আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
345 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
১/দ্বিতীয় বিয়েতে তে স্বামি কে বাধা দিলে স্ত্রি কি গুনাহ গার হবে?

২/দ্বিতীয় বিয়ে করা অপছন্দ করলে কি আল্লাহর হুকুম অমান্য করা হবে?এতে কি ইমানের কোনো ক্ষতি হবে?

৩/একটি আর্টিকেল এ পরেছিলাম একাধিক বিয়ে শুধু নবির জন্য বৈধ ছিলো।যারা বলে ৪ টি বিয়ে করা যায়েজ তারা ভুল বলে কুর আন হাদিসে নাকি এর কথা বলা হয়নি যেটা বলা হয়েছে তা শুধু এতিম দের জন্য।

৪/ একাধিক বিয়েতে মেয়েদের দৃষ্টি ভংগি কেমন হওয়া উচিত

৫/স্বামির একাধিক বিয়েতে স্ত্রি কষ্ট পেলে মন খারাপ হলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একজন পুরুষ সর্বোচ্ছ চারজন মহিলা বিবাহ করতে পারবে এটা আল্লাহ তা'আলার বিধান। এটা আপনার বোনের পচন্দ-অপচন্দের বিষয় নয়। আল্লাহর হুকুমের আনুগত্যশীল থাকা উনার একান্ত কর্তব্য। এতে অনেক হেকমত নিহিত রয়েছে। যা আমাদের জন্য বুঝা প্রায় অসম্ভব।সচরাচর যে হেকমতটা আমরা বুঝি,তা হল,,,,,,,,
দেখুনঃ
আদীকাল থেকে এখন পর্যন্ত সর্বদা মহিলাদের সংখ্যাই বেশী।এবং কিয়ামত পূর্ব পর্যন্ত এ ধারাবাহিকতা চলতেই থাকবে।এমনকি কিয়ামতের পূর্বে একজন পুরুষের গায়ে ৫০জন মহিলা হবে। অর্থ্যাৎ তখন ৫০ডাবল বেশী হবে নারী। এখন যদি আপনার বোন শুধু নিজের চিন্তা করে নিজ স্বামীর জন্য অন্য মহিলাকে অপচন্দ করে,তাহলে অন্যান্য অসহায় নিরাশ্রয় মহিলাদের কি অবস্থা হবে।বা আল্লাহ না করুক যদি উনার স্বামীর কিছু হয়ে যায় তাহলে অভিবাহিত পুরুষ সহজেই উনাকে বিবাহ করতে আগ্রহী হবে না। এটাই স্বাভাবিক। তখন কোনো বিবাহিত পুরুষের সাথে তাকে বিবাহ দেওয়া হবে।তখনএই বিবাহিত পুরুষের কাছে বিবাহ দেওয়াই উনার ইজ্জত-আব্রু রক্ষার উত্তম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।তাই শুধু নিজের চিন্তা না করে একজন মহিলার জন্য অপর  এক অসহায় বোনের চিন্তা করা উচিৎ।
ইসলাম পুরুষদেরকে বহু বিবাহের প্রতি নানাভাবে নিরুৎসাহিত করেছে।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 
ﻭَﺇِﻥْ ﺧِﻔْﺘُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗُﻘْﺴِﻄُﻮﺍْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻴَﺘَﺎﻣَﻰ ﻓَﺎﻧﻜِﺤُﻮﺍْ ﻣَﺎ ﻃَﺎﺏَ ﻟَﻜُﻢ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﻣَﺜْﻨَﻰ ﻭَﺛُﻼَﺙَ ﻭَﺭُﺑَﺎﻉَ ﻓَﺈِﻥْ ﺧِﻔْﺘُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌْﺪِﻟُﻮﺍْ ﻓَﻮَﺍﺣِﺪَﺓً ﺃَﻭْ ﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢْ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌُﻮﻟُﻮﺍْ
আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
সূরা নিসা-০৩। 
দেখুন উক্ত আয়াতে প্রথমেই বহুবিবাহের কথা বলা হচ্ছেনা। বরং বলা হচ্ছে যে এ'তিম মেয়েদের হক্ব পুরোপুরি ভাবে আদায় না করার ভয় হলে এক,দুই, তিন,চার পর্যন্ত মহিলাদেরকে বিবাহ করতে পারবে।
এবং সর্বশেষে বলা হচ্ছে, ন্যায়সঙ্গতা বজায় না রাখার আশংকা থাকলে, একটাই উত্তম।
হাদীস শরীফে এসেছে, যদি কেউ এক স্ত্রীর প্রতি জুকে যায়,তাহলে ক্বিয়ামতের দিন সে এক সাইট জুকে জুকে হাশরের ময়দানে ঘুড়বে। 
একজন পুরুষ চারটা বিবাহ করলে, প্রতি মহিলাকে আলাদা প্লাট বা নিরিবিলি একটি স্বতন্ত্র ঘর দিতে হবে, যেখানে তারা তাদের ইচ্ছামত সময় অতিবাহিত করবে।এবং চারদিন পর একবার ঘুরে তার বারী বা পালা আসবে।সব স্ত্রী আলাদা আলাদা থাকবে।অনেকের স্বামী দশ বছর বিশ বছর বিদেশ থাকে, এখানে তো সে চারদিন পর একদিন পাচ্ছে।তাছাড়া মহিলাদের এমনিতেই প্রতি মাসে ১০দিন  পিরিয়ড চলে এই সময় সহবাস করা ক্ষতিকর, এখন পুরুষের সহবাসের প্রয়োজন হলে সে কোথায় যাবে।যদি দ্বিতীয় আরেকটি বিবি থাকে তাহলে সেখানে যাবে।

যেখানে মানুষের বিবেক-আকল অচল,সেখান থেকে ওহীর সূচনা।আর পুরুষের জন্য বহু বিবাহ ওহী দ্বারা প্রমাণিত।পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে কোথাও এক বিবাহের কথা নেই বরং যা ইচ্ছা তাই।একমাত্র কোরআন-ই যে এক বিবাহের কথা উত্তম বলা হয়েছে।


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
দ্বিতীয় বিয়েতে স্বামীকে বাধা দেয়া স্ত্রীর জন্য কখনো উচিৎ নয়। হ্যা, স্বামীকে কোনোভাবে দ্বিতীয় বিয়ে না করতে বাধ্য করা স্ত্রীর জন্য জায়েয হবে না।এক্ষেত্রে স্ত্রীর গোনাহ হবে।

(২)
দ্বিতীয় বিয়েকে অস্বীকার বা বন্ধ করে দিলে, তা কুরআন অবমাননা হবে।আর কুরআন অবমাসসা করলে ঈমান থাকবে না।


(৩)
আপনার জানাটা ভুল। চার বিয়ে সমস্ত মুসলমানের জন্য জায়েয।

(৪)
মেয়েরা সর্বদা এ নিয়ত রাখবে, যা আল্লাহ ভালো মনে করেন, তাই হবে।

(৫)
স্বামির একাধিক বিয়েতে স্ত্রী কষ্ট পেলে, মন খারাপ হলে, এজন্য কারো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...