আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা শায়েখ।আমি জানার জন্য আবার প্রশ্নটা করলাম

কোন স্ত্রী যাকে এখনো নামিয়ে নিয়ে যাই নি তার স্বামী।স্বামীর কোন গোপন কথা স্বামী স্ত্রীকে বলে মাফ চেয়েছে। তহ স্ত্রী রাগ করে কস্ট পেয়ে বলে যে আমি মা বাবার সাথে কথা বলে সিদ্বান্ত নিব কি করব সেটা।স্ত্রীর মনে বিচ্ছেদ এর চিন্তা আসলেও বলে নি।সে জানে স্বামী কেনায়া বাক্য বললে তালাক হবে তখন। আর সেও চাই স্বামীর সাথে থাকতে।কথাটা বলার পর স্বামীও বলতেছে যা সিদ্ধান্ত নিবা ভেবে চিন্তে নিবা।স্বামীর মনেও ভয় কোন স্ত্রী তাকে ছেড়ে দিবে কিনা সেটা ভেবে।স্বামীও চাই না স্ত্রীকে ছেড়ে দিতে।ওদের মেসেজে কথা হয়।এরপর আরো কথা হয়। এরপর স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বললে কি তালাক হবে? স্ত্রীও তালাক চাই নি।স্বামীও না।তাও অনেক পরে স্বামী বলেছে এই কথা গুলো বলার পর পর নয়।আমি শুনেছি মেসেজে স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর পর কেনয়া বাক্য বললে তালাক হয় যে আরো কথা হওয়ার পর বললে নিয়ত ছাড়া তালাকের তখন হয় না।একটু বুঝিয়ে বলবেন শায়েখ।মানে ছেড়ে দিবে এইরকম কোন কথা হয় নি।স্বামী স্ত্রীকে জিগ্যেস করেছিল আমাকে ছাড়া থাকতে পারবা? স্ত্রী বলে বেচে থাকব মরব না।স্বামী আরো কান্না করেছিল কেমনে থাকতে পারবা বলছ আমাকে ছাড়া এই সেই।স্বামীর মনে ভয় কোন স্ত্রী স্বামীকে ছেরে দিবে কিনা সেটা।আর কেনায়া কথা গুলো পর পর ও হয় নি।মেসেজে কথার ফাকে ফাকে বলেছে।স্ত্রীও চাই নি তালাক মনে মনে ভাবলেও।স্বামীও তালাক দিবে সেরকম কিছু বলে নি।কথার ছলে কেনায়া বাক্য বলেছিল নিয়ত ছাড়া তালাকের।আর মেসেজে তহ তালাকের  মজলিস ও হয় না।আসলে ভুলবুঝাভুঝি হয়েছিল স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে।পুরো একদিন চলে ঝগড়া।ওরা কেউ কাউকে ছাড়তে চায় না।

**আরেকটা প্রশ্ন এটা এমনিতে জানার জন্য।কোন স্ত্রী এত না বুঝে ঝগড়ার সময় তালাক চাইলে।স্বামী যদি ধমক সরুপ বলে আর যদি এসব কথা বল বা আর যদি চাও অসুবিধা হবে বা ভাল হবে না।স্ত্রী যদি পরে আবার চাই তাহলে কি তালাক হবে? স্বামী এসব তালাকের নিয়তে বা বলে ধমক সরূপ বললে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণই অস্পষ্ট। প্রথম কথা হল, স্ত্রী কখনো স্বামীকে তালাক দিতে পারেনা।এবং কেনায়া তালাক নিয়ত ব্যতিত পতিত হয় না। আপনি অন্যকিছু জানতে চাইলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...