামু 'আলাইকুম , উস্তায


আমার প্রশ্ন হচ্ছে, একজন ব্যক্তি ইফতারের জন্য অন্যজনকে খাবার পৌঁছে দিলো। যাকে খাবার দেওয়া হলো তিনি সেই খাবার ইফতারের সময় যদি না খায়, ( হয়তো রোজা রাখেনি ইচ্ছাকৃতভাবে কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে, তাই ইফতারের আগেই খেয়ে ফেলেছে) তাহলেও কি সেই ব্যক্তি ইফতার খাওয়ানোর জন্য তার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত:

عَن زَيدِ بنِ خَالِدٍ الجُهَنِيِّ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ فَطَّرَ صَائِماً، كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ، غَيْرَ أنَّهُ لاَ يُنْقَصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْءٌ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

বাংলা অনুবাদ: যায়েদ ইবনে খালেদ জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে (রোজাদারের) সমান নেকীর অধিকারী হবে। আর তাতে রোজাদারের নেকীর কিছুই কমবে না।

[তিরমিযি ৮০৭, ইবনু মাজাহ ১৪৪৬, আহমদ ২১১৬৮, দারেমি ১৭০২]

 

এছাড়াও এ প্রসঙ্গে ইবনে হিব্বান রহ. তার সহিহতে বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি রমজান মাসে তার উপার্জিত হালাল রিজিক হতে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, ফিরিশতাগণ রমজান মাসের প্রত্যেক রাতে তার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। আর কদরের রাতে হজরত জিবরাইল আ. তার সাথে মোসাফাহা করবেন। আর যার সাথে হজরত জিবরাইল আ. মোসাফাহা করবেন তার অন্তর কাঠিন্যমুক্ত হবে এবং আল্লাহর ভয়ে কান্নার সময় তার অশ্রু বৃদ্ধি পাবে।

 

রোজাদারকে ইফতার খাওয়ানোর ইবাদতের মাধ্যমে আরও অনেকগুলো ইবাদত পালিত হয়। যেমন, নিমন্ত্রিত ভাইদের সাথে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের কারণ। যেমনটি রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- তোমরা মুমিন হওয়া ব্যতিত জান্নাতে যেতে পারবে না। আর পারস্পারিক ভালোবাসা ছাড়া মুমিন হতে পারবে না। (সহিহ মুসলিম)।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

উপরের হাদীসে রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। যে ব্যক্তি রোজা রাখেনি তাকে খাওয়ানোর বিষয়ে নয়। তাই জেনে শুনে যদি যে রোজা রাখেনি তাকে ইফতার খাওয়ানো হয় তাহলে অবশ্যই তাকে খাওয়ানোর কারণে অনেক অনেক সওয়াব পাওয়া যাবে। তবে রোজাদারকে খাওয়ানোর ফজিলতটা পাওয়া যাবে না।

তবে যদি না জেনে, যে রোজা রাখেনি তাকে ইফতারী করায় তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা রোজাদারকে ইফতারী করানোর সওয়াব দিয়ে দিতে পারেন। কারণ, আল্লাহ তায়ালা অনেক অনেক দয়ালু।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...