জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ব্যবসায় ধোকা দেয়া জায়েজ নেই,কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি স্পষ্ট আকারে বলে দিতে হবে।
যাতে সে ত্রুটি দেখে ক্রয় করতে চাইলে ক্রয় করবে,না চাইলে ক্রয় করবেনা।
কোনোভাবেই ধোকা দিয়ে বিক্রয় করা যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ أَيُّوبَ، يُحَدِّثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شُمَاسَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ وَلاَ يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ بَاعَ مِنْ أَخِيهِ بَيْعًا فِيهِ عَيْبٌ إِلاَّ بَيَّنَهُ لَهُ " .
‘উকবা বিন ‘আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ মুসলমান মুসলমানের ভাই। অতএব কোন মুসলমানের পক্ষে তার ভাইয়ের কাছে পণ্যের ক্রটি বর্ণনা না করে তা বিক্রয় করা বৈধ নয়।
(ইবনে মাজাহ ২২৪৬)
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ الضَّحَّاكِ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ مَكْحُولٍ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَنْ بَاعَ عَيْبًا لَمْ يُبَيِّنْهُ لَمْ يَزَلْ فِي مَقْتٍ مِنَ اللَّهِ وَلَمْ تَزَلِ الْمَلاَئِكَةُ تَلْعَنُهُ " .
নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি পণ্যের ত্রুটি বর্ণনা না করে (বরং গোপন করে) বিক্রয় করে, সে সর্বদা আল্লাহর গজবের মধ্যে থাকে এবং ফেরেশতারা সব সময় তাকে অভিশাপ করতে থাকে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২২৪৭)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুল (সা.) খাদ্যশস্যের একটি স্তূপের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তিনি স্তূপের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিলেন, ফলে হাতের আঙুলগুলো ভিজে গেল। তিনি বলেন, হে স্তূপের মালিক! একি ব্যাপার? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! এতে বৃষ্টির পানি পড়েছে। তিনি বলেন, সেগুলো তুমি স্তূপের ওপর রাখলে না কেন? তাহলে লোকেরা দেখে নিতে পারত। যে ধোঁকাবাজি করে সে আমার দলভুক্ত নয়। (মুসলিম শরীফ)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোন বস্তায় যদি ঘাটতি থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাদের করনীয় হলো তাহা ক্রেতাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয়া।
জানিয়ে দেয়ার পর আপনি দায়িত্ব মুক্ত।
সে চাইলে কিনতেও পারে,চাইলে নাও কিনতে পারে।
(০২)
আগের পন্য যদি নষ্ট না হয়,তাহলে এভাবে বিক্রয় করতে কোনো সমস্যা নেই।
(০৩)
ব্যাংক সুদের টাকা দ্বারা উদ্দেশ্য কি?
যদি এখানে লোনের টাকা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে,তাহলে তো আপনি ব্যাংকের লোন শোধ করেছেন,তাই এক্ষেত্রে কোনো সমস্যাই নেই।
টাকা সদকাহ করতে হবেনা।
সেই ভাড়ার টাকায় ব্যবসা বৈধ।
আর যদি এটি সুদী লাভ হয়ে থাকে,তাহলে আপনার বাসার ভাড়ার ৫% হারাম টাকা ধরা হবে।
সুতরাং আপনার ব্যবসার মধ্যে অল্প হলেও হারামের মিশ্রণ থাকবে।
বাড়িতে যে পরিমাণ টাকা সুদের ছিল তা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করলে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা।