আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আমার ভাসুর আমার স্বামীর কাছে বাড়ি বানানোর জন্য টাকা ধার নিতে চান।উনি যে পরিমাণ টাকা চান(৬ লাখ) তা আমাদের হাতে নাই এবং আমরা কারো কাছে বিনা সুদে টাকা ধারও পাচ্ছি না।এজন্য তিনি আমার স্বামীকে ব্যাংক থেকে লোন করে টাকা দিতে বলছেন।লোনের টাকা আমার স্বামীর স্যালারি থেকে কাটবে। ভবিষ্যতে সেই টাকা টা আবার আমাদেরকে ফেরত দিতে পারেন।এই অবস্থায় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে টাকাটা আমার ভাসুরকে দেওয়া জায়েজ হবে কি? যদি ভবিষ্যতে তিনি টাকা ফেরত দেন, তবে সেই টাকা কি আমাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা জায়েজ হবে?আমার স্বামী কি সুদি কারবারে জড়িত বলে গন্য হবেন?
উল্লেখ্য যে,টাকাটা দেওয়ার জন্য আমরা বাধ্য।সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে এরকম অবস্থা।আমরা কিছুতেই সুদি কারবারে জড়াতে চাই না।কিন্তু ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ভয় পাচ্ছেন আমার স্বামী।
অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন, শায়খ।

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

জবাবঃ

কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা দিয়েছেন,

ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (সূরা-মায়েদা-২)

 

সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন -

واحل الله البيع و حرم الربوا.

" আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারা, আয়াত:২৭৫)

 

সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."

حكم الحديث: صحيح

"হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷ সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)

 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ جَابِرٍ قَالَ : لَعَنَ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ أَكَلَ الرِّبَا وَمُوَكِلَه وَكَاتِبَه وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ : «هُمْ سَوَاءٌ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

 জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা‘নাত করেছেন, যে ব্যক্তি সুদ খায়, যে সুদ দেয়, যে সুদের কাগজপত্র লিখে, যে দু’জন সুদের সাক্ষী হয় তাদের সকলের ওপর। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেছেন, (গুনাহের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে) তারা সকলেই সমান।

মুসলিম ১৫৪৯, সহীহ আত্ তারগীব ১৮৪৭।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. না, ব্যাংক থেকে সুদ ভিত্তিক লোন নিয়ে তাকে দেওয়া জায়েজ হবে না। তবে তাকে একান্ত সহযোগিতা করতে চাইলে আপনাদের কোনো মূল্যবান বস্তু যেমন স্বর্ণ, রূপা, জমি ইত্যাদি বিক্রি করে তাকে ধার দিতে পারেন। তবুও ব্যাংক থেকে সুদ ভিত্তিক লোন নিয়ে তাকে দেওয়া জায়েজ হবে না।

২. বিভিন্ন কোম্পানী বা ব্যাংক  তারা বাকীতে অনেক জিনিস যেমন, রড, বালি, সিমেন্ট, ঘর বাড়ীর আসবাবপত্র ইত্যাদি বিক্রি করে থাকে। কিস্তি কিস্তি আকারে  উক্ত মূল্য পরিশোধ করতে হয়। আর তা গ্রহণ করা জায়েজ। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সুদ না নিয়ে এভাবেও বিল্ডিং করা সম্ভব। উল্লেখ্য যে, এখানে কোম্পানী বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নগদ টাকা (আপনার ভাসুর বা আপনাদেরকে) না দিয়ে উক্ত জিনিসগুলো  কিনে দিবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...