আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
278 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
১।কোন মহিলা যদি তার স্বামীকে ডিভো* দেয় নোটিশের মাধ্যমে।  কিন্তু সে ভাবে সেটা সঠিক হয়নি শরিয়া মোতাবেক।কিন্তু স্বামীর ভাবে সঠিক হয়েছে।
পরবর্তীতে ওই স্বামীকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে তোমার বউয়ের সাথে কি তোমার ডিভো* হয়ে গেছে? সে যদি বলে "হ্যাঁ" তাহলে কি সেটা বলার কারনে সত্যি তা** পতিত হবে?
((পুরুষ ভেবেছিল তার বউ তো তাকে ডিভো* দিয়েছেই,, সেই চিন্তা থেকে যদি প্রশ্নের উত্তর দেয়,, তাহলে কি পতিত হবে?? নাকি হবে না??))

২।কোন মহিলা যদি সার্চ করতে গিয়ে লিখতে চায়" তালাকে* সন্দেহ করলে তালা* হয় কিনা"

কিন্তু সে ওয়াস ওয়াসার কারনে পুরো লিখা টা লিখেনি শুধু লিখেছে, " তালাকে* সন্দেহ করলে তালা*,,,,,  এইটুকু লিখে সে লিখে টা ডিলিট করে দেয়। এইখানে তো মহিলা নিজেকে উল্লেখ করেনি,,,

এইটুকু লিখার ফলে কি মহিলার উপর কোন শর্ত পরে যাবে? এমন কোন শর্ত যে ওই মহিলা তালা** সন্দেহ করলে তার  উপর তা** পতিত হবে?


৩। কোন মহিলা কি শুধু এইটুকু বলে নিজেকে শর্ত দিতে পারে যে "" তালাকে* সন্দেহ করলে তালা*,,,,

এইটুকু বললে কি তার উপর তালাকে* শর্ত আরোপ হয়ে যায়??

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনএক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললোহে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেনরসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে আরোহণ করলেনঅতঃপর বললেনহে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যেসে তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়অতঃপর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধতালাকের অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ النِّكَاحُ وَالطَّلاَقُ وَالرَّجْعَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিততিনি বলেনরাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনতিনটি বিষয় এমন যেগুলির যথার্থ তো যথার্থই এমনকি সেগুলোর কৌতুকের ব্যবহারও যথার্থ: বিবাহতালাকরাজআত। - ইবনু মাজাহ ২০৩৯তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৮৫ ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেনএই হাদীসটি হাসান-গারীব।

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

. তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। তবে যদি স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়ে দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে স্ত্রী সে তার নিজের নফসের উপর তালাক দিতে পারবে। আর স্ত্রী চাইলে ডিভোর্সের নোটিশের মাধ্যমেও এটা দিতে পারে। সুতরাং বিয়ের সময় ১৮ নং ধারায় কোন তালাকের  ও কি কি শর্তে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল স্ত্রীকে এবং ডিভোর্সের নোটিশে কোন শব্দ দ্বারা তালাক দেওয়া হয়ে ছিলো ইত্যাদি বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিয়ের কাবিননামাডিভোর্সের নোটিশ নিয়ে নিকটস্ত কোনো নির্ভরযোগ্য ইফতা বিভাগে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

২. না, এতে মহিলার উপর কোনো শর্ত যুক্ত তালাক পড়বে না।

৩. তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। তবে যদি স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিয়ে দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে স্ত্রী সে তার নিজের নফসের উপর তালাক দিতে পারবে। এভাবে বললে (আমি আমার নিজের উপর তালাক দিলাম) অথবা শর্ত যুক্ত করে এভাবে বললো যে, (এই কাজ করলে আমার নফসের উপর তালাক) তাহলে তালাক হবে। অন্যথায় স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে যে, ‘আমি তোমাকে তালাক দিলাম’ অথবা বললো যে, ‘তালাকে সন্দেহে পতিত হলে তুমি তালাক’। তাহলে এতে কোনো তালাক পতিত হয় না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...