আসসালামু আলাইকুম,
খুব বেশি জানা দরকার, তাড়াতাড়ি উত্তর দিলে খুশি হবো-
আমি মুটামুটি দ্বীনের পথে থাকতে চেষ্টা করি,দুনিয়াবিমুখ হয়ে থাকতে চাই।কিন্তু আমার স্বামী প্রচণ্ড ধরনের দুনিয়ামুখী একজন মানুষ,সে ফরজ ওয়াজিব কিছুই মানতে চায় না।এমনকি দিনের পর দিন এক ওয়াক্ত সালাত ও আদায় করে না, মাঝে মাঝে ২-৩ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, বাকিগুলোর ব্যাপারে ওর খোজ থাকে না
আমি আর ওর সাথে থাকতে পারছি না, ও এইরকম দুনিয়ামুখী আর ইসলামের সব বিধান সম্পর্কে উদাসীন এটা তো আছেই,সেই সাথে ও আমার তেমন কোনো খরচ ই দিতে চায় না,আমার খাওয়া, জামা কাপড়,অসুস্থ থাকলে চিকিতসা, হাতখরচ কমবেশি সবই আমার বাবা দিয়ে থাকে।
আমার স্বামী এতো বছরেও আমার কোনো খরচ তো সেইভাবে দেয় ই না, সামান্য বাসার বাজার আর দুই একটা কাজে একটু খরচ করতে হলে ও পরে প্রচুর বাজে ভাবে কথা শুনায় তাই নিয়ে, আমার দেনমোহর ও দেয়নি।
আমার কোনো খরচের কথা বললে ও প্রায় আমাকে নিজে উপার্জন করতে বলে, উপার্জন করে ওর সংসারে টাকা দিতে বলে।
প্রায় সময় এটা নিয়ে বলতে থাকে ওর কোন কোন পরিচিত মেয়ে এই বড় জব করে, এতো ভালো পজিশনে আছে ইত্যাদি, আমাকে চাকরি করার জন্য ফোর্স করে আগেও অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে ও, আমার তেমন কোনো খরচ দেয় না ও বিয়ের এতো বছরেও, অথচ আমাকে চাকরি করার জন্য ডিরেক্টলি, ইনডিরেক্টলি প্রচুর মানসিক চাপে রাখে আর বাজে কথা ও শুনায়।
ওর জন্য অনেজ দুআ করেছি, কিন্তু ওর এই দুনিয়ামুখী স্বভাব আরো বাড়ছে।
আমার প্রশ্ন হলো-
১.ও যে আমাকে দেনমোহর দেয়নি, আমার খরচ দিতে চায় না, আমার নিজের দরকার নিজে চাকরি করে মেটাতে বলে,ওর সংসারে টাকা দিতে বলে,
আসলে ইসলাম অনুযায়ী আমার জরুরী খরচ বিয়ের এতো বছর পরে এসে কার দেয়ার কথা?
ও যে খরচ দেয় না,কিছু দিলেও প্রচুর বাজে কথা বলে, আমি কি তাহলে নিজের প্রয়োজন মেটাতে নিজে চাকরি করবো, নাকি এই সংসার ছেড়ে আমার দায়িত্ব নিবে এমন কারোর খোজ করবো?
২.ও যে ইসলামের ফরজ, ওয়াজিব মানে না, সালাত আদায় করে না, এর জন্য আমি দুআ এর পাশাপাশি আর কি কোনো আমল করতে পারি যাতে ও দ্বীনের পথে ফিরে আসে।
৩.দিনের পর দিন যে আমার উপর কোনো দায়িত্ব কর্ত্যব্য পালন করতে চায় না,আমাকে চাকরি করে তার সংসারে টাকা দিতে বলে, কোনো ফরজ ওয়াজিব মানতে চায় না,
এমন স্বামীর কাছ থেকে কি ডিভোর্স চাওয়া যাবে?