ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
ওযু সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ۚ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল
ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। সূরা মায়েদাহ, আয়াত নং-৬
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ دَعَا بِإِنَاءٍ، فَأَفْرَغَ عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَمِينَهُ فِي الإِنَاءِ فَمَضْمَضَ، وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مِرَارٍ، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ".
হুমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ‘উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে
নিলেন। এরপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক
পরিষ্কার করলেন। তারপর তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দু’হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন।
তারপর উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি
আমার মত এ রকম উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে, তারপর দু রাক‘আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পেছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৬১
ওজুর ফরয চারটি যথাঃ-
(১) চুলের গুড়া থেকে তুথনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে
অন্য কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মূখ ধৌত করা।
(২) উভয় হাত কনুই সহ ধৌত করা।
(৩) উভয় পা টাখনু সহ ধৌত করা।
(৪) মাথার এক চতুর্তাংশ মাসেহ করা।
ওযু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/6410
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি নাকে পানি দিয়ে নাক ঝেড়ে ফেলবেন।
আর এটা সর্দি লাগলেও সম্ভব। অত:পর নাক পরিষ্কার হয়ে গেলে তখন নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত
পানি দিবেন। আর স্বাভাবিক ভাবে সর্দি লাগলেও
নাকের অগ্রভাগে অর্থাৎ নরম জায়গা পর্যন্ত পানি
পৌছানো সম্ভব। প্রয়োজনে হাতের আঙ্গুলে করে হলেও পানি দিবেন।
২. হ্যাঁ, ওযুর ফরজগুলো শুধু
আদায় করলেও ওযু হয়ে যাবে এবং সেই ওযু দিয়ে নামাজ ইত্যাদি পড়াও যাবে। তবে পানি বেশী
থাকলে এমনটা না করা।
৩. সাধারণত এমন ময়লাগুলো চামড়াতে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি করে না। কারণ,
এগুলো আবরণ জাতীয় না যেমনটা নেইল পালিশ ইত্যাদি। তাই এ জাতীয়
ময়লা থাকাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আপনি যথা সম্ভব ঘষে ঘষে ওযু গোসল করার চেষ্টা করবেন।
যাতে পানি পৌছানো নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকে।