আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in সালাত(Prayer) by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।  শায়েখ,

(১) সূরা নামাযে সূরা গাশিয়াহ তিলাওয়াতের সময় 'উজূহুইয়াওমাইযিন' এর উচ্চারণ 'মুজূহুই...' এর মতো হয়ে গেলে নামায ফাসিদ হবে কি?

(২) নামায ফাসিদ হলে সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য ওই নামাযের পর (যে নামাযে ভুলটি হয়েছিল) ইতোমধ্যে অন্য ওয়াক্তের আদায় করা নামাযগুলোও দোহড়াতে হবে কি?

(৩) নামাযে ক্বিরাআতের কোনো জায়গায় ভুল হলে এরপর যদি সামনের কয়েকটি আয়াত পড়ে ফেলা হয়, তবে সেগুলো পুনরায় পড়তে হবে কি?  না পড়লে অথবা ওই ভুলটা সংশোধন না করলে সাহু সিজদাহ ওয়াজিব হবে কি?
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

« زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ »

“তোমরা সুন্দর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত কর।” [হাদিসটি ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ, নাসায়ী ও হাকেম রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং তা সহীহ]

 শাইখ সালেহ আল ফাউযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,

“قراءة القرآن بالتجويد مستحبة من غير إفراط، وليست واجبة، وإنما الواجب تجويد القرآن من اللحن والخطأ في الإعراب”

“তাজবিদ সহ কুরআন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। তবে এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। এটা ওয়াজিব নয়। বরং ওয়াজিব হল, ইরাব (উচ্চারণ ও প্রকাশ করা) এর ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত করে সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা।”

★যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না।(শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/19542/

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 

https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করা হয়েছে যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126

তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 

(০১)

আপনি যদি নিশ্চিত হোন যে আসলেই আপনি এখানে মিম দিয়ে পড়েছেনে,তথা নিশ্চিত ভাবে যদি আপনি  'মুজূহুই...' পড়ে থাকেন,তাহলে এটি যদি শুদ্ধ না করে থাকেন,তাহলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

উক্ত নামাজ লাহনে জলি হওয়ায় নামাজ শুদ্ধ হয়নি।

★হ্যাঁ যদি বিষয়টি কেবলমাত্র আপনার সন্দেহ হয়,নিশ্চিত নয়,তাহলে এতে নামাজ হয়ে যাবে।   

(০২)   

যদি এ নামাজের কথা স্বরন থাকা সত্ত্বেও তাহা আদায় না করে অন্য ওয়াক্তের নামাজ আদায় করেন,  এক্ষেত্রে অন্য ওয়াক্তের নামাজ গুলি যদি নুন্যতম ৫ ওয়াক্ত হয়ে যায়. ৫ ম ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেলে এসমস্ত নামাজ সহীহ হবে , সেগুলো আদায় করতে হবেনা।  আর যদি ৫ এর চেয়ে কম হয়,আর এসময়ে যদি আপনি সেই আগের নামাজের কাজা আদায় করেন,তাহলে তাহলে মাঝের এগুলো নামাজও আবার আদায় করতে হবে।

(আল ফিকহুল মুয়াসসার  ১৪৯)

(০৩)

এক্ষেত্রে শুধু ঐ ভুল হওয়া স্থান সংশোধন করতে হবে। সব আয়াত পুনরায় পড়তে হবেনা,তবে পড়াটাই ভালো। এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহুর কোনো মাসয়ালা চলবেনা।

যদি লাহনে  জলি হয়,তাহলে সেজদায়ে সাহু দিয়ে কোনো কাজ হবেনা। আর যদি লাহনে জলি না হয়,তাহলে সেজদায়ে  সাহুর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।

মোট কথা এখানে সেজদায়ে সাহুর কোনো মাসয়ালা নেই। সেজদায়ে সাহু দিলে কোনো ফায়দা নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
শায়েখ, আসলে উজূহু পড়ারই নিয়ত ছিল। 

কিন্তু ওয়াও উচ্চারণের সময় বারবার দুই ঠোঁট লেগে যাচ্ছিল। যার ফলে উচ্চারণ মিম এর মতো হয়ে যায়। দুইবার এমন হওয়ায় আর ফিরে পড়িনি। এক্ষেত্রে কি লাহনে জলী হয়েছে?

কষ্ট করে একটু বুঝিয়ে দিলে ভালো হত। জাযাকাল্লাহু খাইরান 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 325 views
0 votes
1 answer 128 views
+1 vote
1 answer 130 views
0 votes
1 answer 99 views
...