তালাক খুবই মারাত্মক বিষয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরয়ী হুকুম হল এই যে, প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোন তালাক পতিত হয়নি।
নিশ্চিত থাকুন।
ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ
يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ
তালাক শব্দ বলার ক্ষেত্রে তালাকের নিয়ত থাকা আবশ্যক।
যদি তালাকের নিয়ত না করে,তাহলে তালাক হবেনা।
لو كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول: أنت طالق ولا ينوى طلاقا لا تطلق، (فتح القدير، كتاب الطلاق، باب ايقاع الطلاق-4/4)
কেহ যদি তালাকের মাসয়ালা বারবার তার স্ত্রীর সামনে পড়ে,বলে যে তুমি তালাক,,, তালাকের নিয়ত ছাড়া যদি বলে,তাহলে তালাক হবেনা।