আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
317 views
in পবিত্রতা (Purity) by (136 points)
আসসালামুআলাইকুম।

ব্রণ থেকে সামান্য পরিমাণ তরল বের হওয়া, জায়গায় থাকা, যেটা গড়িয়ে পরত না কোনো মতেই,  শুকিয়ে যায়(জমাট বাঁধা না, অদৃশ্য হয়ে শুকিয়ে যায় পানির মত),গরমে ঘেমে যাওয়ার কারণে যদি আমার অজান্তে ওই জায়গাটি পুনরায় ঘামের সাথে মিশে যায়, ঘাম গড়িয়ে পরে তবে কি আমার পুরো শরীর নাপাক হয়ে গেছে? যেহেতু ঘাম কোন কোন জায়গায় প্রবাহিত হয়েছে বলতে পারছিনা।

ওই রকম অল্প তরল বের হয়ে শুকিয়ে যায়, তারপর আমি ওই স্থান পরিষ্কার করার জন্য একটি টিস্যু নিয়ে ভিজিয়ে মুছে দেই, মুছতে যেয়ে কিছু পানি মুছআর পর গড়িয়ে পরে, এখন ওই স্থান কি নাপাক হয়ে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান মতে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)

আরো জানুনঃ         

★ব্রনের তরল যদি গড়িয়ে পড়ার মতো না হয়, বরং স্ব স্থানেই থাকে,তাহলে অযুও ভেঙ্গে যাবেনা,সেটিও নাপাক বলে বিবেচিত হবেনা।।
অন্যথায় অযুও ভেঙ্গে যাবে,সেটিও নাপাক বলে বিবেচিত হবে। 

https://ifatwa.info/33403/  ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে  যে,

و في حاشية ابن عابدين تحت قوله (ولم يخرج)
وفي السراج عن الينابيع: الدم السائل على الجراحة إذا لم يتجاوز. قال بعضهم: هو طاهر حتى لو صلى رجل بجنبه وأصابه منه أكثر من قدر الدرهم جازت صلاته وبهذا أخذ الكرخي وهو الأظهر. وقال بعضهم: نجس، وهو قول محمد اهـ ومقتضاه أنه غير ناقض لأنه بقي طاهرا بعد الإصابة، وإن المعتبر خروجه إلى محل يلحقه حكم التطهير من بدن صاحبه فليتأمل


ইবনে আবেদীন রাহ, আরেকটু পরিস্কার করে লিখেন,যখমে প্রবাহিত রক্ত যখন সেটা তার স্বস্থানকে ত্যাগ করবে না,তখন অজু ভঙ্গ হবে না।কেউ কেউ এই রক্তকে পবিত্র রক্ত বলে থাকেন।এমনকি যদি এমন রক্ত যখমে থাকাবস্থায় উক্ত ব্যক্তির পাশে কেউ নামায পড়ে নেয়,এবং পাশের ব্যক্তির শরীর বা কাপড়ে এক দিরহাম থেকে বেশী উক্ত রক্ত লেগে যায়,তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে।এটাই ইমাম কারখী রাহ এর মত।এটাই বিশুদ্ধতম অভিমত।তবে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,এই রক্ত অপবিত্র।এটা ইমাম মুহাম্মদের মত।

উপরের আলোচনার সারমর্ম হল, উক্ত রক্ত বের হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বের হওয়ার পর স্বস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র গড়িয়ে গেলে অজু ভঙ্গ হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ক্ষত স্থান থেকে পানি বের হবার পর যদি তা গড়িয়ে পড়ে, তাহলে অজু নষ্ট হয়ে যাবে। এবং উক্ত গড়িয়ে পড়া পানিও নাপাক বলে বিবেচিত হবে। তবে গড়িয়ে না পড়লে বরং স্ব স্থানে থাকলে কিংবা হাত দ্বারা স্পর্শ করলে অজুও ভঙ্গ হবে না,এবং ঐ পানিও নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি এটি গড়িয়ে পড়ার মতো না হয়, বরং স্ব স্থানেই থাকে,তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই। 

তবে যদি জায়গাটি পুনরায় ঘামের সাথে মিশে যায়, ঘাম গড়িয়ে পরে, তবে আপনার শরীরের যেখানে সেই ঘাম লেগেছে,সেই স্থান নাপাক হবে। আপনার পুরো শরীর নাপাক হয়ে যাবেনা।

★মুছতে গিয়ে যদি কিছু পানি মুছার পর গড়িয়ে পরে, তাহলে ঐ স্থানকে নাপাক ধরবেন।
পানি দিয়ে সেই স্থান ধুয়ে ফেলবেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 213 views
0 votes
1 answer 296 views
...