আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (7 points)
আমরা ৩ জন মিলে অনলাইন ব্যবসা শুরু করি। প্রায় আড়াই বছর পর বিভিন্ন বিষয়ে মতের মিল না হওয়ায় ১ জন পার্টনার ব্যবসা থেকে বের হবার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী মাসেই সে ছেড়ে দিচ্ছে অনলাইন ব্যবসাটা। বাকি ২ পার্টনার এই অনলাইন ব্যবসাটা চালিয়ে যেতে চাচ্ছি। আমাদের ৩য় পার্টনার বের হবার সময় আমরা তাকে কিভাবে তার পাওনাটা বুঝিয়ে দিব? প্রথমত, তার পুরো যে বিনিয়োগ আছে স্টককৃত মালামালের উপর তা আমরা মালের ক্রয়মূল্য ধরে দিয়ে দিতে চাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। দ্বিতীয়ত, অনলাইন ব্যবসা চালাতে যে পেইজটি আমরা খুলেছিলাম তাতে বুস্ট করতে হয় লাইক বা কাস্টমার বাড়াতে। সেটাতেও তার যে বিনিয়োগ করতে হয়েছে এই পর্যন্ত তা দিতে চাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। এখন, আমাদের ৩য় পার্টনারের দাবি, এই অনলাইন পেইজটি বিক্রি করলে যা মুল্য হত তার ৩ ভাগের ১ ভাগও তাকে দিতে হবে। এটা কতখানি যুক্তিযুক্ত?  উল্লেখ্য,  আমরা বাকি ২ পার্টনার তাকে ব্যবসায়িক পার্টনারশিপ থেকে বের করে দিই নি (সে স্ব ইচ্ছায় বাদ দিচ্ছে) বা আমরা পেইজটি কোথাও বিক্রয়ও করছি না। সেক্ষেত্রে আমাদের ৩য় পার্টনারের দাবি কতখানি যুক্তিযুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (566,340 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


শরীকানা ব্যাবসার ক্ষেত্রে শরীয়তের উসুল হলো যাহা লাভ হবে,তাহা শতকরা হারে উভয়ের মাঝে বন্টন করার চুক্তি করতে হবে।
কোনো নির্দিষ্ট টাকার চুক্তি করা যাবেনা,লোকসান হলে আগে লাভের টাকা থেকে সেটা পূরন করা হবে,অতঃপর মূলধন থেকে পূরন করা হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ     
بَاب الشَّرِكَةِ وَالْمُضَارَبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اشْتَرَكْتُ أَنَا وَسَعْدٌ، وَعَمَّارٌ، يَوْمَ بَدْرٍ فِيمَا نُصِيبُ فَلَمْ أَجِئْ أَنَا وَلاَ عَمَّارٌ بِشَىْءٍ وَجَاءَ سَعْدٌ بِرَجُلَيْنِ .
শারীকাত (অংশিদারী) ও মুদারাবা ব্যবসা
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন সাদ (রাঃ) , আম্মার (রাঃ) ও আমি গানীমাতের মালের ব্যাপারে অংশীদার হই (এই মর্মে যে, আমরা যা পাবো তা তিনজনে ভাগ করে নিবো)। আম্মার ও আমি কিছুই আনতে পারিনি। অবশ্য সাদ (রাঃ) দু’জন যুদ্ধবন্দী নিয়ে আসেন।
নাসায়ী ৪৬৯৭, আবূ দাউদ ৩৩৮৮, বায়হাকী ফিস সুনান ৪/১৯৪, ইরওয়া ১৪৭৪। 

 مَالِك وَجْهُ الْقِرَاضِ الْمَعْرُوفِ الْجَائِزِ أَنْ يَأْخُذَ الرَّجُلُ الْمَالَ مِنْ صَاحِبِهِ عَلَى أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ وَلَا ضَمَانَ عَلَيْهِ وَنَفَقَةُ الْعَامِلِ فِي الْمَالِ فِي سَفَرِهِ مِنْ طَعَامِهِ وَكِسْوَتِهِ وَمَا يُصْلِحُهُ بِالْمَعْرُوفِ بِقَدْرِ الْمَالِ إِذَا شَخَصَ فِي الْمَالِ إِذَا كَانَ الْمَالُ يَحْمِلُ ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ مُقِيمًا فِي أَهْلِهِ فَلَا نَفَقَةَ لَهُ مِنْ الْمَالِ وَلَا كِسْوَةَ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُعِينَ الْمُتَقَارِضَانِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ إِذَا صَحَّ ذَلِكَ مِنْهُمَا قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَشْتَرِيَ رَبُّ الْمَالِ مِمَّنْ قَارَضَهُ بَعْضَ مَا يَشْتَرِي مِنْ السِّلَعِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ صَحِيحًا عَلَى غَيْرِ شَرْطٍ قَالَ مَالِك فِيمَنْ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ وَإِلَى غُلَامٍ لَهُ مَالًا قِرَاضًا يَعْمَلَانِ فِيهِ جَمِيعًا إِنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ لِأَنَّ الرِّبْحَ مَالٌ لِغُلَامِهِ لَا يَكُونُ الرِّبْحُ لِلسَّيِّدِ حَتَّى يَنْتَزِعَهُ مِنْهُ وَهُوَ بِمَنْزِلَةِ غَيْرِهِ مِنْ كَسْبِهِ 
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুযারাবাত বা শরীকী কারবার এইভাবে বৈধ যে, কেহ কাহারও নিকট হইতে এই শর্তে টাকা নেয় যে, সে শ্রম ও মেহনত করিবে। ক্ষতি হইলে সে দায়ী থাকিবে না। সফরে খাওয়া-দাওয়া এবং বহন খরচ ও অন্যান্য বৈধ খরচ ঐ মাল হইতে নিয়ম মাফিক ব্যয় করা হইবে মূলধন অনুযায়ী। অবশ্য অর্থ গ্রহণকারী আবাসে থাকিলে মূলধন হইতে ব্যয় করিতে পারবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি অর্থ গ্রহণকারী অর্থদাতাকে, অর্থদাতা অর্থ গ্রহণকারীকে তাহার শ্রমের পরিমাণ মতো কোন শর্ত ব্যতীত সাহায্য করে তবে তাহাতে কোন ক্ষতি নাই। যদি অর্থদাতা অর্থ গ্রহণকারী হইতে শর্ত ব্যতীত কোন বস্তু খরিদ করে তবে ইহাতেও কোন ক্ষতি নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে এবং স্বীয় দাসকে শরীকী কারবারের জন্য অর্থ দেয় এবং এই শর্ত করে যে, উভয়ই ইহাতে কাজ করিবে, তবে তাহা জায়েয আছে। কারণ নির্ধারিত লভ্যাংশের মালিক ক্রীতদাস হইবে, তাহার প্রভু উহা ছিনাইয়া লইতে পরিবে না, এই মালের স্বত্বাধিকারী ক্রীতদাসই থাকিবে।
(মুয়াত্তা মালিক ১৩৮৯)

বিস্তারিত জানুনঃ   

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সে যেই পরিমান টাকা ব্যবসায় ইনভেস্ট করেছে,সেই পরিমান শতকরা হিসেব করেই সে সব কিছু ফিরে পাবে।
যেমন যদি তিনজনে মিলে সমান ভাবে টাকা দিয়ে থাকে,তাহলে উক্ত স্টক কৃত মালামালের উপর আপনারা মালের ক্রয়মূল্য ধরে দিয়ে নিয়ে ৩ ভাগের একভাগ তাকে দিবেন।
উক্ত অনলাইন পেইজ এই পর্যন্ত দাড় করাতে যেই পরিমান খরচ হয়েছে, তার তিন ভাগের এক ভাগ টাকা তাকে দিয়ে দিবেন। 

যদি তিনি ব্যবসায় আপনাদের চেয়ে কম বা বেশি টাকা ইনভেস্ট করে,তাহলে হিসেবে করে পার্সেন্ট আকারে তাকে ফিরিয়ে দিবেন।

উক্ত সদস্য যেটি দাবী করছেন, আপনারা রাজী না হলে এটি অমূলক দাবী বলে গন্য হবে।
সেই পরিমান টাকা ফিরিয়ে দিতে হবেনা। 
তবে সেই পেইজ এই পর্যন্ত নিয়ে আসতে তারও যেহেতু অনেকে শ্রম রয়েছে,তাই সেই হিসেবে বুস্ট করতে তার যে বিনিয়োগ করতে হয়েছে,তার থেকেও আরো কিছু টাকা তাকে দেয়া উচিত।
এটি তার শ্রম মূল্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...