ইবনে উমর রাযি.-এর সূত্রে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন
خالفوا المشركين اوفروا اللحي وأحفوا الشوارب
তোমরা গোঁফ ছোট কর এবং দাড়ি লম্বা রাখো।
( বুখারী, ৫৮৯৩ , মুসলিম ৬০০)
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَعْفُوا اللِّحَى " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা গোঁফ খাটো কর এবং দাঁড়ি লম্বা কর।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
(তিরমিযি ২৭৬৩)
অপর এক হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ- الْمَعْنَى - قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي صَخْرَةَ، جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ ضِفْتُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَأَمَرَ بِجَنْبٍ فَشُوِيَ وَأَخَذَ الشَّفْرَةَ فَجَعَلَ يَحُزُّ لِي بِهَا مِنْهُ - قَالَ - فَجَاءَ بِلَالٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلَاةِ - قَالَ - فَأَلْقَى الشَّفْرَةَ وَقَالَ " مَا لَهُ تَرِبَتْ يَدَاهُ " . وَقَامَ يُصَلِّي . زَادَ الأَنْبَارِيُّ وَكَانَ شَارِبِي وَفَى فَقَصَّهُ لِي عَلَى سِوَاكٍ . أَوْ قَالَ أَقُصُّهُ لَكَ عَلَى سِوَاكٍ
মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেহমান হলাম। তিনি আমার জন্য একটি বকরীর রান আনার নির্দেশ দিলেন। রান ভাজি করা হলে তিনি ছুরি নিয়ে আমার জন্য গোশত কাটতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ এমতাবস্থায় বিলাল (রাঃ) এসে তাঁকে সলাতের কথা অবহিত করেন। ফলে তিনি ছুরি ফেলে দিয়ে বললেনঃ তার কি হয়েছে! তার হাত ধুলায় ধুসরিত হোক! অতঃপর সলাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেলেন।
বর্ণনাকারী আনবারীর বর্ণনায় আরো আছেঃ আমার (মুগীরাহর) গোঁফ কিছুটা বড় হয়ে গিয়েছিল বিধায় তিনি আমার গোফের নীচে মিসওয়াক রেখে তা ছেঁটে ছোট করে দিলেন। অথবা বললেনঃ আমি তোমার গোঁফ মিসওয়াকের উপর রেখে ছোট করে কেটে দিব।
(আবু দাউদ ১৮৮.আহমাদ (৪/২৫২, ২৫৫), তিরমিযী ‘শামায়িলি মাহমুদিয়্যাহ (হাঃ ১৫৯), নাসায়ী, ‘সুনানুল কুবরা’ (৪/১৫৩))
وفى رد المحتار ( قَوْلُهُ وَكُرِهَ تَرْكُهُ ) أَيْ تَحْرِيمًا لِقَوْلِ الْمُجْتَبَى وَلَا عُذْرَ فِيمَا وَرَاءَ الْأَرْبَعِينَ وَيَسْتَحِقُّ الْوَعِيدَ ا هـ وَفِي أَبِي السُّعُودِ عَنْ شَرْحِ الْمَشَارِقِ لِابْنِ مَلَكٍ رَوَى مُسْلِمٌ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ” { وُقِّتَ لَنَا فِي تَقْلِيمِ الْأَظْفَارِ وَقَصِّ الشَّارِبِ وَنَتْفِ الْإِبِطِ أَنْ لَا نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً } ” (رد المحتار – ج 9 / ص 583
সারমর্মঃ
তবে তবে চল্লিশ দিনের বেশি সময় গোঁফ না কাটা রাখা যাবেনা।
এতে সে শরীয়তের পক্ষ থেকে ধমকির হকদার হবে।
★সুতরাং গোফ না কাঁটা অবস্থায় চল্লিশ দিন অতিক্রম হলে গুনাহ হবে।
গোফ কাঁটা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
★কিছু মানুষের ধারণা, পানি পান করতে গিয়ে যদি গোঁফে পানি লেগে যায় তাহলে ঐ পানি পান করা হারাম বা নাপাক হয়ে যায়। এটি একটি ভুল ধারণ এবং নিছক ধারণা-প্রসূত একটি কথা।
মোচ তো নাপাক কিছু নয়। মোচ খাটো করার নির্দেশ আর মোচে পানি লাগলে তা পান করা হারাম হওয়া বা নাপাক হওয়া সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।
★গোঁফ কাটতে গিয়ে যদি রক্ত বের হয় তাহলে এক্ষেত্রে গড়িয়ে পড়ার মতো রক্ত বের হলে অযু ভেঙ্গে যাবে।
আর যদি খুবই সামান্য রক্ত বের হয়, যাহা গড়িয়ে পড়ার মতো নয়,তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।