ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
ওযর বিল জাহালত শরীয়তে রয়েছে।
ওযর বিল জাহালত এর দ্বারা শরয়ী শাস্তি ইত্যাদী তার উপর আরোপ করা হয়না।
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ঐ জাহালত অযর হতে পারবে,যেক্ষেত্রে সে হুকুম সম্পর্কেই অজ্ঞ।
এই জন্য কেহ যদি ফরজ ওয়াজিব বিধান কে এই জন্য না পড়ে যে সে উক্ত বিধান ফরজ ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে জানতোনা।
অথবা সে কোনো হারাম কাজ এই জন্য করেছে যে সে তাহার হারাম হওয়া সম্পর্কে জানতোনা,তো তার এই অজ্ঞতার শরীয়তে গ্রহনযোগ্যতা আছে।
এর ভিত্তিতে তাকে তাকে শাস্তি দেওয়া হবেনা। সে অজ্ঞতার কারনে মা'যুর।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
وقوله صلى الله عليه وسلم : ( إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ) رواه ابن ماجه (2043)
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
★কিন্তু যে ব্যাক্তি জানে যে উক্ত কাজ করা হারাম,কিন্তু সে তার শাস্তি সম্পর্কে অবগত নয়,এই ভিত্তিতে যদি সে কোনো হারাম কাজ করে,তাহলে এটাকে ওযর হিসেবে ধরা হবেনা।
কেননা সে এই কাজ হারাম জানা সত্ত্বেও করেছে।
যেমন কেহ যেনা করেছে,কিন্তু সে জানেনা যে এটা হারাম কাজ,তাহলে তার এই অজ্ঞতা অযর হিসেবে ধরা হবে।
আর যদি সে জানতো যে এটা হারাম কাজ,কিন্তু দন্ড বিধি সম্পর্কে জানেনা,তাহলে এটা ওযর হিসেবে ধরা হবেনা।
বিস্তারিত জানুন
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সে যদি বিজ্ঞ মুফতি সাহেব থেকে জানতে পারে যে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে,তাহলে তার যেনার গুনাহ হবেনা।
পুরোপুরি জানতে পারেনি, এর অর্থ কি?
তালাক হয়েছে,এমন ফতোয়া বিজ্ঞ মুফতি সাহেব না দিয়ে থাকলে তাদের যেনার গুনাহ হবেনা।
(০২)
এর দ্বারা তালাক হবেনা।
(০৩)
এতে তালাক হবেনা।
স্বামীকে আর জিজ্ঞাসা করতে হবেনা।
(০৪)
যদি তাদের আসলেই তালাক হয়ে থাকে,তাহলে৷ তওবা কবুল না হলে আখেরাতে তাদের যেনার পূর্ণ শাস্তি হবে,তবে বিষয়টি মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন।
(০৫)
এতে তালাক হবেনা।
(০৬)
উপরোক্ত কোন প্রশ্ন করা দ্বারা আপনার বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবেনা।