আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
175 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
পাত্রীর বাবা বেশি মোহরানা কাগজে কলমে চায়।কিন্তু পাত্র সব দিতে সমর্থ না।পাত্রীর বাবার কথা যা দিতে পারে দিক কিন্তু তারা বেশিই বাধবে। পাত্রী বুঝানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু মানতে নারাজ তার পরিবার।এই কারণে বিয়ে ও স্থগিত রেখেছে।এক্ষেত্রে করণীয় কি জানালে মুনাসিন হয় ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন-

فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا

অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা : ২৪)

অন্যত্র তিনি বলেন-
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا

এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে। এরপর তারা যদি স্বেচ্ছায় স্বাগ্রহে ছেড়ে দেয় কিছু অংশ তোমাদের জন্য তাহলে তা স্বচ্ছন্দে ভোগ কর।(সূরা নিসা : ৪)
.
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে,
আয়াতে ‘হষ্টচিত্তে’ প্রদানের শর্ত আরোপ করার পেছনে গভীর তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। কেননা, মাহর স্ত্রীর অধিকার এবং তার নিজস্ব সম্পদ হৃষ্টচিত্তে যদি সে তা কাউকে না দেয় বা দাবী ত্যাগ না করে, তবে স্বামী বা অভিভাবকের পক্ষে সে সম্পদ কোন অবস্থাতেই হালাল হবে না। 

মোহরানা সংক্রান্ত আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
https://ifatwa.info/9646/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ
মোহর উভয় মিলেই নির্ধারণ করবে।পাত্রপক্ষ এবং পাত্রীপক্ষ উভয় পক্ষ মিলে সমঝোতার ভিত্তিতে মোহর নির্ধারণ করবে।

মোহর দাতা মূলত পাত্র এবং গ্রহিতা মূলত পাত্রী।এই দুজনের অনুমতিক্রমে উভয়ের পরিবারের লোকজন মোহর নির্ধারণ করবে।

ক্রয়-বিক্রয়ের মত যেকোনো একপক্ষ প্রথমে মোহরের প্রস্তাব দিবে।এবং অন্যপক্ষ মোহরের প্রস্তাবকে গ্রহণ করে নিবে।

যদি পাত্রীপক্ষ বেশী মোহরের দাবী করে,তাহলে পাত্রপক্ষ চাইলে তাদের দাবীকে মানতে পারে,আবার চাইলে মোহরকে কম করারও প্রস্তাব দিতে পারে।এবং সম্ভব না হলে, সেখানে রিশতা না জুড়তে পারে।সেটা পাত্র পক্ষের সম্পূর্ণ নিজস্ব অধীকার।মোহরের আলোচনা উঠার পর যে বিয়ে করতেই হবে,বিষয়টা আসলে এমন নয়,বরং তাদের ভাঙ্গা গড়ার অধীকার থাকবে।

মোহর যতটুকু পরিশোধ করা যায়,ততটুকু হওয়াই কাম্য ও উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...