বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি তার বাবা মারা গিয়ে থাকে,তাহলে তো তার বাবা মারা যাওয়ার দ্বারা তার মায়ের বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে,সুতরাং এখানে উপরোক্ত কাজের দরুন তার বাবা মার বৈবাহিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বেনা।
কেননা বাবা মারা যাওয়ায় তার বাবা মার বৈবাহিক সম্পর্কই তো এখন নেই।
এহেনে কাজ করায় উক্ত ব্যাক্তির খালেস দিলে তওবা আবশ্যক, এহেন কাজ আর করা যাবেনা।
ধারে কাছেও যাওয়া যাবেনা।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছে
أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲
যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।
وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)
যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না।
★দৃষ্টিপাতের মাধ্যমে হুরমত প্রমাণিত হওয়ার জন্য অন্যতম একটি শর্ত হলোঃ
দৃষ্টিটি নিবদ্ধ হতে হবে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে। শুধু উপরের অংশ দেখার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না। আর পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু লজ্জাস্থান দেখার দ্বারাই হুরমত সাবেত হবে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
(لا) تحرم (المنظور إلى فرجها الداخل) إذا رآه (من مرآة أو ماء) لأن المرئي مثاله (بالانعكاس) لا هو (هذا إذا كانت حية مشتهاة) ولو ماضيا (أما غيرها) يعني الميتة وصغيرة لم تشته (فلا) تثبت الحرمة بها أصلا كوطء دبر مطلقا وكما لو أفضاها لعدم تيقن كونه في الفرج ما لم تحبل منه بلا فرق بين زنا ونكاح.(رد المحتار-4/108-109
যার সারমর্ম হলো আয়না বা পানির মধ্যে কাহারো লজ্জাস্থান দেখলে হুরকমে মুসাহারাত প্রমানীত হয়না।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
দৃষ্টিপাতের মাধ্যমে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হতে হলে মহিলার যৌনাঙ্গের কিছুটা ভিতরে দৃষ্টিপাত করা শর্ত।
এখানে এগুলো শর্ত,এমন নয় যে দুটি আলাদা বিষয়।
এভাবে দৃষ্টিপাতের মাধ্যমে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হতে হলে আরো কিছু শর্ত পাওয়া গেলেই কেবল হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।
নতুবা নয়।
(০৩)
মাসয়ালা হলোঃ
কেহ আপন বোনের স্তনে কামভাব নিয়ে স্পর্শ করলে, এতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
গুনাহ অবশ্যই হবে।
গুনাহ হওয়া আর হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হওয়া দুটি এক বিষয় নয়।
কামভাব নিয়ে স্পর্শ করাটা ইচ্ছাকৃত যা সেক্স করার সামিল বা উত্তেজনাবশত কিছুক্ষন স্তন স্পর্শ করে বীর্যপাত করে ফেলল তাতেও পাপ হবে না।
তবে বোনের সাথে এমনটি করে থাকলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
★হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হওয়া দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তাদের মা বাবার মাঝে বৈবাহিক সম্পর্ক আজীবনের জন্য ছিন্ন হওয়া।