আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। আরেকটু ক্লেয়ার হয়ে জানার জন্য।

পয়েন্ট ১ঃ**আবার ধরেন কেউ জানে না তাদের কেনায়া তালাক হয়েছে কিনা।সসন্দেহে পড়ে  যায়।ওয়াাওয়াসায় ভুগে।তহ মানসিক শান্তির জন্য আবার বিয়ে করলে কি স্বামী ঠিকি ৩ তালাকের মালিক থাকবে? আর বিয়ে করবে যে সেটা সন্দেহের বসে সেখানেও কি ইদ্দত পালন করতে হবে? সন্দেহ নিয়ে? ধরেন স্বামী জানে না স্ত্রীর সন্দেহের বসে আবার বিয়ে করবে বলতেছে।স্বামীকে বুঝানো সম্ভব না হলেও  ইদ্দত করতে হবে?

পয়েন্ট ২ঃ**আবার কেউ ধরেন সন্দেহ নিয়ে কেনায়া তালাকের আবার বিয়ে করেছে।বিয়ে ওটার পর কেনায়া তালাকের ব্যপারে মনে পড়লে করণীয় কি মানে তালাক হয়েছিল সেটা মনে পড়লে? স্বামী কয় তালাকের মালিক থাকবে?

১।আমি জানতে চেয়েছি ১ নং পয়েন্টে সন্দেহ নিয়ে বিয়ে করার ফলে স্বামী কয় তালাকের মালিক থাকবে? ওরা তহ জানেই না কেনায়া তালাক হয়েছে কিনা মনেও যদি না পড়ে। স্বামী স্ত্রী যদি ধরে নেয় ৩ তালাকের মালিক থাকবে এতে কি সমস্যা হবে? আর মানসিক শান্তির জন্য বিয়ে করলে সেখানে কি ইদ্দত করতে হবে?

২। আবার  সন্দেহের কারনে  বিয়ের পর মনে পড়লে যে কেনায়া তালাক হয়েছিল সেটা।তখন কি আবার বিয়ে করতে হবে?আর তখন ও কি ২ তালাকের মালিক থাকবে?

৩।আমি এসব  প্রশ্ন জানার জন্য করেছি এতে কি আমার বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (564,330 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://ifatwa.info/24797/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
ফিকহের গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হল,
যা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....
ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)
ভাবার্থঃ পূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।(অাল-আশবাহ ওয়াননাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য) 

আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

★★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বামীর কোনটা প্রবল ধারনা?
যদি তার প্রবল ধারনা হয় যে সে আগে কেনায়া বাক্য বলে তালাকের নিয়ত করেছিলো,তাহলে এক তালাক হয়ে থাকবে।
পরবর্তীতে তাকেই আবার বিবাহের পর স্বামী ২ তালাকের মালিক থাকবে।

আর যদি পূর্বে কেনায়া তালাক পতিত হয়েছিলো কিনা, এর উপর সে সন্দেহে থাকে অথবা তার প্রবল ধারনা হয়ে যে এরকম তালাক আগে হয়নি।
তাহলে উভয় ছুরতেই প্রশ্নে উল্লেখিত ক্ষেত্রে স্বামী ৩ তালাকের মালিক হয়ে থাকবে।

(০২)
যেহেতু তারা উক্ত তালাকের পর বিবাহ পড়িয়ে নিয়েছে,এর পরে তো আর তালাক দেয়নি।
তাই এখন নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবেনা। 
এখন সে ২ তালাকের মালিক থাকবে।

(০৩)
এতে আপনার বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
edited by
শায়েখ ১ নং এর উত্তরে বলেছেন স্বামীর ধারনা থাকলে।আসলে এসব কথা স্বামীর যদি মনেও থাকে এমনিতে স্ত্রীর সন্দেহ দূর করার জন্য বিয়ে করবে বলে তাহলেও কি কোন সমস্যা হবে?আসলে স্ত্রীর সন্দেহ এখানে স্বামীর কিছু  মনেও নাই।বিভিন্ন রকম ওয়াসওয়াসা আসে  মনে ওর।স্বামীর বলে যে তালাকের নিয়তে বলে নি।কিন্তুু মেসেজে কথা হত তহ স্ত্রীর সন্দেহ আছে।সে প্রবল ধারনা ও করতে পারতেছে না।একবার মনে হয় হ্যা আরেকবার মনে হয়  না।কারন স্ত্রী কয়েকবার তালাক চেয়েছিল কিন্তুু স্বামী এরপর কেনায়া কিছু বলেছে কিনা মনে নেই ওদের কারো।সন্দেহ আছে সবার।স্বামীর মনেও থাকে না।আবার যখন কেনায়া বাক্য বলেছে এর আগে তালাক চেয়েছিল কিনাও মনে নেই ওদের।মানে সব বিষয়ে অস্পষ্ট।স্বামী শপথ করে  বলেছিল কোনদিন তালাকের নিয়ত ছিল না।সন্দেহে আছে সব নিয়ে প্রবল ধারনা নেই। বিয়ে করলে তহ মানসিক শান্তির জন্য তাহলে তহ স্বামী ৩ তালাকের মালিক থাকবে তাই না?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...