বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
সুরা ওয়াকিয়াহ এর ৭৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
ﻟَّﺎ ﻳَﻤَﺴُّﻪُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﻄَﻬَّﺮُﻭﻥَ
যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।
হাদিস শরীফে এসেছে
- مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللهِ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ: أَنْ لاَ يَمَسَّ الْقُرَآنَ إِلاَّ طَاهِر،
ٌ،)رقم الحديث 680(
তরজমাঃ- হযরত আমর ইবনে হযম রাঃবলেন,ঐ কিতাব যা আল্লাহর রাসুল সাঃ আমর ইবনে হযমের সাথে নাজরান প্রেরণ করছিলেন তাতে এটাও তিনি লিখে দিয়ছিলেন যে, কোরআনকে পবিত্রতা ব্যতীত কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।
হাদীস শরীফে এসেছে
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ
উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।
(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বুযুর্গানে দ্বীন,উলামায়ে কেরাম গন কুরআন তেলাওয়াত এর কিছু আদব উল্লেখ করেছেনঃ
মিসওয়াক ও অযু করে কোনো জায়গায় এক ধ্যানের সহিত বসে অত্যাধিক আদব নম্রতা সহকারে কিবলার দিক বসে চার যানু এবং কোথাও টেক না লাগিয়ে,পড়বে।
কুরআনের আযমত আর বড়ত্ব মস্তিষ্কে বসাবে যে এটি ঐ সত্তার কালাম,যিনি আহকামুল হাকিমিন,সমস্ত কিছুর প্রতিপালক।
অর্থ বুঝলে আযাবের আয়াত আসলে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে,মাগফিরাত চাইবে।
আল্লাহর বড়ত্ব সংক্রান্ত আয়াত আসলে সুবহানাল্লাহ বলবে।
কান্নার আওয়াজ নিয়ে আসার চেষ্টা করবে।
কোন কোন জায়গায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে
يُسْتَحَبُّ أَنْ تَكُونَ الْقِرَاءَةُ فِي مَكَانٍ نَظِيفٍ مُخْتَارٍ، وَلِهَذَا اسْتَحَبَّ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنْ تَكُونَ الْقِرَاءَةُ فِي الْمَسْجِدِ لِكَوْنِهِ جَامِعًا لِلنَّظَافَةِ وَشَرَفِ الْبُقْعَةِ، قَالَهُ النَّوَوِيُّ.
وَصَرَّحَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ بِكَرَاهَةِ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي الْمَوَاضِعِ الْقَذِرَةِ، وَاسْتَثْنَى الْمَالِكِيَّةُ الآْيَاتِ الْيَسِيرَةَ لِلتَّعَوُّذِ وَنَحْوِهِ.
পবিত্রতম পছন্দনীয় স্থানেই কিরাত পড়া মুস্তাহাব।এজন্য উলামাদের বড় একটি জামাত পছন্দ করেন যে,মসজিদেই কিরাত পড়া মুস্তাহাব।কেননা মসজিদ পরিচ্ছন্ন থাকে এবং মসজিদই হল,সর্বোত্তম স্থান।এটা ইমাম নববী রাহ এর মন্তব্য। হানাফি, শা'ফেয়ী, মালিকী,এবং হাম্বলী মাযহাবের সমস্ত ফুকাহায়ে কিরামের সিদ্ধান্ত হল,ময়লাযুক্ত স্থানে কুরআন তিলাওয়াত মাকরুহ।তবে মালিকী মাযহাবের ফুকাহাগণ দু'আর ছোট্ট আয়াতকে ময়লাযুক্ত স্থানে পড়ারও অনুমোদন দিয়ে থাকেন।(৩৩/৬২)
কুরআন তিলাওয়াতের আদব সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০২)
খাটের উপর বসে কোরআন পড়া যাবে।
বসার স্থানে নাপাকি থাকলে তার উপর কোনো চাদর ইত্যাদি বিছিয়ে বসবেন।
(০৩)
এতে কোনো গুনাহ হবেনা।
পবিত্র কোরআনের পুরাতন কপিগুলো তেলাওয়াতের অনুপযুক্ত হয়ে গেলে যত্ন করে সরিয়ে নিতে হবে। এরপর পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন কাপড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
তবে এমন জায়গায় দাফন (পুঁতে) করতে হবে, যেখানে মানুষের চলাচল নেই।
যদি সেটি আবার প্রকাশ হওয়ার ভয় হয়,তাহলে সেটি জালিয়ে ছাইকে দাফন করে দিবে।
অথবা প্রবাহমান নদি/সাগরে প্রবাহ করে দিবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৭৬)
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৪)
১ম নং জবাব দ্রষ্টব্য।
(০৫)
এতে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
(০৬)
আপনি সেদিকে মনযোগী হবেননা,তাহলেই আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
(০৭)
গুনাহ হবেনা।
(০৮)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
অসতর্কতা বশত এমন হলে গুনাহ হবে।
তবে তওবাই যথেষ্ট।
(০৯)
৩ নং জবাব দ্রষ্টব্য।