আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in সালাত(Prayer) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
দ্বীনের পথে আসার আগে অনেকের ই নামাজ রোজা নিয়ে গাফিলতি করতো।

এখন দ্বীনের বুঝ আসার পর, এই নামাজ রোজা আদায় করার পদ্ধতি কি?
নাকি শুধু তওবা করে নিলেই মাফ হয়ে যায়???

প্রশ্ন ২ঃ তারাবির নামাজে দুই রাকাতে একি সূরা পড়া যাবে?

যেমন প্রথম দুই রাকাতে আমি সূরা নাবা পড়লাম।

এতে কি নামাজ শুদ্ধ হবে????

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/1740/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছে,   সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।

কখন থেকে এবং কোন পদ্ধতিতে কা'যা নামায-কে আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1609

জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ فَسَارَ لَيْلَةً حَتَّى إِذَا أَدْرَكَنَا الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلاَلٍ " اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَ " . قَالَ فَغَلَبَتْ بِلاَلاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ بِلاَلٌ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " يَا بِلاَلُ " . فَقَالَ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ لَهُمُ الصَّلاَةَ وَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ { أَقِمِ الصَّلاَةَ لِلذِّكْرَى } " .
 
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খায়বার যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের একরাতে বিরতিহীনভাবে সফর করতে থাকলে আমাদের ক্লান্তি ভাব দেখা দেয়। ফলে শেষ রাতে তিনি যাত্রা বিরতি করেন এবং বিলাল (রাঃ)–কে বলেনঃ তুমি জেগে থাকবে এবং রাতের দিকে লক্ষ্য রাখবে। কিন্তু বিলাল (রাঃ)–ও নিদ্রাকাতর হয়ে তার উটের সাথে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ফলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) , বিলাল এবং তাঁর সহাবীদের কারোরই ঘুম ভাঙ্গল না। অতঃপর সূর্যের তাপ তাদের গায়ে এসে পড়লে সর্বপ্রথম রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জাগলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অস্থির হয়ে বললেনঃ কী হলো বিলাল! বিলাল বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! যে সত্তা আপনাকে অচেতন রেখেছেন, আমাকেও তিনিই অচেতন রেখেছেন। অতঃপর তারা নিজেদের বাহন নিয়ে কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার পর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উযু করলেন এবং বিলালকে নির্দেশ করলে বিলাল ইক্বামাত দিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকলকে নিয়ে ফাজ্রের সলাত আদায় শেষে বললেনঃ কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই উক্ত সলাত আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ্ বলেন, “আমার স্মরণার্থে সলাত প্রতিষ্ঠা কর।” (সূরাহ ত্বাহা, ১৪) [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং- ৪৩৫]


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বালেগ হওয়ার পর থেকে যত নামাজ, রোজা করেননি সবগুলোর কাযা আদায় করবেন। 
প্রতেক দিনের ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ বিতর সহ হিসেব করবেন।
,
নিয়ত এভাবে করবেন যে, ‘আমি জীবনের সর্ব প্রথম ফজরের নামাজের কাযা আদায় করছি।’ আবার নিয়ত করবেন ‘আমি জীবনের সর্ব প্রথম ফজরের নামাজের কাযা আদায় করছি।’ এভাবে সব ফজর নামাজগুলোর কাযা আদায় করবেন। এভাবে নিয়ত করার কারণ হলো যখন আপনি জীবনের সর্ব প্রথম ফজরের নামাজের কাযা আদায় করে ফেলবেন তখন অটোমেটিক জীবনের দ্বিতীয় ফজরের নামাজ প্রথমে হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে জহর, আসর, মাগরীব, ইশা ও বেতরের নামাজ কাযা আদায় করবেন।

তেমনিভাবে রোজার নিয়ত করে কাযা আদায় করবেন অর্থাৎ এভাবে নিয়ত করবেন ‘আমি জীবনের সর্ব প্রথম কাযা রোযা আদায় করছি।’

আর যদি কোন বছরে কয়টি কাজা রোযা আছে,এটি মনে থাকে,তাহলে আপনি বলবেন অমুক বছরের ১ম কাজা রোযা আদায় করছি।

আরো জানুনঃ 

(০২)
যদি এভাবে পড়া হয় যে প্রথম রাকাতে সুরা নাবার কিছু অংশ পড়া হলো,আর ২য় রাকাতে বাকি অংশ।
তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।

আর যদি ১ম রাকাতে পুরাটাই পড়া হয়,আবার ২য় রাকাতেও হুবহু ঐ সুরাটা পড়া হয়,তাহলে ওযর ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে হলে মাকরুহ হবে।
অনিচ্ছায় বা ওযর বশত হলে মাকরুহ হবেনা।

উভয় ছুরতেই নামাজ হয়ে যাবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...