বিবাহের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি শর্ত হলোঃ
ইজাব ও কবুলটি বলতে হবে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ
আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর।
(সুরা বাকারা ২৮২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557)
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
সাক্ষির ক্ষেত্রে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা হতে হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহের সময় আপনাদের সাথে যে আরেক প্রেমিক প্রেমিকা ছিল।
সেই প্রেমিক কি বালেগ ছিলো?
যদি সে বালেগ হয়,তাহলে উক্ত বিবাহ হয়ে গিয়েছে।
(এখানে যেহেতু বিবাহের মজলিসে পাত্র পাত্রী উপস্থিত ছিলো,সুতরাং কাজী সাহেব একজন সাক্ষী হবেন,আর সেই প্রেমিক ২য় সাক্ষী হবে।)
(তবে পাত্র পাত্রীর কেহ যদি বিবাহের সময় নাবালেগ থাকে,তাহলে এই বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।)
ومن امر رجلا بأن يزوج ابنته الصغيرة، فزوجها والأب حاضر بشهادة رجل واحد سواهما جاز النكاح (هداية، كتاب النكاح-2\3-7، الدر المختار مع الشامى-4\94، هندية-1\268)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি তার ছোট মেয়ের বিবাহের জন্য একজনকে আদেশ করে,তারপর সে তার ছোট মেয়েকে বিবাহ দিয়ে দেয় তার বাবার উপস্থিতিতে,তাদের দুইজন ব্যাতিত আরো একজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে।
তাহলে এই বিবাহ হয়ে যাবে।
এর পর সেই ২য় স্বামী যদি তালাক দেয়,তাহলে ইদ্দত কাল অতিবাহিত হওয়ার পর আপনারা পুনরায় বিবাহ করতে পারবেন।