আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামুআলাইকুম,আমার হরমোনজনিত সমস্যার কারনে চিকিৎসা চলছে। আমার গত মাসের হায়েয শেষ হয়ার আজকে ১৫তম দিন।ইসলামিক বিধান অনুযায়ী আজকে আমার  যে সাদাস্রাব এর সাথে অল্প রক্তের মত বের হয়েছে তা হায়েয হওয়ার কথা। আমাকে আমার ডক্টর যেভাবে মেডিসিন দিসেন সেই অনুযায়ী আজকে হায়েয হওয়ার কথা না।এখন আমি এটাকে হায়েয গণ্য করবো কিনা?

আর একটি প্রশ্ন,।আগে আমার অনেক ইস্তিহাদার নামাজ মিস হইসে হিশাব ছাড়া। সেই গুলো কিভাবে আদায় করবো বা কাফফারা দিলে হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ১৫ তম দিন শেষ হয়ে ১৬ তম দিনে যদি আপনার সাদা স্রাব ব্যাতিত অন্য কোনো কালারের স্রাব আসে,এবং সর্বনিম্ন ৩ দিন তিন রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে,তাহলে সেটিকে হায়েজ ধরতে হবে।

১৬ তম তারিখ এসেই যদি বন্ধ হয়ে যায়,৩য় দিন তথা ১৮ তারিখে যদি না আসে,তাহলে এই দিন গুলো হায়েজ হবেনা,ইস্তেহাজা হবে।

(০২)
আগের ইস্তেহাজার দিন গুলির নামাজ সমুহের কাজা আদায় করতে হবে।
জীবিত থাকাকালীন কাফফারা আদায়ের সুযোগ নেই।
কাজাই আদায় করতে হবে।
,
আপনি আনুমানিক একটি হিসেবে কষবেন।
এরপর আপনি সময় সুযোগ মোতাবেক সব গুলি নামাজের কাজা আদায় করবেন।
এভাবে নিয়ত করবেনঃ
আমি আমার জীবনের সর্বপ্রথম/সর্বশেষ ছুটে যাওয়া কাজা নামাজ আদায় করছি।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...