আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in সাওম (Fasting) by (1 point)
আসসালামু'আলাইকুম,

আমার বোনের প্রথম বাচ্চা পেটে থাকা অবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়েছিল।তখন তার তিন বেলা করে ইনসুলিন নেয়া লাগত।যার কারনে সে ঐ বছর রোজা রাখতে পারিনি।পরের বছরও রোজা রাখতে পারিনি কারন বাচ্চার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ও ইনসুলিন নেয়া লাগত।পরের বছর গুলোতে ফরজ রোজা আর কাযা যায়নি।কিন্তু শারিরীক অসুস্থতার কারণে আগের কাযা রোজাগুলো আদায় করতে পারিনি।কিছু দিন আগে তার দ্বিতীয় বাচ্চা হয়েছে।এ বছরও সে রোজা রাখতে অসমর্থ কারন ডায়াবেটিস,আর বাচ্চা বুকের দুধ খায়।এমতাবস্থায় আমার বোন আগের কাযা রোজা সাথে এবছরে যে কাযা রোজা হবে তার কাফফারা আদায় করতে চাচ্ছে।সে কীভাবে আদায় করবে?

1 Answer

0 votes
by (583,050 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/13998 নং ফাতাওয়ায় আমরা লিখেছি যে, রোযা রেখে ইঞ্জেকশন গ্রহণ করা যাবে। এতে রোযা নষ্ট হবে না।
ইনজেকশনের শরয়ী হুকুম বুঝতে হলে প্রথমে দু’টি বিষয় বুঝতে হবে। যথা-
১-ইনজেকশনের পদ্ধতিটি কি রোযায় কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে কি না?
২-কোন উদ্দেশ্যে ইনজেকশন দেয়া হচ্ছে? মাকসাদের ভিন্নতার কারণে ইনজেকশনের হুকুমে কোন ভিন্নতা আসবে কি না?

ইনজেকশনের পদ্ধতি
বিজ্ঞ ডাক্তারদের বক্তব্য ও বাস্তব অভিজ্ঞতার দ্বারা একথাই প্রমাণিত যে, ইনজেকশন কয়েকভাবে দেয়া হয়। যেমন-
ক-গোস্তে ইনজেকশন দেয়া।
খ-চামড়া ও গোস্তের মাঝামাঝি ইনজেকশন দেয়া।
গ-সরাসরি পেটে।
ঘ-অধিকাংশ সময় রগের মাঝে দেয়া হয়।

এবার ভাবার বিষয় হল-এ চার ধরণের ইনজেকশনের হুকুম কি?
এর সহজ জবাব হল-ইনজেকশন চাই রগে দেয়া হোক, যেমন সাধারণত রোগীদের দেয়া হয়, বা চামড়া বা গোস্তে দেয়া হোক, বা পেটে দেয়া হোক যেমন কুকুর কামড়ালে পেটে ইনজেকশন দেয়া হয়, এ সকল সুরতে হুকুম হল এসব কারণে রোযা ভঙ্গ হবে না।ইনজেকশনের ব্যাপারে জমহুর ওলামাদের রায় এটাই যে, এর দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয় না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা বলবো, আপনার বোন রোযা রাখবেন, সাথে সাথে তিনি ইনসুলেন দিবেন, এবং সতর্কতামূলক প্রত্যেক রোযার একটি করে ফিদয়া তথা ৭০ টাকা সদকাহ করে দিবেন।আর সামর্থ্য না থাকলে দেয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। না বুঝে কমেন্ট করবেন


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...