ব্যাপকতার দিক লক্ষ্য করে কুরআন তিলাওয়াত উত্তম যিকির।
কেননা এর প্রতি হরফে কমপক্ষে দশ নেকি রয়েছে।
তবে কখনো কখনো কোনো কারন বশত ক্ষেত্র বিশেষ কুরআন তিলাওয়াত থেকে যিকির উত্তম।
যেমনঃ ফরজ নামাজের পর বর্নিত যিকির,অনুরূপ ভাবে মুয়ায্যিনের আযানের জবাব উত্তম কুরআন তিলাওয়াত থেকে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لاَ أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ "
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলার কিতাবের একটি হরফ যে ব্যক্তি পাঠ করবে তার জন্য এর সাওয়াব আছে। আর সাওয়াব হয় তার দশ গুণ হিসেবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ।
(তিরমিজি ২৯১০)
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: أَفْضَلُ الذِّكْرِ: لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَأَفْضَلُ الدُّعَاءِ: الْحَمْدُ لِلّٰهِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সর্বোত্তম জিকির হলো, ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’’ আর সর্বোত্তম দু‘আ হলো, ‘‘আলহামদুলিল্লা-হ’’।
(তিরমিযী ৩৩৮৩, ইবনু মাজাহ ৩৮০০, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৮৩৪, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ১৩৭, শু‘আবূল ঈমান ৪০৬১, ইবনু হিব্বান ৮৪৬, সহীহাহ্ ১৪৯৭, সহীহ আত্ তারগীব ১৫২৬, সহীহ আল জামি‘ ১১০৫।)