জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ভাষা হলো আল্লাহ তাআলার নেয়ামাত সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি নেয়ামত। মহাগ্রন্হ আল কুরআনের (সুরা রুম আয়াত নং ২২)
আল্লাহ তা. নেয়ামাত হিসাবে অভিহিত করেছেন। এবং হাদীসে রাসূল সা. ভাষা শিখার প্রতি তাঁর সাহাবাদেরকে উদ্ধুদ্ধও করেছিলেন, বিশেষ করে ‘বিদেশী ভাষা’শিখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন,
মুসনাদে আহমাদের রেওয়ায়াতে উল্লেখ হয়েছে, রাসূল সা. সুরইয়ানী ভাষা শিখার জন্য যায়েদ বিন সাবেতকে আদেশ করলে, তিনি মাত্র ১৭ দিনে তা শিখে নিয়েছিলেন।অবশ্য বেশীর ভাগ ক্ষেত্র এসব প্রেক্ষাপট ছিলো ইসলাম প্রচারের প্রয়োজনে।(মুসনাদে আহমাদ হাদীস নং: ২১৬২৭)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান মতে সব ধরনের সব ভাষায় বই পড়া জায়েজ। শর্ত হচ্ছে দুটি।
★প্রথমত, অশ্লীল ও যৌন সুড়সুড়ি দেয় এমন কিছু হতে পারবে না। কারণ, এগুলো পড়লে এর মাধ্যমে আপনি নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হবেন। অনেক গল্প আছে, যেগুলোতে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য অনৈতিক কথাবার্তা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
★দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, ইসলামী শরিয়তে হারাম, নিষিদ্ধ, গর্হিত—এ ধরনের কোনো বিষয় যদি সেখানে এসে যায়, তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কেউ যদি 'ইংরেজি' নিয়ে অনার্স পড়ে,তাহলে তার এহেন গল্প এড়িয়ে চলতে হবে।
যদি এড়িয়ে না চলে,তাহলে এতে তার গুনাহ হবে।
সেক্ষেত্রে যে ব্যাক্তি এহেন নোংরা সাহিত্য এড়িয়ে না চলতে পারে,গুনাহ করতেই থাকে,তাহলে তার জন্য
'ইংরেজি' নিয়ে অনার্স পড়া জায়েজ হবেনা।
অন্যথায় যে এহেন গল্প এড়িয়ে চলতে পারবে,তার ক্ষেত্রে সমস্যা হবেনা।
পরীক্ষার জন্য পড়তে হলে পড়বে বা পরীক্ষায় লিখতে হলে লিখবে,তবে ইস্তেগফার পাঠ চালিয়ে যাবে।