ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একজন পুরুষ সর্বোচ্ছ চারজন মহিলা বিবাহ করতে পারবে এটা আল্লাহ তা'আলার বিধান। এটা আপনার বোনের পচন্দ-অপচন্দের বিষয় নয়। আল্লাহর হুকুমের আনুগত্যশীল থাকা উনার একান্ত কর্তব্য। এতে অনেক হেকমত নিহিত রয়েছে। যা আমাদের জন্য বুঝা প্রায় অসম্ভব।সচরাচর যে হেকমতটা আমরা বুঝি,তা হল,,,,,,,,
দেখুনঃ
আদীকাল থেকে এখন পর্যন্ত সর্বদা মহিলাদের সংখ্যাই বেশী।এবং কিয়ামত পূর্ব পর্যন্ত এ ধারাবাহিকতা চলতেই থাকবে।এমনকি কিয়ামতের পূর্বে একজন পুরুষের গায়ে ৫০জন মহিলা হবে। অর্থ্যাৎ তখন ৫০ডাবল বেশী হবে নারী। এখন যদি আপনার বোন শুধু নিজের চিন্তা করে নিজ স্বামীর জন্য অন্য মহিলাকে অপচন্দ করে,তাহলে অন্যান্য অসহায় নিরাশ্রয় মহিলাদের কি অবস্থা হবে।বা আল্লাহ না করুক যদি উনার স্বামীর কিছু হয়ে যায় তাহলে অভিবাহিত পুরুষ সহজেই উনাকে বিবাহ করতে আগ্রহী হবে না। এটাই স্বাভাবিক। তখন কোনো বিবাহিত পুরুষের সাথে তাকে বিবাহ দেওয়া হবে।তখনএই বিবাহিত পুরুষের কাছে বিবাহ দেওয়াই উনার ইজ্জত-আব্রু রক্ষার উত্তম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।তাই শুধু নিজের চিন্তা না করে একজন মহিলার জন্য অপর এক অসহায় বোনের চিন্তা করা উচিৎ।
ইসলাম পুরুষদেরকে বহু বিবাহের প্রতি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করেছে।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﺇِﻥْ ﺧِﻔْﺘُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗُﻘْﺴِﻄُﻮﺍْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻴَﺘَﺎﻣَﻰ ﻓَﺎﻧﻜِﺤُﻮﺍْ ﻣَﺎ ﻃَﺎﺏَ ﻟَﻜُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﻣَﺜْﻨَﻰ ﻭَﺛُﻼَﺙَ ﻭَﺭُﺑَﺎﻉَ ﻓَﺈِﻥْ ﺧِﻔْﺘُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌْﺪِﻟُﻮﺍْ ﻓَﻮَﺍﺣِﺪَﺓً ﺃَﻭْ ﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢْ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌُﻮﻟُﻮﺍْ
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
সূরা নিসা-০৩।
দেখুন উক্ত আয়াতে প্রথমেই বহুবিবাহের কথা বলা হচ্ছেনা। বরং বলা হচ্ছে যে এ'তিম মেয়েদের হক্ব পুরোপুরি ভাবে আদায় না করার ভয় হলে এক,দুই, তিন,চার পর্যন্ত মহিলাদেরকে বিবাহ করতে পারবে।
এবং সর্বশেষে বলা হচ্ছে, ন্যায়সঙ্গতা বজায় না রাখার আশংকা থাকলে, একটাই উত্তম।
হাদীস শরীফে এসেছে, যদি কেউ এক স্ত্রীর প্রতি জুকে যায়,তাহলে ক্বিয়ামতের দিন সে এক সাইট জুকে জুকে হাশরের ময়দানে ঘুড়বে।
একজন পুরুষ চারটা বিবাহ করলে, প্রতি মহিলাকে আলাদা প্লাট বা নিরিবিলি একটি স্বতন্ত্র ঘর দিতে হবে, যেখানে তারা তাদের ইচ্ছামত সময় অতিবাহিত করবে।এবং চারদিন পর একবার ঘুরে তার বারী বা পালা আসবে।সব স্ত্রী আলাদা আলাদা থাকবে।অনেকের স্বামী দশ বছর বিশ বছর বিদেশ থাকে, এখানে তো সে চারদিন পর একদিন পাচ্ছে।তাছাড়া মহিলাদের এমনিতেই প্রতি মাসে ১০দিন পিরিয়ড চলে এই সময় সহবাস করা ক্ষতিকর, এখন পুরুষের সহবাসের প্রয়োজন হলে সে কোথায় যাবে।যদি দ্বিতীয় আরেকটি বিবি থাকে তাহলে সেখানে যাবে।
যেখানে মানুষের বিবেক-আকল অচল,সেখান থেকে ওহীর সূচনা।আর পুরুষের জন্য বহু বিবাহ ওহী দ্বারা প্রমাণিত।পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে কোথাও এক বিবাহের কথা নেই বরং যা ইচ্ছা তাই।একমাত্র কোরআন-ই যে এক বিবাহের কথা উত্তম বলা হয়েছে।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
দ্বিতীয় বিয়েতে স্বামীকে বাধা দেয়া স্ত্রীর জন্য কখনো উচিৎ নয়। হ্যা, স্বামীকে কোনোভাবে দ্বিতীয় বিয়ে না করতে বাধ্য করা স্ত্রীর জন্য জায়েয হবে না।এক্ষেত্রে স্ত্রীর গোনাহ হবে।
(২)
দ্বিতীয় বিয়েকে অস্বীকার বা বন্ধ করে দিলে, তা কুরআন অবমাননা হবে।আর কুরআন অবমাসসা করলে ঈমান থাকবে না।
(৩)
আপনার জানাটা ভুল। চার বিয়ে সমস্ত মুসলমানের জন্য জায়েয।
(৪)
মেয়েরা সর্বদা এ নিয়ত রাখবে, যা আল্লাহ ভালো মনে করেন, তাই হবে।
(৫)
স্বামির একাধিক বিয়েতে স্ত্রী কষ্ট পেলে, মন খারাপ হলে, এজন্য কারো গোনাহ হবে না।