আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
459 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (88 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

1.শায়েখ আমার প্রশ্নটা একটু ভিন্ন।শুনেছি কিয়ামতের আগে স্বামি স্ত্রী যেনা করবে।আমার প্রশ্ন হল ধরেন কেউ না জেনে যেনা করলেও মানে জানে না যেনা হচ্ছে কিনা। জানার ও চেষ্টা করেছে অনেক তবু পুরোপুরি জানতে পারে নাই ।পরে আর জানার চেস্টা করে নি।এরপর সারাজীবন যেনা হলেও যেনা হচ্ছে কিনা ওরা জানে না।তবু আল্লাহর কাছে সারাজীবন ক্ষমা চাইলে যতদিন বাচে তবু কি ওদের যেনার শাস্তি হবে? হয়ত আমার প্রশ্নটা একটু ভিন্ন।জানার জন্য করেছি।জানলে উপকৃত হব।

2**আরেকটা প্রশ্ন কেউ যদি বলে আমি ত........ দিলে কিন্তুু  হবে বা আমি দিতে পারব।আসলে  দেই নাই।কিন্তুু বুঝাচ্ছে। এর দ্বারা কি ত..... হবে?

3** শায়েখ কোন স্বামী যদি বলে বেশি আমার চাইতে মা বাবা বেশি আপন হয়ে গেছে নাকি।যও করগা ওদের পছন্দমত বিয়ে।আমি নিজের পথ খুজে নিব।মেসেজে কথা হয় ওদের।পরে স্বামী শপথ করে যদি বলে তালাকের নিয়তে বলে নি।আর এর আগে স্ত্রী তালাক চাইলেও পর পর বলেছে কিনা  মনে নেই।কারন  মেসেজে তহ মনে নেই ওদের তালাক চাওয়ার পর  পর বলেছে কিনা।স্বামীকে তহ প্রশ্নই না করতে বলেছে এ ব্যপারে ।স্ত্রীর ও  মনে নেই।কারন স্ত্রী এর আগে তালাক চেয়েছিল মেসেজে।কিন্তু স্বামী  দেই নি।মনে হয় আরো কথা হয়েছিল অন্য ব্যপারে। স্পষ্ট মনে নেই।কিন্তুু উক্ত কথাটা তখন বলেছিল নাকি আরো কথা হওয়ার পর বলেছিল  মনে নেই ওদের।আগের কথা তহ আর  মেসেজে কথা হয় ওদের।স্ত্রী সন্দেহে রয়েছে।প্রচুর মনে করার চেস্টা করেও  মনে  পড়ে নি স্ত্রীর।এর দ্বারা কি সমস্যা হবে? ওরা একসাথে থাকতে পারবে?আপনি ( মুফতি ওলি উল্লাহ সাহেব) বলেছিলেন মেসেজে পর পর বললে হয় যে তালাক। আরো কথা হওয়ার পর বললে হয় না।তবু জানার জন্য করলাম প্রশ্ন সন্দেহ আছে এ ব্যপারে।ওর স্বামীর কথা মনেও থাকে না। তিনি এসব ব্যপারে প্রশ্ন না করতে বলেছে।রেগে যায়।ওনাকে কি আর জিগ্যেস করা উচিত হবে?

4**কেউ যদি সারাজীবন যেনা করে সারাজীবন মাফও চাই মানে প্রত্যেকটা  দিন যেনা করে আর প্রত্যেকটা দিন ওই আল্লাহর কাছে মাফ চাই।এভাবে সারাজীবন করে সারাজীবন মাফ চাইলে কি ওর গুণাহ মাফ হবে? যত দিন বাচে ততদিন করলে?আসলে আমি বলতে চাচ্ছি অনেকে বিয়ে করেছে কিন্তুু বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর ও একসাথে সংসার করে তাদের কথা বলতেছি।তারা যদি সারাজীবন  মাফ চাই আর যেনাও করে তাহলে তাদের গুণাহ ও কি মাফ হবে যেনার?তাদের ও কি যেনার শাস্তি হবে  মানে বিবাহিত  বা অবিবাহিত যারা যেনা করে তাদের মত?নাকি একটু কম?

5**কোন স্ত্রী যদি বার বার স্বামীকে জিগ্যেস করে কথাগুলো কোন তা.. নিয়তে বলেছে কিনা।স্বামী যদি রাগ করে বলে বলছিনা  সেই নিয়তে বলি নি মানে তালাকের নিয়তে বলে নাই।বার বার একই কথা বল কেন।স্ত্রী যদি বলে টিক আছে ঠিক আছে বলে কথা বলতে না দেই।স্বামীও আর কিছু না বলো এর দ্বারা কি সমস্যা হবে মানে স্ত্রী আর কথা বলতে না দিলো টিক আছে বলে বলে?

6**আমি একজন মহিলা।আমাকে স্বামি  ত......... অধিকার দিয়েছে।উপরোক্ত কোন প্রশ্ন করা দ্বারা কি আমার বৈববাহিক জীবনে সমস্যা হবে? আমি নিজের দিকে ইন্গিত করি নি তবু লিখার সময় নানা ধরনের ওয়াসওয়াসা আসে।ভয় আসে।আমি মনে মনে না না বলে বলে লিখি।মানে নিজেকে ত.......  দিই নি বলে বলে মনে মনে তারপর লিখি।কারন আমার  মনে ওয়াওয়াসা আসতে থাকে।এর দ্বারাও কি আমার সমস্যা হবে আমাদের বৈববাহিক জীবনে? আমি চাই না বিচ্ছেদ।

1 Answer

0 votes
by (653,610 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


ওযর বিল জাহালত শরীয়তে রয়েছে।
ওযর বিল জাহালত এর দ্বারা শরয়ী শাস্তি ইত্যাদী তার উপর আরোপ করা  হয়না।

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ঐ জাহালত অযর হতে পারবে,যেক্ষেত্রে সে হুকুম সম্পর্কেই অজ্ঞ।
এই জন্য কেহ যদি ফরজ ওয়াজিব বিধান কে এই জন্য না পড়ে যে সে উক্ত বিধান ফরজ ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে  জানতোনা।

অথবা সে কোনো হারাম কাজ এই জন্য করেছে যে সে তাহার হারাম হওয়া সম্পর্কে  জানতোনা,তো তার এই অজ্ঞতার শরীয়তে গ্রহনযোগ্যতা আছে।
এর ভিত্তিতে তাকে তাকে শাস্তি  দেওয়া হবেনা। সে অজ্ঞতার কারনে মা'যুর।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

وقوله صلى الله عليه وسلم : ( إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ) رواه ابن ماجه (2043) 

নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)

★কিন্তু যে ব্যাক্তি জানে যে উক্ত কাজ করা হারাম,কিন্তু সে তার শাস্তি সম্পর্কে  অবগত নয়,এই ভিত্তিতে যদি সে কোনো হারাম কাজ করে,তাহলে এটাকে ওযর হিসেবে ধরা হবেনা।

কেননা সে এই কাজ হারাম জানা সত্ত্বেও করেছে।
যেমন কেহ যেনা করেছে,কিন্তু সে জানেনা যে এটা হারাম কাজ,তাহলে তার এই অজ্ঞতা অযর হিসেবে ধরা হবে।

আর যদি সে জানতো যে এটা হারাম কাজ,কিন্তু দন্ড বিধি সম্পর্কে  জানেনা,তাহলে এটা ওযর হিসেবে ধরা হবেনা।

বিস্তারিত  জানুন

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
সে যদি বিজ্ঞ মুফতি সাহেব থেকে জানতে পারে যে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে,তাহলে তার যেনার গুনাহ হবেনা।

পুরোপুরি জানতে পারেনি, এর অর্থ কি?
তালাক হয়েছে,এমন ফতোয়া বিজ্ঞ মুফতি সাহেব না দিয়ে থাকলে তাদের যেনার গুনাহ হবেনা।

(০২)
এর দ্বারা তালাক হবেনা।

(০৩)
এতে তালাক হবেনা।
স্বামীকে আর জিজ্ঞাসা করতে হবেনা।

(০৪)
যদি তাদের আসলেই তালাক হয়ে থাকে,তাহলে৷ তওবা কবুল না হলে আখেরাতে তাদের যেনার পূর্ণ শাস্তি হবে,তবে বিষয়টি মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন।

(০৫)
এতে তালাক হবেনা।

(০৬)
উপরোক্ত কোন প্রশ্ন করা দ্বারা আপনার বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 324 views
asked Jan 24, 2024 in পবিত্রতা (Purity) by Mystic. (4 points)
...