আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
259 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। কয়েকটা বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা পেতে চাচ্ছিলাম।জানার জন্য।একদম লাস্ট ক্লেয়ার হওয়ার জন্য।টেনশনে আছি খুব।দয়া করে সব প্রশ্ন পরে একটা ফতোয়া দিয়েন।আর এসব প্রশ্নে কিছু  প্রশ্ন জানার জন্য করেছি। তাই নিজের দিকে ইন্গিত করি নাই।শুধু লাস্টের টাও আগেও করেছিলাম প্রশ্ন।ওটাও জানার জন্য।আগের কথা তহ।স্পষ্ট পরপর বলেছিল কিনাও  মনে নেই সেটাও।ওটাও জানার জন্য করেছি।

১।আর হুজুর কেউ জানার জন্য প্রশ্ন করলে কি তালাক হয়? স্বামী কি বলেছিল তা নিয়ে সন্দেহের বসে জানার জন্য প্রশ্ন করলে আপনাদের?প্রশ্নে নিজের দিকে ইন্গিত না করে প্রশ্ন করলে? শুধু এটা বলেছে শুনেছি এরকম বললে ত...... হয়।বাকি সব কথা নিজের দিকে ইন্গিত না করে স্বামী স্ত্রী যদি এমন বলে ওমন বলে ওভাবে লিখেছে।জানার জন্য প্রশ্ন করেছিল।ঠিক তেমনটা হয়েছিল  তাদের সাথে তা নই।অনেক প্রশ্ন কিছু উত্তরে হবে আসছে আর কিছু উত্তরে স্বামী বললে হবে এমনটা আসছে।মেয়েটা তহ জানার জন্য নিজের দিকে ইন্গিত না করে প্রশ্ন করেছে।এতে কি ওর সমস্যা হবে?ওর বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?

২।স্বামী যদি বলে ওই কথা,গুলো তুমার মা বাবাকে বললে ভাল হবে না বা অসুবিধা হবে? পরে স্ত্রী জানতে চাইলে বলে খারাপ কিছু জানতে চাইও না।কথাগুলো মা বাবাকে  যদি বলে তাহলে কি তালাক হবে? এটা কি শর্ত যুক্ত তালাকের মধ্যে পরে কথাগুলো?...........  আপনি(ইমদাদুল হুজুর)  বলেছিলেন জবাবে স্বামীর তালাকের নিয়ত থাকলে হবে।আমি তখন জিগ্যেস করেছিলাম ওনি বলেছিলেন কোন কথা তালাকের নিয়তে বলে নাই।একসাথে মানে কোন কথা তালাকের নিয়তে বলেছিলা? ওনি বলে না না। এখন কি আর জিগ্যেস করব?ওনি বারন করেছিলেন এই বিষয়ে আর না বলতে।

৩।হুজুর আমি শুনেছি কেনায়া তালাকে নিয়ত লাগে স্বামীর।কিন্তু তালাকের মজলিসে কেনায়া বাক্য বললে তালাক হয় নিয়ত ছাড়া।আর মোবাইলে এসএমএসে  স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর  তালাকের নিয়ত ছাড়া স্বামী কেনায়া বাক্য বললেও কি হয়?স্বামী কেনায়া বাক্য বা কেনায়া তালাক কি সেটা না জানলে নিয়ত নাই সেটা বুঝাচ্ছে না? সেখানে তহ  মানে মেসেজে বা মোবাইলে তালাকের মজলিস হয় না। আমি আসলে জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।এই বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে তাই।আমার সাথে ঠিক এমনটা হয়েছে কিনা জানি না।

৪।এটাও জানার জন্য করতেছি শায়েখ প্রশ্ন।মেসেজে বা মোবাইলে কোন স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামি যদি বলে দিব বা তুমি দিও।এরপর যদি কেনায়া বাক্য নিয়ত ছাড়া মানে তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে তাহলে কি তালাক হবে?

৫।আপনাদের যদি কেউ জানার জন্য বা তালাকের সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করে।নিজেদের নিয়ে উদাহরণ দেয় তাহলে কি তালাক হয়?মানে সন্দেহ আছে সেটা লিখতে ভুলে গেলে।যে প্রশ্ন করতেছে সে যদি জানে   যে  সে সন্দেহ নিয়ে বা জানার জন্য প্রশ্ন করতেছে। তাহলেও?আমিও বিষয়টা জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।

৬।আপনাদের এখানে জানার জন্য এসব প্রশ্ন করায় কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে?নিজের দিকে  ইন্গিত করি নি।আর একথাটা লিখার সময় অর্ধেকে কল আসছিল।পরে পুরো লিখছি এতে সমস্যা হবে? মানে  " নিজের দিকে " এতটুকু লিখার পর কল আসছল কল কথা শেষ করে  লিখছি "ইন্গিত করি নি"।এতে সমস্যা হবে?আমি নিজের দিকে ইন্গিত করি নি সেটা লিখতে চেয়েছিলাম।কল আসছিল তাই পরে লিখছি।

৭।আমাদের স্বামী স্ত্রীর বিয়ে হয়েছে এক বছর।কিন্তুু নামিয়ে নিয়ে যায় নি।আমাদের মাঝে মাঝে ঝগড়া হত।আমি ব্লক ও করে দিতাম রেগে ওনিও দিত।আমার তালাকের ব্যপারে এত স্পষ্ট কোন ধারনা ছিল না।তবু আমি জিগ্যেস করেছি কোনদিন তালাক  দিয়েছিল কিনা।ওনি বলে না দেই নাই।এমনিতেও ওনি তালাকের কথা বলত না।আমি আলাদা আলাদা জিগ্যেস করি নি এক্কেবারে জিগ্যেস করেছি কারন ওনি রেগে যায়।আর এই ব্যপারে কথা না বলতে বলে।ওনার কথাও  মনে থাকে না।এতে কি আমাদের গুনাহ হবে?

৮।স্বামী কি বলেছে সেটা সন্দেহ নিয়ে স্ত্রী আপনাদের প্রশ্ন করলে প্রশ্নে সন্দেহের কথা উল্লেখ না করলে।উক্ত প্রশ্নের  উত্তর হ্যা হলে কি তালাক হবে? সেই কথা স্বামি  না বলে থাকলেও?স্ত্রী প্রশ্ন করলে সেটা কি মিথ্যাশিকারোক্তি হবে? স্বামী এসবের ব্যপারে কিছু না জানলেও বা মনে না থাকলেও স্বামীর?

৯।কোন স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর স্বামি যদি নিয়ত ছাড়া তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে টিক আছে মেসেজ দিস না,কল দিস না।মাঝে মাঝে ব্লক ও করত আবার মাঝে মাঝে করত না।পরে ঠিকি কথা বলে নিজে।স্বামী  রাগ আর অভিমান করে বলত মনে হয় বললেও।কথা না বলে কোনদিন থাকতে পারে না বা পারত না স্বামী ।এমন কি লাইক হলেও পাঠায় কথা বলার জন্য,স্ত্রী কথা না বললে।স্বামী শপথ করে বলেছিল কোনদিন তালাকের নিয়তে কোন কথা বলে নাই স্ত্রীকে।কোনদিন তালাক দেইও নি স্ত্রীকে বিয়ের পর।এতে কি সমস্যা হবে? এসব কি কেনায়া বাক্য? স্বামীকে পরে জিগ্যেস করায় সে যদি শপথ করে বলে যে তালাকের নিয়তে বলে নাই।তাহলে কি সমস্যা হবে?এই প্রশ্নটা আগেও জিগ্যেস করেছিলাম জানার জন্য আপনার কাছে।আপনি না বলেছিলেন মানে সমস্যা হবে না এগুলো কেনায়া বাক্য নয়।ওয়াসওয়সার কারনে আবার জিগ্যেস করেছি।জানার জন্য।আগের কথা তহ সন্দেহ আর ভয় হয়।তখন স্বামী স্ত্রীর কেও জানতাম ওই না কেনায়া তালাক কি।পরে স্বামীকে জিগ্যেস করলে সে শপথ করে বলে যে কোনদিন তালাকের নিয়তে কথা বলে নাই।আমরা একসাথে থাকতে চাই হুজুর।কোন সমস্যা হবে?ওনি শপথ করে বলেছে এসব কোনদিন তালাকের নিয়তে বলে নাই।আর আমরা কেউ জানতাম ওই না কেনায়া তালাক কি।মেসেজে কথা হয়।১ বছর হয়েছে বিয়ের।আমি এখনো বাবার বাসায় থাকি।নামিয়ে নিয়ে যায় নাই। আর যদি ঠিক এমন না বলে আমি প্রশ্ন করায় উত্তর হ্যা হলে কি তালাক হবে? মানে স্বামী ঠিক এমনটা না বললে?আর সন্দেহের কথা পরে এডিট করে বললে কি সমস্যা হবে? সবকিছু হঠাত মনে পড়ে না তাই।

আর এসব উপরোক্ত কোন প্রশ্নের কারনে কি আমার বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাকে ফাতাওয়া দেওয়ার পূর্বে আপনার সাথে কথা বলা অত্যান্ত জরুরী।
আপনি আমাকে ফোন দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
reshown by
আরেকটা  প্রশ্ন শায়েখ।বিয়ের আগে স্বামি কোনদিন শর্ত যুক্ত তালাকের কথা বলেছে কিনা মনে নেই।জানি না ওনার মনে আছে কিনা।কারন আমাদের বিয়ের অনেক   বছর আগে থেকে পরিচয়।ওনার তেমন মনেও থাকে না কথা।আর ওনি তালাকের ব্যপারে কোন প্রশ্ন না করতে বলেছে।আমার ও সন্দেহ হচ্ছে ওনাকে কি এই ব্যপারে প্রশ্ন করা উচিত হবে সন্দেহ নিয়ে? ওনার মনেও থাকে না যদি ভুলভাল বলে তাই ভয় হয়।
by (597,330 points)
আপনারা স্বামী স্ত্রীর সাথে কথা বলা অত্যান্ত জরুরী।
by (30 points)
edited by
শায়েখ আমার স্বামী দূরে থাকে। আর এ বিষয়ে ওনাকে বললে ওনি আরো রেগে যাবে স্বামী।ওনি অনেক বার বলেছে এসব নিয়ে চিন্তাও না করতে।আর বলেছে ওনার মনেও নেই।আমার অনেক ভয় লাগে তাই জিগ্যেস করি।আমিও চাই এসব চিন্তা দূর করে শান্তিতে থাকতে।আর আমি এমন এক পরিস্থিতিতে আছি কল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।কখন কথা বলতে পারি সেটাও জানি না।দুঃখিত হুজুর।কাউকে কিছু বুঝাতেও পারি না বলতেও পারি না।মনে ভয় থাকে সবসময় কোন গুণাহ হচ্ছে কিনা ভেবে।সবসময় কোন এরকম বলেছ কিনা ওইরকম বলেছে কিনা সন্দেহ হয়।জিগ্যেস না করলে কোন গুনাহ হবে কিনা জানার চেস্টা না করলে সেটা ভেবে প্রশ্ন করি।দুঃখিত হুজুর।আর আমার সমস্যা আমি বুঝিয়ে কিছু লিখতে বা বলতে পারি না কাউকে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...