ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
গোসলের ফরয ১১টি।
(১)মুখ ধৌত করা।
(২)নাক ধৌত করা।
(৩)সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই। কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে গেছে।কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪)খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়,তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫)নাভি ধৌত করা।
(৬)শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো, যা বুঁজে যায়নি।
(৭)পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো, এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই।তবে মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো ফরয নয়।
(৮)দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯)গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০)ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১)যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/229
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অযুতে বা ফরজ গোসলে কেউ নাকের ভেতর পানি না ঢুকিয়ে শুধু বহিরাংশ ধৌত করে নিলে এবং শুধু মুখের দৃশ্যমান ঠোট ভিজিয়ে নিলে গোসল হবে না। শরীর পবিত্র হবে না।
(২)
গড়গড়া অর্থ এমনভাবে কুলি করা যে, গলার অগ্রভাগে পানি পৌছবে তবে গলার ভিতরে পানি পৌছবে না।রমজান ব্যতিত অন্য সময়ে গড়গড়া করে কুলি করা এবং নাকের নরম জায়গায় পানি পৌছানো ফরয।
(৩)
আপনি নাভির ভিতরের অংশকে ধৌত করবেন। যেহেতু পানি না পৌছা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত নন, বরং পৌছতেও পারে এবং না পৌছতেও পারে, তাই আপনার গোসল হয়নি, সেটা বলা যাবে না।তবে সতর্কতামূলক পূর্ববর্তী নামাযকে কাযা করে নেয়াই উত্তম যদি কাযা করা সম্ভবপর হয়।