আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

একজন মেয়ে বৈবাহিক সম্পর্ক ব্যতীত সন্তানসম্ভবা হয়েছিলো।যখন সেই সন্তানের জন্ম হয়, তখন সেই মেয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বাচ্চাটাকে রাস্তায় ফেলে দিবে। পরে,,,,সেই সন্তানকে এক দম্পত্তি দত্তক নিয়ে নেয়। সেই সন্তানের কোন পিতৃ পরিচয় নেই অর্থাৎ সেই সন্তানের আসল পিতা কে কেউ জানে না।

এবং, আরও দুইটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো-
★সেই দম্পতির সাথে দত্তক নেওয়া সন্তানের কোন দুধ সম্পর্ক স্থাপন হয়নি।
★সেই দত্তক নেওয়া সন্তানের আসল মা বর্তমানে বিবাহিত।

এখন,প্রশ্ন হলো:

১/ বিয়েতে নিজের আসল পিতার নাম দেওয়া লাগে,নাহলে বিয়ে সম্পন্ন হয় না.... সেক্ষেত্রে সেই দত্তক নেওয়া সন্তানের বিয়ের সময় পিতার নাম কি দিবে?

[বি:দ্র: দত্তক নেওয়া সন্তানের মায়ের সাথে  সেই দম্পতির কোন প্রকার যোগাযোগ নেই। একে-অপরকে চিনেও না এবং একে-অপরকে দেখেও নাই।]

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/11771/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছে,   
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
""বিয়েতে নিজের আসল পিতার নাম দেওয়া লাগে,নাহলে বিয়ে সম্পন্ন হয় না""

এটি সঠিক নয়।
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার শর্তাবলির মধ্যে এটি অন্তর্ভুক্ত নয়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মেয়ের বিবাহে তার বাবার নাম।না নিলেও কোনো সমস্যা হবেনা।
বিবাহ হয়ে যাবে।

যদি নিকাহ রেজিষ্ট্রী করতে গিয়ে এটির প্রয়োজনীয়তা পড়ে,তাহলে দত্তক যে দম্পতি নিয়েছে,সম্মানের খাতিরে তার নাম দিতে পারে।
তবে এটি বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় কিছু নয়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...