আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
463 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
সেই ব্লগ থেকে হুবুহু তুলে দিচ্ছি : 

হাদিস: আলকামা বিন ওয়াইল তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। এক মহিলা [ফজরের] নামাজের জন্য বের হলে একজন পুরুষ তার সাথে মিলিত হল। লোকটি  তার জামা মহিলার উপর ছুঁড়ে দিয়ে তাকে কাবু করে নিল। তারপর তার প্রয়োজন মেটাল (অর্থাৎ তাকে ধর্ষণ করল), তারপর চলে গেল। তারপর ওখানে আরেক ব্যক্তি আসল। মহিলাটি তাকে বললেন, ‘ঐ ব্যক্তি আমার সাথে এটা এটা করেছে’ (অর্থাৎ ধর্ষণ করেছে)। লোকটি তখন সেই লোকের খুঁজে ছুটল। তারপর (মদিনাবাসী) আনসারদের কিছু লোক সেই মহিলার নিকটে গিয়ে হাজির হল। মহিলা তাদেরকে বললেন,  ‘একটি লোক আমার সাথে এটা এটা করেছে’ (অর্থাৎ ধর্ষণ করেছে)। তারপর তারাও সেই লোকের সন্ধানে ছুটে গেল এবং সেই ব্যক্তিকেই পাকড়াও করে নিয়ে এল যে ব্যক্তিটি আগে ধর্ষকের সন্ধানে ছুটে গিয়েছিল। তারা তাকে নবীর (সা) কাছে নিয়ে গেল। সেখানে মহিলাটি বলল, ‘এ’ই সেই লোক’ (অর্থাৎ ধর্ষক)। তারপর, নবী যখন তাকে পাথর মেরে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন, তখন যে ব্যক্তি (মহিলাকে মূলত) ধর্ষণ করেছিল সে বলল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ, আল্লাহর শপথ আমিই সেই ব্যক্তি।’ তারপর, নবী (সা) মহিলাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন, তুমি চলে যাও’, এবং (অভিযুক্ত) ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে কিছু ভাল কথা বললেন [তাকে সান্ত্বনা দিতে, কেননা তাকে তো মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়া হয়েছিল]। তারপর  (উপস্থিতদের কাছ থেকে) নবীকে (সা) লক্ষ্য করে বলা হল, ‘হে আল্লাহর নবী, আপনি কি তাকে পাথর মেরে হত্যা করবেন না?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘এই ব্যক্তি এমন তওবা করেছে যে এই তওবা যদি গোটা মদিনাবাসীও করত, তবে তাদের কাছ থেকে তা গৃহীত হত।’   ইবন আয-যুবাইর বলেন যে দোষ-স্বীকার-করা লোকটির উপর ‘হদ’ (শাস্তি) প্রয়োগ করা হয় নি, এবং এই (না-হওয়ার) বর্ণনাটিই সঠিক। আসবাত বিন নাসর সাম্মাক (বিন হারব) থেকেও অনুরূপ বর্ণনা করেন –একই ভাষ্যে (وقد صرح ابن الزبير عن سماك بأن الحد لم يقم على المعترف, وهو الصواب, قد رواه أسباط بن نصر عن سماك بمثله, ولفظه) (তবে সেই বর্ণনায় ওমর (রা) রাসূলুল্লাহকে দোষ স্বীকার-করা লোকটিকে শাস্তি দিতে বলেন, কিন্তু নবী (সা) সেটা করতে যান নি, বরং উপরোক্ত কথাই বলেন)।   

নাসির উদ্দিন আল-আলবানি, (১৯৯৫), সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সাহিহাহ, (২য় খন্ড), রিয়াদ: মাক্তাবতুল মাআরিফ লিন-নাশরি ওয়াত তাওযি, পৃষ্ঠা ৫৬৭-৫৬৮।  

উল্লেখিত বর্ণনার শেষাংশে আলবানি মন্তব্য করেন, ‘এই হাদিসে গুরুত্বপূর্ণ উপকার রয়েছে। আর তা হল এই যে যে ব্যক্তি উত্তমভাবে তওবা করবে তার উপর থেকে হদ্দের শাস্তি অপসারিত হবে। এই অভিমত ইবন কাইয়্যেম তার গবেষণা ‘আল-ইলামে’ ব্যক্ত করেন। দেখুন ৩/১৭-২০,  সাআদাহ প্রেস (قلت: وفي هذا الحديث فائدة هامة، وهي أن الحد يسقط عمن تاب توبة صحيحة وإليه ذهب ابن القيم في بحث له في ” الإعلام ” فراجعه (30 / 17 – 20 مطبعة السعادة)’।   (প্রাগুক্ত, পৃ. ৫৬৮)।  

এই হাদিসটি ইমাম আহমদ, আবু দাউদ ও তিরমিযি বর্ণনা করেন।  
 
আরবি টেক্সট: خرَجَتِ امرأةٌ إلى الصَّلاةِ، فلَقِيَها رجلٌ، فتجَلَّلَها بثيابِه، فقَضَى حاجتَه منها، وذهَبَ، وانتهَى إليها رجُلٌ، فقالَتْ له: إنَّ الرجُلَ فعَلَ بي كذا وكذا، فذَهَبَ الرجُلُ في طَلَبِه، فانتهَى إليها قومٌ من الأنصار، فوَقَفوا عليها، فقالَتْ لهم: إنَّ رجُلًا فعَلَ بي كذا وكذا، فذَهَبوا في طلبِه، فجاؤوا بالرجُلِ الذي ذهَبَ في طَلَبِ الرجُلِ الذي وقَعَ عليها، فذَهَبوا به إلى النَّبيِّ صلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ، فقالَتْ: هو هذا، فلمَّا أمَرَ النَّبيُّ صلَّى اللهُ عليه وسلَّمَ برَجْمِه، قالَ الذي وقَعَ عليها: يا رسولَ اللهِ، أنا واللهِ هُوَ، فقالَ للمرأةِ: اذهَبي، فقدْ غَفَرَ اللهُ لكِ، وقالَ للرجُلِ قولًا حَسَنًا، فقيلَ: يا نَبيَّ اللهِ، ألَا تَرْجُمُه؟ فقالَ: لقدْ تابَ توبةً لو تابَها أهلُ المدينةِ، لقُبِلَ منهُمْ.

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত।
وَعَنْهُ: أَنَّ امْرَأَةً خَرَجَتْ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُرِيدُ الصَّلَاةَ فَتَلَقَّاهَا رَجُلٌ فَتَجَلَّلَهَا فَقَضَى حَاجَتَهُ مِنْهَا فَصَاحَتْ وَانْطَلَقَ وَمَرَّتْ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ فَقَالَتْ: إِنَّ ذَلِكَ الرَّجُلَ فَعَلَ بِي كَذَا وَكَذَا فَأَخَذُوا الرَّجُلَ فَأَتَوْا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهَا: «اذْهَبِي فَقَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكِ» وَقَالَ لِلرَّجُلِ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهَا: «ارْجُمُوهُ» وَقَالَ: «لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا أَهْلُ الْمَدِينَةِ لَقُبِلَ مِنْهُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে জনৈকা মহিলা সালাতের উদ্দেশে বের হলো। এমন সময় এক ব্যক্তি তাকে ধরে নিয়ে জোরপূর্বক যিনা করলে মহিলাটির চিৎকারে পুরুষটি পালিয়ে যায়। তখন মুহাজিরদের একটি দল সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। তখন মহিলাটি বলল, ঐ লোকটি আমার সাথে এরূপ এরূপ করেছে। তারা তখন ঐ লোকটিকে গ্রেফতার করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত করল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঐ মহিলাটিকে বললেন, চলে যাও আল্লাহ তা’আলা তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর যে লোকটি মহিলাটির সাথে যিনা করেছিল। যিনাকারীর ব্যাপারে হুকুম করলেন, একে পাথর নিক্ষেপে হত্যা কর। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, লোকটি এমনভাবে তওবা্ করেছে যদি মদীনার সকল লোক এরূপ তওবা্ করত, তাহলে তাদের সকলের পক্ষ থেকে তা কবুল করা হতো। মিশকাত-৩৫৭২ (আবূ দাঊদ ৪৩৭৯, তিরমিযী ১৪৫৪,আহমাদ ২৭২৪০, সহীহাহ্ ৯০০, সহীহ আত্ তারগীব ২০২৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশুদ্ধ কথা হল, ঐ ব্যক্তিকে রজম করা হয়নি। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' কে ওহীর মাধ্যমে জানানো হয়েছিলো যে, ঐ ব্যক্তি খালিছ নিয়তে তাওবাহ করার দরুণ তার তাওবাহকে কবুল করে নেয়া হয়েছে।

সাধারণ বিধান হল,
বিবাহিতের ক্ষেত্রে যিনার শাস্তি পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।আর অবিবাহিত হলে ১০০বেত্রাঘাত দেওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
reshown by
মুহতারাম শাইখ! মিশকাত, তিরমিযী এবং আবু দাউদের রেওয়ায়েতে দেখলাম এই হাদীসে এসেছে যে, রাসূল ﷺ সেই ব্যক্তির হদ্দ রজমের মাধ্যমে কার্যকর করার আদেশ দিয়েছিলেন। 

মিশকাত: ৩৫৭২
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=68899

তিরমিযী: ১৪৫৪
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=40270

আবু দাউদ: ৪৩৭৯
https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=61747

এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ কথা তাহলে কী হবে? হদ্দ প্রয়োগ করা হয়েছিল নাকি মাফ করে দেওয়া হয়েছিল? 
by
@ لنتبور  আপনি যেই হাদিসগুলো পাঠিয়েছেন ্, সেখানেই তো লেখা আছে, হাসান, তাকে রজম কর বাক্য ব্যতীত। সঠিক বক্তব্য হল তাকে রজম করা হয় নাই। মিশকাত (৩৫৭২) সহীহাহ (৯০০)।
এবার বুঝে নেন!
by (4 points)
@কবি জ্বি, বুঝতে পেরেছি এবার৷ মিশকাতের হাদীসে অবশ্য এটা লিখা ছিল না যে, রজম করার অংশটা সহীহ নয়। এজন্য কনফিউজড হয়েছিলাম। 
জাযাকুমুল্লহু খইরন। 
by (589,140 points)
ঐ ব্যক্তি কে রাসূলুল্লাহ সাঃ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। এটাই বিশুদ্ধ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...