সাহরী শেষ সময়ের আগেই ব্রাশ করে পরবর্তীতে ফজরের ওয়াক্তে ফজর সালাত আদায় করে ঘুমানো ভালো।
এতে হজম হতে সুবিধা হয়,হজম ভালোভাবে হলে আল্লাহর রহমতে রোযা অবস্থায় পেটের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
শরীয়তের বিধান হলো রোযা রাখা অবস্থায় পেষ্ট দিয়ে ব্রাশ করা মাকরূহে তানজিহী তথা অনুত্তম একটি কাজ।
তবে এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
হ্যাঁ যদি পেষ্টের ফেনা গলার ভিতরে চলে যায়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
মাকরূহ হবার কারণ হল, পেষ্টের মাঝে এক প্রকার তীব্র ঝাঁজ থাকে, যা মুখের ভিতর স্বাভাবিকভাবে ব্রাশ করার সময় প্রবেশ করে থাকে। তাই এটি অপছন্দনীয়। কিন্তু ফেনা ভিতরে না গেলে রোযা ভাঙ্গবে না। কিন্তু ফেনা ভিতরে চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
{ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৪১; জাওয়াহিরুল ফিকহ ৩/৫১৮রদ্দুল মুহতার ২/৪১৫-৪১৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০৪; হিদায়া ১/২২০)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দিনের বেলা আপনি মিসওয়াক করতে পারেন।
এটাও করা যেতে পারে,যে সাহরী শেষ করেই ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিস্কার করলেন,আর সারাদিন প্রতি নামাজের আগে মিসওয়াক করলেন।
,
হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ، مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ.
মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা, রবের সন্তুষ্টির মাধ্যম। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ২৮৯; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ১৩৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১০৬৭
ওয়াসিলা ইবনুল আসকা রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
أُمِرْتُ بِالسِّوَاكِ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ يُكْتَبَ عَلَيَّ.
আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেয়া হয়েছে। আমার আশঙ্কা হতে লাগল, না জানি তা আমার উপর ফরয করে দেয়া হয়। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬০০৭