জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة ورحمة وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে উল্লেখিত ছুরতে যদি নাতী/নাতনীকে (তাদের বাবা মাইয়্যিতের আগেই মারা গিয়ে থাকলে) সম্পদ দেয়া হলে ওয়ারিশদের উপর জুলুম হবে।
ওয়ারিশরা সন্তুষ্টি চিত্তে মেনে না নিলে সেই সম্পদ নাতী নাতনীদের ভোগ করা দলিল হয়ে গেলেও জায়েজ হবেনা।
(০২)
সুরা নিসার ১১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۱﴾
আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্বন্ধে নির্দেশ দিচেছন: এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু শুধু কন্যা দুইয়ের বেশী থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ভাগ, আর মাত্র এক কন্য থাকলে তার জন্য অর্ধেক। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ; সে নিঃসন্তান হলে এবং পিতা-মাতাই উত্তরাধিকারী হলে তার মাতার জন্য তিন ভাগের এক ভাগ; তার ভাই-বোন থাকলে মাতার জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ; এ সবই সে যা ওসিয়াত করে তা দেয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও সন্তানদের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা তোমরা জান না । এ বিধান আল্লাহর; নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার চাচা ফুফু তো আপনার মৃত দাদীর সন্তান।
সুতরাং আপনার দাদী মারা গেলে মৃত ব্যাক্তির ছেলে মেয়ে সন্তানেরা যেভাবে সম্পদ পায়,আপনার দাদীর সম্পদ হতে আপনার ফুফু চাচারাও সেভাবেই সম্পদ পাবে।
এক চাচা সমপরিমাণ দুই ফুফু হিসেবে সম্পদ বন্টম হবে।
(০৩)
আপনি নামাজে কিরাআত, তাসবিহ,তাকবির ইত্যাদি মনোযোগ দিয়ে এমন ভাবে জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করবেন,যাতে তিলাওয়াতের আওয়াজ আপনার নিজ কানে আসে।
এভাবে কিরাআত, তাসবিহ,তাকবির ইত্যাদি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আর এহেন সমস্যা হবেনা,ইনশাআল্লাহ।