আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (101 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,

পুরো বিষয়টি বর্ণনা করতে গিয়ে লেখাটি বড় হয়েছে তাই দুঃখিত।ধৈর্য সহকারে পড়ার অনুরোধ করা হলো।জাযাকাল্লাহ।

আমার জানামতে আমার পিতার আয়ের উৎস হলো-১)কোম্পানিতে চাকরি,২)শেয়ার ব্যবসার লাভের টাকা,৩)সুদের টাকা।এরমধ্যে আমার পিতা সুদের টাকা তেমন একটা তুলেন না কিন্তু ওনার সম্পদে সুদের মিশ্রণ আছে।এখনও ব্যাংকে তার টাকা রাখা আছে।আর শেয়ার ব্যবসায় যেই কারবার গুলি হয় তার তো আনুমানিক ৯০% ই হারামভাবে হয় বর্তমানে।তো শেয়ার ব্যবসা থেকে যে লাভ করে আমার বাবা তা ১০০% হালাল যে এটার গ্যারান্টি ও নেই।হ্যা তবে আমার বাবা কোম্পানি থেকে ভালো বেতন পান পাশাপাশি কোম্পানির প্রজেক্টে তিনি যুক্ত আছেন।যেহেতু তিনি গ্যাস সেক্টরের কোম্পানিতে কর্মরত তাই এই প্রজেক্টগুলো দীর্ঘমেয়াদি ,বলতে গেলে আমার বাবার চাকরি জীবনের ৪০% প্রজেক্ট করে কেটেছে।অর্থাৎ কোম্পানির বেতন ও প্রজেক্ট থেকে প্রাপ্ত সম্মানি মিলে ভালো পরিমাণ টাকা পান।কিন্তু এখানেও কথা আছে,প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে আবার জমি অধিগ্রহণ করা লাগে।তো তখন অনেক লোক নিজ জমির ওপর দিয়ে যাতে লাইন না যায় এজন্য ঘুষ দেয় আবার যাদের জমি কাটা পড়ছে তারা তাড়াতাড়ি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য ঘুষ দেয় আবার অনেকে এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় বলে নিজের জমি ইচ্ছাকৃতভাবে লাইনের মধ্যে ফেলার জন্য ঘুষ দেন।অর্থাৎ প্রজেক্ট করে হালালভাবে ও টাকা নেয়া যায় আবার হারামভাবে টাকাও নেয়া যায়।কিন্তু এই হারাম কর্মকান্ডের সাথে আমার পিতা জড়িত কি না তা নিশ্চিত না,তাই নিশ্চিতভাবে প্রজেক্ট থেকে প্রাপ্ত টাকাকেও ১০০% হালাল ধরতে পারছি না।কারন আমি শুনছিলাম কয়েকবার যে আমার পিতা আগের প্রজেক্টে ঘুষের ও প্রতারণার কাজের সাথে জড়িত ছিল।কিন্তু তখন তিনি নামাজ পড়তেন না,একেবারে বেদ্বীন ছিলেন।কিন্তু বর্তমানে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন,কুরআন তিলাওয়াত করেন ও নফল রোজাও রাখেন।এমতাবস্থায় এই নতুন প্রজেক্টেও তিনি ঘুষের ও প্রতারণার সাথে জড়িত কি না জানি না।তবে যিনি সুদ থেকেই সরেননি তিনি কি প্রতারণা ও ঘুষ থেকে সরেছেন কি না তা জানি না ।তো সবমিলিয়ে অবস্থা এই যে,আমার বাবার সম্পদ আয় করেন- শেয়ার ব্যবসা থেকে,সুদ থেকে,চাকরি থেকে ও প্রজেক্ট থেকে।তো আমি জানিনা যে তার টাকায় হালাল অধিক না হারাম অধিক।এমতাবস্থায় একজন পুরুষ হিসেবে কি আমার পিতার টাকায় নির্ভরশীল হওয়া জায়েজ হচ্ছে? আর আমার পিতা আমাকে এই পর্যন্ত সাইকেল,ফোন ইত্যাদি জিনিস দিয়েছেন তা ভবিষ্যতে ব্যবহার জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রথমেই আপনাকে একটা মূলনীতি মূলক আলোচনা মনযোগ সহকারে পড়তে হবে।
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।

১ম নং এবং ২য়নং সূরতে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ হবে না। আর ৩য় সুরতে জায়েয হলেও, গ্রহণ না করাই উত্তম।
এবং ৪র্থ সুরতে হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার বাবার টাকার অধিকাংশ হালাল না হারাম? সে সম্পর্কে একটু আন্দাজা লাগাবেন। যদি অধিকাংশ হারাম হিসেবেই বিবেচিত হয়, তাহলে আপনার বাবার টাকা গ্রহণ করা আপনার জন্য জায়েয হবে না।আর যদি অধিকাংশ হালাল হয়, তাহলে আপনার জন্য গ্রহণ করা জায়েয হলেও গ্রহণ না করাই উত্তম বলে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/669


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
আমরা যা বুঝেছি, সেই আলোকে বলেছি।বিস্তারিত জানতে কল দিতে পারেন।আপনার সাথে যোগাযোগ করতে আমরা ব্যর্থ হই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...