আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
313 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (109 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।

১,সর্দি লাগলে ওযু গোসলে নাকে পানি দেবার নিয়ম বা বিধান কি হবে? যদি এক নাক বন্ধ থাকে,বা উভয় নাক।কারণ তখন পানিত উপর দিক টানা যায়না।

২,অযুতেত নাকের ভেতর পানি দেয়া সুন্নাহ,কেউ পানি স্বল্পতার কারণের অযুর সুন্নাহ যেমন নাকের ভেতর পানি দেয়া গুলা বাদে শুধু ফরজ আদায় করে হবে?

৩,আমার পায়ের তালু হাতের তালুর মত রেখা আছে। যা তুলনামুলক বড়।এসব রেখার মাঝে, মাঝে মাঝে ময়লা বা এজাতীয় কিছু আটকে থাকে।আমি অযু করে সালার আদায় করে দেখি পায়ের পাতায় এমন।যেহেতু রেখার মাঝে তাই এটি অতিক্ষুদ্র।আমি অযুতে পা ঘষে ঘষে ধুইনি।পরের ওয়াক্তের নামাজের জন্য অযু করলাম দেখলাম এমনি পানিতে ময়লা চলে যায়নি ঘষলে সেই ময়লা চলে গেসে।এখন সন্দেহ হচ্ছে আগের অযু ও সালাত ভ্যালিড ছিল কিনা,তাচামড়ায় প্রতিবন্ধকতায় ছিল কিনা।


এসব নিয়ে অনেক সমসগা সন্দেহ ও ওয়াসোয়াসায় আছি কিছুদিন পর পর সমস্যা হয়, এখন যেমন এটা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

ওযু সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ۚ

হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। সূরা মায়েদাহ, আয়াত নং-৬

 হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ دَعَا بِإِنَاءٍ، فَأَفْرَغَ عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَمِينَهُ فِي الإِنَاءِ فَمَضْمَضَ، وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مِرَارٍ، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ".

হুমরান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি উসমান ইবনু আফফান (রাঃ)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। এরপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দুহাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। তারপর উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমার মত এ রকম উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে, তারপর দু রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পেছনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৬১

 

ওজুর ফরয চারটি যথাঃ-

(১) চুলের গুড়া থেকে তুথনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মূখ ধৌত করা।

(২) উভয় হাত কনুই সহ ধৌত করা।

(৩) উভয় পা টাখনু সহ ধৌত করা।

(৪) মাথার এক চতুর্তাংশ মাসেহ করা।

 

ওযু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/6410  

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি নাকে পানি দিয়ে নাক ঝেড়ে ফেলবেন। আর এটা সর্দি লাগলেও সম্ভব। অত:পর নাক পরিষ্কার হয়ে গেলে তখন নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি দিবেন।  আর স্বাভাবিক ভাবে সর্দি লাগলেও নাকের অগ্রভাগে  অর্থাৎ নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছানো সম্ভব। প্রয়োজনে হাতের আঙ্গুলে করে হলেও পানি দিবেন।

২. হ্যাঁ, ওযুর ফরজগুলো শুধু আদায় করলেও ওযু হয়ে যাবে এবং সেই ওযু দিয়ে নামাজ ইত্যাদি পড়াও যাবে। তবে পানি বেশী থাকলে এমনটা না করা।

৩. সাধারণত এমন ময়লাগুলো চামড়াতে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না। কারণ, এগুলো আবরণ জাতীয় না যেমনটা নেইল পালিশ ইত্যাদি। তাই এ জাতীয় ময়লা থাকাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আপনি যথা সম্ভব ঘষে ঘষে ওযু গোসল করার চেষ্টা করবেন। যাতে পানি পৌছানো নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 208 views
...