আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (18 points)
আসসালামুআলাইকুম
আমার কয়েকটা জরুরি বিষয় জানার ছিল।
আমি মুদি দোকান করি।।
১-কিছু প্যাকেটজাত পন্য বিশেষ করে৷ চালের বস্তায় অনেক সময় কিছু চাল ঘাটতি থাকে।।।। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি।।আমরা যে ভাবে কিনে আনি সে ভাবেই বস্তা বিক্রি করি।।কিন্তু কোন বস্তায় যদি ঘাটতি থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে কি আমাদের গুনাহ হবে।।।করণীয় কি এই ব্যপারে
২--পুরাতন মালের সাথে প্রায় একই মানের নতুন মাল মিশাতে হয় যেমন একবার মরিচ ভাংগিয়ে আনলাম ওইগুলা প্রায় শেষ তখন নতুন করে আবার ভাংগিয়ে ওই একই ডিব্বায় রাখলাম।।মান হুবহু এক নাও হতে পারে কিন্তু প্রায় কাছাকাছি।।এক্ষেত্রে কি কোন সমস্যা আছে
৩--আমাদের বাড়ি করার সময় মূল টাকার সাথে খুবই অল্প পরিমান ৫% হবে সর্বোচ্চ ব্যাংক সুদের টাকা ছিল।।এখন ওই বাড়ি থেকেই ভাড়া পাচ্ছি।।এই ভাড়ার টাকা দিয়ে ব্যবসা করলে কি ব্যবসার টাকা হালাল হবে।নিয়ত আছে বাড়িতে যে পরিমাণ টাকা সুদের ছিল তা সদকা করবো ইনশাআল্লাহ।। কিন্তু সদকা করার আগে বাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়ে ব্যবসা করলে কি ইনকাম হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো  ব্যবসায় ধোকা দেয়া জায়েজ নেই,কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি স্পষ্ট আকারে বলে দিতে হবে।
যাতে সে ত্রুটি দেখে ক্রয় করতে চাইলে ক্রয় করবে,না চাইলে ক্রয় করবেনা।
কোনোভাবেই ধোকা দিয়ে বিক্রয় করা যাবেনা। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شُمَاسَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ وَلاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ بَاعَ مِنْ أَخِيهِ بَيْعًا فِيهِ عَيْبٌ إِلاَّ بَيَّنَهُ لَهُ " .

‘উকবা বিন ‘আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। অতএব কোন মুসলমানের পক্ষে তার ভাইয়ের কাছে পণ্যের ক্রটি বর্ণনা না করে তা বিক্রয় করা বৈধ নয়।
(ইবনে মাজাহ ২২৪৬)

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ الضَّحَّاكِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ مَكْحُولٍ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ بَاعَ عَيْبًا لَمْ يُبَيِّنْهُ لَمْ يَزَلْ فِي مَقْتٍ مِنَ اللَّهِ وَلَمْ تَزَلِ الْمَلاَئِكَةُ تَلْعَنُهُ " .

নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পণ্যের ত্রুটি বর্ণনা না করে (বরং গোপন করে) বিক্রয় করে, সে সর্বদা আল্লাহর গজবের মধ্যে থাকে এবং ফেরেশতারা সব সময় তাকে অভিশাপ করতে থাকে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২২৪৭)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) খাদ্যশস্যের একটি স্তূপের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তিনি স্তূপের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিলেন, ফলে হাতের আঙুলগুলো ভিজে গেল। তিনি বলেন, হে স্তূপের মালিক! একি ব্যাপার? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! এতে বৃষ্টির পানি পড়েছে। তিনি বলেন, সেগুলো তুমি স্তূপের ওপর রাখলে না কেন? তাহলে লোকেরা দেখে নিতে পারত। যে ধোঁকাবাজি করে সে আমার দলভুক্ত নয়। (মুসলিম শরীফ)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোন বস্তায় যদি ঘাটতি থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাদের করনীয় হলো তাহা ক্রেতাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয়া।
জানিয়ে দেয়ার পর আপনি দায়িত্ব মুক্ত।
সে চাইলে কিনতেও পারে,চাইলে নাও কিনতে পারে।

(০২)
আগের পন্য যদি নষ্ট না হয়,তাহলে এভাবে বিক্রয় করতে কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
ব্যাংক সুদের টাকা দ্বারা উদ্দেশ্য কি?
যদি এখানে লোনের টাকা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে,তাহলে তো আপনি ব্যাংকের লোন শোধ করেছেন,তাই এক্ষেত্রে কোনো সমস্যাই নেই।
টাকা সদকাহ করতে হবেনা।
সেই ভাড়ার টাকায় ব্যবসা বৈধ।

আর যদি এটি সুদী লাভ হয়ে থাকে,তাহলে আপনার বাসার ভাড়ার ৫% হারাম টাকা ধরা হবে।
সুতরাং আপনার ব্যবসার মধ্যে অল্প হলেও হারামের মিশ্রণ থাকবে।
    
বাড়িতে যে পরিমাণ টাকা সুদের ছিল তা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করলে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by

 ওস্তাদ

প্রথম প্রশ্নের ক্ষেত্রে আমরা তো সবসময় চালের বস্তা সব গুলো মেপে দেখি না।।কোনটায় কম কোনটায় বেশি তা তো ঠিক জানি না জানিয়ে ক্ষেত্রে কি করতে পারি।
 আর ৩ নং প্রশ্নের ক্ষেত্রে যদি সুদের টাকা সদকা করার পূর্বে বাসায় থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করি এবং সদকা পরে করি।।তাহলে কি আমার ব্যবসা হারাম হবে বা আমি যদি বাসা থেকে একমাসের ভাড়া নেই এবং তার ৫% ছদকা করি এবং বাকী টাকা দিয়ে ব্যবসা করি তাহলে কি কোন সমস্যা হবে।।

আর যদি উপরের কথায় সমস্যা হয় তাহল্র যদি বাসায় থেকে টাকা ধার হিসেবে নেই মা এর কাছ থেকে এবং পরবর্তীতে সেই টাকা শোধ করে দেই এই ভাবে টাকা নিয়ে ব্যবসা করা যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...