আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমি মোঃ নাঈম হোসেন।
হুজুর আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর আমি সঠিক টা জানতে চাচ্ছি।আমি এক্টা  মেয়েরে  সাথে সম্পর্ক করে কাউ কে না জানিয়ে  কাজি অফিস এ বিয়ে করছ।সময় আমাদের সাথে আরেক প্রেমিক প্রেমিকা ছিল। আমরা একটা দিন ফিক্সড করে চার জন একটা কাজি অফিস এ গিয়ে বিয়ে করেছি।বিয়ের সময় সাক্ষী হিসেবে কাউকে নিয়ে আসেনি।অর্থাৎ আমরা নিজেরাই সাক্ষী ছিলাম।আমাদের সাথে শুধু কাজিই ছিল।কাজি খুব তারাতারি খুতবা পরে আমাদের বিয়েটা দিয়ে দেই।লিখিত আকারে আমার সাথে আরেক জন কাবিন নামায় সাক্ষি দেই।এখন আমার প্রশ্ন আমাদের বিয়েটা হয়েছে কিনা।।।
বিয়ের পর আমরা আলাদাই থাকতাম। কিন্তু অর সাথে আমার ফোনে ঝগড়া হত।কারন অয় বিয়ের আগে একরকম কথা বলছে কিন্তু বিয়ের পর আরেক রকম।জেটা করতে মানা করতাম সেটাই করত।  আমি নামাজি ছিলাম তাকে নামাজ পরতে বলতাম কিন্তু নানা অজিহাত দেখাত।কিন্তু সে নামাজ না পরার জন্য আমি অসুন্তস্টি ছিলাম।আমি শুধু ঝগড়া করতাম অর সাথে অর ছেলেদের সাথে ফোনে কথা বলত।এর জন্য অকে অনেকেবার ছেড়ে দেবার হুমকি দেই।অকে খুব গালাগালি করতাম।এরকম চলতে থাকে।তারপর অ ঠিক হয় নাই।শুদু মিথ্যা কথা বলতো।আমার সাথে প্রেম করার আগে অই জাদের সাথে  কথা বলতো ওই ছেলেগুলো ওকে ফোন দিতো।তার পর আমিও মেয়েদের সাথে কথা বলা সুরু করি কিন্তু আমি সব সময় চাইতাম আমরা দুজন ভালো থাকি আমদের মাযে আর কেঊ না আশুক কিন্তু অই ঠিক হত না।এর জন্য আমি অনেক বার ছেড়ে দেবার হুমকি দিছি।কিন্তু আমি যখন এগুলো সাইতে না পেরে তকে ছেড়ে দিলাম এরকম একবার মেসেজ করি।হুমকি দিবার জন্য বলচিলাম কিন্তু মন থেকে না।তারপর আবার কথা বলি কিন্তু আমার কথা শুন্তো না তারপর ফোনে রাগের মাথায় ২ তালাক বলে ফেলি কিন্ত হুমকি দিবার জন্য বলি।কিন্তু তিন তালাক দেই নি।তারপর অর সাথে আবার ঝগড়া লাগত কারন অই ঠিক  হইতে চাইত না।অর বোনের সাথে একবার চার পাচটা  ছেলেদের সাথে গুরতে যায়।তখন আমার কাছে ছবি পাঠায় তখন সে বলে তার বাইস্ততির সাথে গুরতে গেছেকিন্তু ওটা বিয়ের সময় দাওয়াত খাইতে গেছিল ছিল কিন্তু এতা আমি নেগেটিভ লি নেই।তারপর এটা নিয়ে আমি অর সাথে আমি অভিমান করি,রাগ করি অর সাথে কথা বলতে আর ভাল লাগত না।জিদ করে বসি এবার জেন আমার জীবন থেকে সরে জায়।কিন্তু এর জন্য আমি অনেক কষ্ট পাইতাম। তারপর সে বারিতে যায়।তার চাচতো ভাইয়ের সাথে একটা পিক তুলে আমার কাছে পাঠায়।তা দেখে আমি আর কষ্ট পাই।পরের দিন সে আমকে ফোন দেয়।আমি তার সাথে বেশি  কথা না বলে নামাজ পড়তে যাই।নামাজ পরে আসি তখন আমি মনে মনে চাই ছিলাম অই যখন আমার জীবন থেকে সরতে যখন না চাই।আমি এমন কথা বলবো জেন সে এমনি চলে যাই।পরে যখন অই ফোন দেই তখন আমি অকে বলি আমিও একটা মেয়ের সাথে রাত কাটাইছি গতকালকে আমার জিবন থেকে সইরা জাও আমি খুব খারাপ,আমি আর ভাল নাই।একথা শুনে সেও আমাকে বল্লো যে অর চাচতো ভাইয়ের সাথে থাকছে তখন আমার রাগ মারাত্মক পর্যায়  চলে যায়।একথা শুনে আমি অকে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক দেই।এরপর বলি তুই তর চাচতো ভাইয়ের লগে থাকছছ না এরপর আমি বলি আসলে তোর মুখ থেকে সত্যি কথা বের করার জন্য আমি বলছি আমি গতকাল এক্টা মেয়ের সাথে থাকছি।আসলে আল্লাহর কছম আমি তাহাকি নাই।তারপরও  বলে অই  কিছু করে নায়।আমি যদি কিছু করে থাকি আল্লাহই আমাকে বিচার করব।তখন ওকে বললাম তাহলে একথা কেন বল্লা মুখে আমি তিন তালাক দিতাম না।তখন আমি অনুতপ্ত হই কিছুটা যদি অই একথা না বলত তাহলে আমি সরাসরি বলতাম না।তারপর সে বলে তর মত বরিশাল এর ছেলেরা এরকম মেয়েদের খেয়ে চইল্লা যাই তারপর ফোন কাইটা দেই।।তার পর সে ফোন দেই আমি বেশি কথা বলি না।তারপর আমি কন্টাক্ট অফ রাখি।পরে ওই ফোন দেই তারপর তার সাথে কথা বলি কেন ফোন দিছেন।আপনি আমাকে ফোন দিবেন না আপনি আরেক যায়গাই বিয়ে করেন। সে বলে আমাকে কে বিয়ে করব।তারপর আমি ফোন কাইটা দেই।পরে আবার ফোন দেই এখন সে বলে সে অসুস্থ সে মনে বাঁঁচবে না একথা শুনে আমি আবার ফোন ধরি।আবার কথা বলা শুরু করি কারন অর প্রতি আমার ভালোবাসা রয়ে গেছে।এখন কথা বলি অর সাথে এখন সে বুঝতে পারছে তার ভুল গুল।কিন্তু এখন আমি যতটুকু বুজতে পারছি তাকে আমি মোট প্রথম বার দুবার দ্বিতিয় বার তিনবার মোট পাঁচবার তালাক দেয়া হয়ে গেছে।এখন সে কি আমার জন্য হারাম হয়ে গেছে।তাকে অনেক বার ছেড়ে দিব একথা বলেছি।।কিন্তু প্রথম বার তাকে ২তালাক দিয়েছি তাকে হুমকি দিবার জন্য বলেছি।আর ত্রিতীয় বার তাকে বলেছি আমি প্রথমে বলেছিলাম আমি একটা মেয়েএর সাথে রাত কাটাইছি তাই সেও বলছিল তাই আমি খুব উত্তেজিত হয়ে তাকে বলছি তোকে এক তালাক দুই তালাক তিন তালাক বলেছি।তখন আমার কাছে মনে হইল সে
 খারাপ কাজ আসলে করছে।কিন্তু পরে সে স্বিকার করলো সে এই কাজ করে নায়।তাহলে আমি একথা বলতাম না। এখন কি আমার অর সাথে তালাক হয়ে গেছে।কিন্তু আমি কন সময় ওকে ছাড়ার জন্য তালাক দেই নি।আমি সব সময় নিজে ভাল থাকতে চাইছি।আর সে যদি নিজেকে থেকে যদি ভাল না হয় তাহলে সেই আমাকে ছেড়ে দেয়।।।।।।হুজুর এখন আপনার কাছে চারটি  প্রশ্ন ১ আমাদের বিয়েটা কি হয়েছিল ২ আমাদের বিয়ের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল কিনা।৩ যদি বিয়ে বা তালাক যদি না হয় আবার পরিবারের সাথে আলোচনা করে বিয়ে করা যাবে কিনা।৪ যদি তালাক হয়ে যায় তাহলে আমরা কি আবার বিয়ে করতে পারব কিনা কারন এখন সে আর আমি সব ভুল বুজতে পারছি

1 Answer

0 votes
by (548,730 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
বিবাহের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি শর্ত হলোঃ 
ইজাব ও কবুলটি বলতে হবে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ 

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

আরো জানুনঃ 


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
সাক্ষির ক্ষেত্রে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা হতে হবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহের সময় আপনাদের সাথে যে আরেক প্রেমিক প্রেমিকা ছিল। 
সেই প্রেমিক কি বালেগ ছিলো?
যদি সে বালেগ হয়,তাহলে উক্ত বিবাহ হয়ে গিয়েছে।

(এখানে যেহেতু বিবাহের মজলিসে পাত্র পাত্রী উপস্থিত ছিলো,সুতরাং কাজী সাহেব একজন সাক্ষী হবেন,আর সেই প্রেমিক ২য় সাক্ষী হবে।)

(তবে পাত্র পাত্রীর কেহ যদি বিবাহের সময় নাবালেগ থাকে,তাহলে এই বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।) 

ومن امر رجلا بأن يزوج ابنته الصغيرة، فزوجها والأب حاضر بشهادة رجل واحد سواهما جاز النكاح (هداية، كتاب النكاح-2\3-7، الدر المختار مع الشامى-4\94، هندية-1\268)

সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি তার ছোট মেয়ের বিবাহের জন্য একজনকে আদেশ করে,তারপর সে তার ছোট মেয়েকে বিবাহ দিয়ে দেয় তার বাবার উপস্থিতিতে,তাদের দুইজন ব্যাতিত আরো একজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে।
তাহলে এই বিবাহ হয়ে যাবে।  

বিস্তারিত জানুনঃ   

(২.৩)
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়েছে।
এখন আর নতুন বিবাহ করে নিলেও ঘর সংসার করা যাবেনা।
যেনা হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ

(০৪)   
শরয়ী হালালাহ করতে হবে।
তালাক পতিত হওয়ার পর স্ত্রী ইদ্দত অতিবাহিত করে অন্যত্রে বিবাহ বসবে।
সেখানে সেই ২য় স্বামীর সাথে সহবাস হতে হবে।
এর পর সেই ২য় স্বামী যদি তালাক দেয়,তাহলে ইদ্দত কাল অতিবাহিত হওয়ার পর আপনারা পুনরায় বিবাহ করতে পারবেন।

এর আগে নয়।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
হুজুর সত্তিই যদি তালাক হয়ে যায় আমার এখন কি করনীয়। আমি মন থেকে চাই নি তাকে তালাক দিব আমার অতি রাগের জন্য বলে ফেলছি।আমি এত কিছু জানতাম ও না আমার রাগ তখন কন্ট্রোল ছিল না।প্রথম বার আমি যখন ২ তালাক দেই তখন আমি জানতাম আমি জত বারি তালাক দেই না কেন যতখন না আমি তিন তালাক বলবো সেটাব তালাকি  হবে না।তাল্কের বিধান সম্পর্কে আমার জানা ছিল না।শুদু মাত্র হুমকি দেওয়ার জন্য বলেছিলাম।তাকেও আমি অনেক বার বুজিয়েছিলাম।কিন্তু সেদিন আমার মনঅটা খুব বেঙে যায়।পরদিন আমি অকে তিন তালাক দিয়ে ফেলি।কিন্তু সে বল্ল যে তার চাচতো ভাইয়ের সাথে কিছু করে নাই তখন আমি অনুসকোচ হই আমাকে যদি সে যদি না বলতো যে তার চাচতো ভাইয়ের সাথে খারাপ কিছু করে নাই তাহলে বলতাম ও না।কিন্তু তখন আমার বিচার করার মতো হিতাহিত জ্ঞান ছিল না। মুখে তিন তালাক দিয়ে ফেলি। তালাক সম্পর্কে বিধান আমার জানা ছিল না।সুন্নতিতরিকায় তালাক দিলে হয়তো এরকমটা হতো না।আমি কোন সময় ইসলামি তরিকায় বুযাই নাই।এখন আমি কি করব হুজুর।সেও অনুতপ্ত এখন আমি যদি যোগাযোগ বন্ধ করে দেই সে খারাপ হয়ে যেতে পারে আর সে যদি খারাপ হয় এর জন্য আমি দায়ি থাকব।।।।কারন  কাবিন নামায়  দেনমহোর হিসেবে আমি ২.৫ লাখ টাকা দারয্য করেছিলাম।আমি একটাকা না দিয়ে তার সাথে একবার সহবাস করেছি।আমার এই টাকা দেওয়ার সামর্থ্য  নেই।এখন আমার কি করা উচিৎ হুজুর। এই ভুলের জন্য এত বড় প্রাচিশত্ত দিতে হবে সেটা আমার জানা ছিল না।আমরা এখন দুজন দুজনের ভুল বুজতে পেরেছি।।।কিন্তু এখন কোন কিছুই করার নেই।আমরা কি কোন দিন এক হতে পারব না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...