আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in সাওম (Fasting) by (10 points)
Assalamu Alaikum.
Sehri sheshe brush kore salat aday kore vore ghumano valo naki jege thaka ? Mane uttom konta ?

R sokale ghum theke uthe ki paste die brush kora jabe naki roja makeup hoye jabe ? Acidity er problem er jonno brush na korle bela 12 /1 ta porjonto kemon jeno bomi bomi vab hoye thake, kotha bolte iccha hoyna.....

Jazakumullahu khair

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সাহরী শেষ সময়ের আগেই ব্রাশ করে পরবর্তীতে ফজরের ওয়াক্তে ফজর সালাত আদায় করে ঘুমানো ভালো।
এতে হজম হতে সুবিধা হয়,হজম ভালোভাবে হলে আল্লাহর রহমতে রোযা অবস্থায় পেটের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।   

তবে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ থেকে গেলে সেটি ভিন্ন কথা। 

(০২)
https://ifatwa.info/9316/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 
শরীয়তের বিধান হলো রোযা রাখা অবস্থায় পেষ্ট দিয়ে ব্রাশ করা মাকরূহে তানজিহী তথা অনুত্তম একটি কাজ। 
তবে এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। 

হ্যাঁ  যদি পেষ্টের ফেনা গলার ভিতরে চলে যায়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

মাকরূহ হবার কারণ হল, পেষ্টের মাঝে এক প্রকার তীব্র ঝাঁজ থাকে, যা মুখের ভিতর স্বাভাবিকভাবে ব্রাশ করার সময় প্রবেশ করে থাকে। তাই এটি অপছন্দনীয়। কিন্তু ফেনা ভিতরে না গেলে রোযা ভাঙ্গবে না। কিন্তু ফেনা ভিতরে চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। 
{ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৪১; জাওয়াহিরুল ফিকহ ৩/৫১৮রদ্দুল মুহতার ২/৪১৫-৪১৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০৪; হিদায়া ১/২২০)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
দিনের বেলা আপনি মিসওয়াক করতে পারেন।
এটাও করা যেতে পারে,যে সাহরী শেষ করেই ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিস্কার করলেন,আর সারাদিন প্রতি নামাজের আগে মিসওয়াক করলেন।
,  
হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- 
السِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ، مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ.
মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা, রবের সন্তুষ্টির মাধ্যম। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ২৮৯; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ১৩৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১০৬৭

ওয়াসিলা ইবনুল আসকা রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
أُمِرْتُ بِالسِّوَاكِ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ يُكْتَبَ عَلَيَّ.
আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেয়া হয়েছে। আমার আশঙ্কা হতে লাগল,  না জানি তা আমার উপর ফরয করে দেয়া হয়। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৬০০৭


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...