আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
আমি বসেই প্রসাব করি, তবে আমার এক ভাই কমোডে টয়লেট করায় আমার কাছে ঘৃণা লাগছিল, তাই দাড়িয়ে করতেছিলাম৷ সকালে ঘুম থেকে উঠছি, তাই চোখে ঘুম ঘুম ভাব৷ তখন প্রসাব করতে যেয়ে মনে হল প্রসাব ছিটে ডান চোখে লাগছে বলে৷ আমি দাঁড়িয়েছিলাম, কমোডের উচ্চতা থেকে ছিটে কিভাবে চোখে লেগেছে বা আসলেই লেগেছে কিনা সিওর ছিলাম না৷ আবার ঘুম ঘুম চোখে আয়নাতে তাকিয়ে কিছু চোখে পড়েনি৷ তাও কিছু টিস্যু নিয়ে চোখের উপর বুলালাম, যদি লাগে তবে যাতে উঠে যায়৷ বাইরে পরীক্ষা দিতে বের হব৷ তাই ভাবলাম, পরে গোসল করলে চোখ ধুয়ে নেবো (লেগেছে কিনা নিশ্চিত না)


পরে বাইরে রাস্তায় ডান চোখে ময়লা যাওয়ায় ডান হাতের কনুই দিয়ে চোখ ডলা দি৷ ডলা দেয়ায় চোখের ভিতর থেকে পানি আসছিল হয়ত, ডলা দিলে যা আসে৷ বাসে থাকায় আর গরম আবহাওয়াতে শার্ট ভাজ যায়৷ আর হাতের কনুইয়ের পাশের অংশসহ সব ঘামে ভিজে যায়৷ এরপর পরীক্ষা দিতে যেয়ে যতবারই হাতের কনুই বা নিচের অংশ যতবার খাতার পরে পড়ছে মনে হচ্ছে সব নাপাক হয়ে গেছে৷ এমনকি বের হয়ে হাতে থাকা কলম ধুয়ে দি৷ আমি নাপাক নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করি৷ অনেক শুচিবায়ু সমস্যা৷ পরে ভাবি বাসায় এসে চোখ, শরীর শার্ট, বেল্ট সব ধুয়ে দেবো৷ যেহেতু ভেজা হাত শরীরে লাগছে। আর পুরো ডানসাইডটা নাপাক বলে মনে হচ্ছিল৷ এমনকি হাতে থাকা ফাইল, একপাশ প্যান্টে লাগায় সেপাশ ধরিনি৷
কিন্তু পরে ভাবি এটা হয়ত বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে৷ আমি নাপাক নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে ফেলছি৷ কারণ চোখে লেগেছে কিনা সিওর না, আর লাগলে সেটা এত কম যে আয়নায় দেখতে পাইনি, আর চোখে পানি থাকলে যেমন অনুভব হয়, তেমন হয়নি৷ আবার চোখ টিস্যু দিয়ে প্রাথমিকভাবে মুছে নিয়েছিলাম৷ তাই কনুই দিয়ে চোখ ডললেও নাপাক আসবার কথা না, থাকলেও তা খুব খুব কম৷ পানিতে এক ফোটা নাপাক পড়লে সব নাপাক হয়ে যায়, তবে এভাবে ডলে পরিস্কার করলে নাপাক হয়ত ছড়িয়ে পড়ে না৷ সব মিলিয়ে পুরো বিষয়টা আমার কাছে পরে ওয়াসওয়াসা মনে হয়েছে৷ তাই চোখে নাপাক লাগার বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়ায় পুরো বিষয়টা এড়িয়ে গেলাম৷ ওয়াসওয়াসা হিসেবে ধরে নিয়ে এটা এড়িয়ে যাওয়া কি ঠিক হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (714,640 points)
edited by

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ}
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
চোখে প্রস্রাবের ছিটা পড়েছে বলে যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে ইয়াকিন বিশ্বাস হবে না। সামান্য সূয়ের আগা সমপরিমাণ প্রস্রাবের ছিটা কাপড় বা শরীরে লাগার কারণে কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,640 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 47 views
0 votes
1 answer 70 views
...