আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
742 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
সুতি কাপড়, কিন্তু তার উপর রেশমি সুতা দিয়ে কাজ করা জামা বা পাঞ্জাবী পরা ছেলেদের জন্য হারাম হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পুরুষদের জন্য রেশমি কাপড় পরিধান করা নাজায়েজ তথা অবৈধ। 
 তবে যদি কোনো কাপড়ে ৪ আঙ্গুল থেকে কম রেশমি কাপড়ের দিয়ে নকশা করা হয়,তাহলে তা জায়েজ আছে। 
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৩০১)
۔
হাদীস শরীফে এসেছে   
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنّٰى حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلٰى قَالَ خَرَجْنَا مَعَ حُذَيْفَةَ وَذَكَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تَشْرَبُوا فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلاَ تَلْبَسُوا الْحَرِيرَ وَالدِّيبَاجَ فَإِنَّهَا لَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَلَكُمْ فِي الآخِرَةِ.
ইবনু আবূ লাইলা  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা হুযাইফা -এর সঙ্গে বাইরে বের হলাম। এ সময় তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কথা আলোচনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা স্বর্ণ ও রৌপ্য পাত্রে পান করবে না। আর মোটা বা পাতলা রেশম বস্ত্র পরিধান করবে না। কেননা, এগুলো দুনিয়াতে তাদের অর্থাৎ অমুসলিমদের) জন্য ভোগ্যবস্তু। আর তোমাদের জন্য হল আখিরাতের ভোগ্য বস্ত্ত। [বুখারী ৫৬৩৩,৫৪২৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১১৮)
۔
وَقَالَ عَاصِمٌ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ قُلْتُ لِعَلِيٍّ مَا الْقَسِّيَّةُ قَالَ ثِيَابٌ أَتَتْنَا مِنْ الشَّأْمِ أَوْ مِنْ مِصْرَ مُضَلَّعَةٌ فِيهَا حَرِيرٌ وَفِيهَا أَمْثَالُ الأُتْرُنْجِ وَالْمِيثَرَةُ كَانَتْ النِّسَاءُ تَصْنَعُه“ لِبُعُولَتِهِنَّ مِثْلَ الْقَطَائِفِ يُصَفِّرْنَهَا.

وَقَالَ جَرِيرٌ عَنْ يَزِيدَ فِي حَدِيثِهِ الْقَسِّيَّةُ ثِيَابٌ مُضَلَّعَةٌ يُجَاءُ بِهَا مِنْ مِصْرَ فِيهَا الْحَرِيرُ وَالْمِيثَرَةُ جُلُودُ السِّبَاعِ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ عَاصِمٌ أَكْثَرُ وَأَصَحُّ فِي الْمِيثَرَةِ.

আসিম আবূ বুরদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আলী -কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কাসসী’ কী? তিনি বললেন, এক প্রকার কাপড়- যা শাম সিরিয়া) অথবা মিসর থেকে আমাদের দেশে আমদানী হয়ে থাকে। চওড়া দিক থেকে নক্শী করা হয়, তাতে রেশম থাকে এবং উৎরুনজের মত তা কারুকার্যখচিত হয়। আর মীসারা এমন বস্ত্র, যা স্ত্রী লোকেরা তাদের স্বামীদের জন্যে প্রস্তুত করে, মখমলের চাদরের মত তা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। জারীর ইয়াযীদ থেকে বর্ণনা করেন, তাঁর বর্ণনায় আছে- কাসসী হচ্ছে নক্শী বস্ত্র যা মিসর থেকে আমদানী হয়, তাতে রেশম থাকে। আর মীসারা হলো হিংস্র জন্তুর চামড়া।


مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا
  سُفْيَانُ عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ مُعَاوِيَةُ بْنُ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ نَهَانَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ الْمَيَاثِرِ الْحُمْرِ وَالْقَسِّيِّ.
৫৮৩৮. বারাআ ইবনু ‘আযিব হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের লাল বর্ণের মীসারা ও কাসসী পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। [১২৩৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩০৮)
۔
قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سُوَيْدِ بْنِ مُقَرِّنٍ عَنْ الْبَرَاءِ قَالَ أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ عَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ وَالدِّيبَاجِ وَالْقَسِّيِّ وَالإِسْتَبْرَقِ وَالْمَيَاثِرِ الْحُمْرِ.

বারাআ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাতটি বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেনঃ রোগীর শুশ্রুষা, জানাযায় শরীক হওয়া এবং হাঁচিদাতার জবাব দান।
আর তিনি আমাদের সাতটি হতে নিষেধ করেছেনঃ রেশমী বস্ত্র, মিহিন রেশমী বস্ত্র, রেশম মিশ্রিত কাতান বস্ত্র, মোটা বস্ত্র এবং লাল ‘মীসারা’ বস্ত্র পরিধান করতে। [বুখারী ১২৩৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৫৪২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৩১৯)
۔
 
عن عمر رضي اللّٰہ عنہ أن النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم نہی عن لبس الحریر إلا ہٰکذا، ورفعَ رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم إصبعیہ: الوُسطیٰ والسبابۃ وضمَّہما۔ (صحیح البخاري ۲؍۸۶۷ رقم: ۵۸۲۹ دار الفکر بیروت، صحیح مسلم ۲؍۱۹۲ رقم: ۱۲-۲۰۶۹ بیت الأفکار الدولیۃ)
যার সারমর্ম হলো  হযরত ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত আছে রাসুল সাঃ রেশম কাপড় পরিধান করা থেকে নিষেধ করেছেন,কিন্তু এতটুকু অংশ। 
২ আঙ্গুল সমপরিমান।
অন্য হাদীসে এসেছে 
عن عمر رضي اللّٰہ عنہ أنہ خطب بالجابیۃ، فقال: نہی رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم عن لبس الحریر إلا موضع إصبعین أو ثلاثٍ أو أربعٍ۔ (صحیح مسلم ۲؍۱۹۲ رقم: ۱۵-۲۰۶۹ بیت الأفکار الدولیۃ، سنن أبي داؤد ۲؍۵۶۰ رقم: ۴۰۴۲، سنن الترمذي، أبواب اللباس / باب ما جاء في الحریر والذہب للرجال ۱؍۳۰۲ رقم: ۱۷۲۱)
হযরত ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত আছে রাসুল সাঃ রেশম কাপড় পরিধান করা থেকে নিষেধ করেছেন,কিন্তু এতটুকু অংশ। 
২ আঙ্গুল সমপরিমান।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি রেশমের সুতার কাজ যদি অনেক অল্প হয় যে সেটা একত্র করলে চার আঙ্গুল এর পরিমান থেকে কম হয়,তাহলে তা জায়েজ আছে।
অন্যথায় জায়েজ নেই।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...