আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১,যেসব ইবাদত শর্ত যুক্ত মানে, ৩৩ বার পড়তে হবে, ৭বার পড়তে হবে, ইত্যাদি এই ইবাদাত গুলো করার সময়  যদি শর্ত না মানা হয় মানে ভূলে ৩৪ বার পড়া হলে বা ৮/৯ বার পড়া হলে এটা কী আদায় হবে। ৩৩ বার পড়ার যে ফজীলত সেটা কী পাওয়া যাবে। যেহেতু সংখ্যা তে তারতম্য ঘটেছে?
২,কিছু উলামায়ে কেরাম বলেন মেয়ে বা বোনের বাড়িতে  প্রচলিত ইফতারী প্রথা অনুযায়ী ইফতারি দেয়া উত্তম, কারন এতে নাকি বোনের মান সম্মান বাড়ে, অন্যদিকে কিছু উলামায়ে কেরাম বলেন এগুলা ঠিক নয়, খাওয়া ও ঠিক নয়, অনেকে আবার হারাম ও বলেন, কোনটি সঠিক  বিস্তারিত জানতে চাই?
৩,কিছু বইয়ে দেখলাম চাশতের নামাজ চার রাকাত করে পড়তে হয়, কিছু বইয়ে দুই রাকাত করে, আবার কিছু বইয়ে যাওয়াল দুই রাকাত করে আবার কিছু বইয়ে চার রাকাত করে, এখন আমরা কীভাবে পড়ব?
৪,কোনো পন্য থেকে লাভ করার কোনো নিদৃষ্ট সীমা কী  ইসলাম  দিয়েছে নাকি যোতোটুকু ইচ্চা লাভ করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1104 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
মোটকথাঃ
কিছু দু'আ র বেলায় হাদীসে সংখ্যার উল্লেখ রয়েছে।সুতরাং সেগুলোকে উক্ত সংখ্যায় পড়াই সুন্নাত।অন্যদিকে কিছু দু'আ এমন রয়েছে যেগুলোতে সংখ্যার উল্লেখ আসেনি।সুতরাং সেগুলো কে বিশেষ কোনো সংখ্যা দ্বারা আখ্যায়িত করা,বা উক্ত সংখ্যার সাথে জরুরী মনে করা ঠিক হবে না।এমনকি বাড়াবাড়ি করলে বেদ'আত পর্যন্ত হুকুম আসবে।
হ্যা পূর্ববর্তী কিছু নেককার বান্দাগণ(সালাফে সালেহীন) তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু সংখ্যার পরামর্শ দেন বা পদ্ধতির পরামর্শ দেন,সেগুলোকে জরুরী বা সুন্নত মনে না করে আ'মলে নেয়া যেতে পারে।তবে এক্ষেত্রে এমন মনোভাব রাখতে হবে যে,উক্ত সংখ্যা বা পদ্ধতি আমাদের উদ্দেশ্য নয় বরং আমাদের উদ্দেশ্য হল, বেশী বেশী করে পড়া।কিন্তু কতটুকু পড়ালে বেশী হবে?সেটা তো আমরদের জানা নেই।তাই নেককার বান্দাদের পরামর্শকৃত একটা সংখ্যা বা পদ্ধতিকে আপাতত আমরা বেশীর মানদন্ড হিসেবে ধরে নিচ্ছি।এবং সাথে সাথে নিজেকে খালিছভাবে আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করছি।হয়তো এই বেশী পড়ার মনোভাব থাকায় আল্লাহ আমাদের দু'আ কে কবুল করে নিতে পারেন।জাযাকুমুল্লাহ।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যে সমস্ত দু'আ এবং দুরুদ সংখ্যার সাথে বর্ণিত রয়েছে, সেগুলোকে সংখ্যার সাথেই পড়তে হবে।নতুবা পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না।

(২)
নিজের খুশীতে মেয়ে বা বোনের বাড়ীতে ইফতারি দেয়া যেতে পারে। বোনের মানসম্মান কে লক্ষ্য করে দিলেও কোনো সমস্যা নেই।তবে দ্বীনের অংশ মনে করা যাবে না।করলে বিদ'আত হবে।

(৩)
https://www.ifatwa.info/1929 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সালাতুদ-দোহা/ চাশতের নামাযের ফযিলতঃ
হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس بن مالك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من صلى الضحى ثنتي عشرة ركعة بنى الله له قصرا من ذهب في الجنة.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি চাশতের ১২রা'কাত নামায পড়বে,আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে স্বর্ণের একটি প্রসাদ নির্মাণ করে দেবেন।(সুনানু তিরমিযি-৪৭৩)

সালাতুদ-দোহা/চাশতের নামাযের সময়ঃ
চাশতের নামায যা ফুকাহায়ে কেরামদের নিকট সালাতুয-যুহা নামে পরিচিত, এ নামাযের সময়সূচী সম্পর্কে  দুররুল মুখতারে বর্ণিত আছে,
(وَ) نُدِبَ (أَرْبَعٌ فَصَاعِدًا فِي الضُّحَى) عَلَى الصَّحِيحِ مِنْ بَعْدِ الطُّلُوعِ إلَى الزَّوَالِ وَوَقْتُهَا الْمُخْتَارُ بَعْدَ رُبُعِ النَّهَارِ.
وَفِي الْمُنْيَةِ: أَقَلُّهَا رَكْعَتَانِ وَأَكْثَرُهَا اثْنَيْ عَشَرَ، وَأَوْسَطُهَا ثَمَانٍ
ভাবার্থঃ বিশুদ্ধতম মতানুযায়ী চার রাকাত বা তার চেয়ে বেশী সালাতুয-যুহা (চাশতের নামায)পড়া মুস্তাহাব।সূর্যোদয়ের পর থেকে নিয়ে যাওয়ালে সূর্য বা মাথার উপর থেকে সূর্য পশ্চিমদিকে হেলিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সময়ে ভিতর। উত্তম হচ্ছে দিনের এক চতুর্থাংশ চলে যাবার পর পড়া।মুনয়া কিতাবে বর্ণিত আছেসর্বনিম্ন ২রাকাত ও সর্বোচ্ছ ১২ রাকাত এবং মধ্যম হচ্ছে ৮ রাকাত।(দুররুল মুখতার-২/২২) ২থেকে ১২ রাকাত যে কোনোটা পড়া যাবে। (ফাতাওয়া রহিমিয়্যাহ-৪/৮৩, কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/৩৬৩)

(৪)
অন্যর জুলুম হয়, এই পরিমাণ লাভ করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 162 views
0 votes
1 answer 223 views
...