আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
আমার আম্মা আব্বা আমার কাছ হতে কোন খেদমত নিতে চান না। দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে আমি চেষ্টা করি তাদের জন্য খেদমত করতে বা তাদের কাজের লোড যেন না বাড়ে সেজন্য বলি, বলি যে আমি কাজগুলো করে দিব। কিন্তু আমার আম্মা এসব কথা শুনতেই চান না। উনি সংসারের কোন কাজ এ আমাকে অংশ নিতে দেন না৷ এটা কি কারনে করেন আমি জানিনা।  আমি তাদের কোন খেদমত করতে গেলে উলটা বিরক্ত হন। নিজেই করে ফেলেন আমার করার আগে। আমি হেল্প করতে আসলে আমাকে স্বাগতম জানান না। উনাদের কষ্ট করতে দেখলে আমার খারাপ লাগে তাই আমি উনাদের হেল্প করতে চাই। কিন্তু হেল্প কর‍তে চাইলে আম্মা বিশেষ করে খুব বিরক্ত হন। এমন না যে আমি কাজ করলে গুছিয়ে করিনা বা আমি কাজ পারিনা বা কাজে ভুল হয়৷
সবার বাবা মা দেখি খেদমত করলে খুশি হয়। আমার বাবা মা স্পেশালি আম্মা পুরাই উলটা। কেন এরকম করে আমি জানিনা। সংসারে আমার কোন অনুরোধ শোনে না। আমার কথা পাত্তাই দেয় না।
এমনি আমার প্রতি যা পিতামাতা হিসেবে যা দায়িত্ব সেগুলো তারা করেছেন৷আমার তাদের প্রতি কোন অভিযোগই নেই।  কিন্তু তাদের কাছে আমার কথা বা অনুরোধের মুল্যহীনতার বিষয়টি আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে৷ উপরন্তু আমি তাদের কোন হেল্প করতে চাইলে করতে দেয়না। আমার কাছ হতে হেল্প নেয়া আম্মা পছন্দ করে না৷
এরকম কেন করছেন তারা?  এরকম অবস্থায় আমার করনীয় কি?  আমি তো আমার সাধ্যমত তাদের খেদমত করতেই চাই।আমি কি গুনাহগার হব এরকম ক্ষেত্রে তাদের খেদমত করতে না পারলে? আমার খেদমত তো আম্মা পছন্দ করছেন না

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ: كَانَ جُرَيْجٌ يَتَعَبَّدُ فِي صَوْمَعَةٍ، فَجَاءَتْ أُمُّهُ. قَالَ حُمَيْدٌ: فَوَصَفَ لَنَا أَبُو رَافِعٍ صِفَةَ أَبِي هُرَيْرَةَ لِصِفَةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَّهُ حِينَ دَعَتْهُ، كَيْفَ جَعَلَتْ كَفَّهَا فَوْقَ حَاجِبِهَا، ثُمَّ رَفَعَتْ رَأْسَهَا إِلَيْهِ تَدْعُوهُ، فَقَالَتْ: يَا جُرَيْجُ أَنَا أُمُّكَ كَلِّمْنِي فَصَادَفَتْهُ يُصَلِّي، فَقَالَ: اللهُمَّ أُمِّي وَصَلَاتِي، فَاخْتَارَ صَلَاتَهُ، فَرَجَعَتْ، ثُمَّ عَادَتْ فِي الثَّانِيَةِ، فَقَالَتْ: يَا جُرَيْجُ أَنَا أُمُّكَ فَكَلِّمْنِي، قَالَ: اللهُمَّ أُمِّي وَصَلَاتِي، فَاخْتَارَ صَلَاتَهُ، فَقَالَتْ: اللهُمَّ إِنَّ هَذَا جُرَيْجٌ وَهُوَ ابْنِي وَإِنِّي كَلَّمْتُهُ، فَأَبَى أَنْ يُكَلِّمَنِي، اللهُمَّ فَلَا تُمِتْهُ حَتَّى تُرِيَهُ الْمُومِسَاتِ. قَالَ: وَلَوْ دَعَتْ عَلَيْهِ أَنْ يُفْتَنَ لَفُتِنَ. قَال
َ: )و ساق الحديث (َ
জুরাইজ (বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি) তাঁর ইবাদতখানায় সর্বদা ইবাদতে মশণ্ডল থাকতেন। (একবার) তাঁর মাতা তাঁর কাছে এলেন। হুমায়দ (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কাছে আবূ রা'ফে এমন আকারে ব্যক্ত করেন, যেমন ভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মায়ের ডাকের আকার আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর কাছে ব্যক্ত করেছেন। কিরুপ তিনি কপালের নিচে আব্রুর উপর হাত রেখেছিলেন। এরপর তাঁর দিকে মাথা উচু করে তাকে ডাকলেন। বললেন, হে জুরায়জ! আমি -তোমার মা, আমার সাথে কথা বল। এই কথা এমন অবস্থায় বলছিলেন, যখন জুরায়জ সালাতে মশগুল ছিলেন। তখন তিনি মনে মনে বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ! (একদিকে) আমার মা আর (অপর দিকে) আমার সালাত (আমি কী করি।)”। রাবী বলেন-অবশেষে তিনি তাঁর সালাতকে অগ্রাধিকার দিলেন। এবং তার মা ফিরে গেলেন। পরে তিনি দ্বিতীয়বার আসলেন এবং বললেন, হে জুরায়জ! আমি তোমার মা, তুমি আমার সংগে কথা বল। তিনি বললেন, ইয়া আল্লাহ! আমার মা, আমার সালাত। তখন তিনি তাঁর সালাতে মশগুল রইলেন। তখন তাঁর মা বললেন, হে আল্লাহ! এই জুরায়জ আমারই ছেলে। আমি তার সংগে কথা বলতে চাচ্ছিলাম। সে আমার সংগে কথা বলতে অস্বীকার করল। হে আল্লাহ! তার মৃত্যূ দিয়ো না, যে পর্যন্ত না তাকে ব্যভিচারিনী দেখাও। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি তাঁর মাতা তার বিরুদ্ধে অন্য কোন বিপদে পতিত হওয়ার বদ দুআ করত তাহলে অবশ্যই সে সেই বিপদে পতিত হত। (সহীহ মুসলিম-২৫৫০)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাতাপিতার বদ দু'আ থেকে বেচে থাকা অত্যাবশ্যক। যেহেতু এখানে অনেক পিড়াপিড়ি করার পরও মা খেদমতের সুযোগ দিচ্ছেন না, তাই এক্ষেত্রে মায়ের খেদমত না করে মায়ের নির্দেশমত কাজ করুন। এখানে খেদমত না করার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...