আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
edited by
আমি একটি হাদিস পড়েছি।তা নিম্নে দেওয়া হলো:-

উকবা ইবনু মুকরাম ও নাসর ইবনু আলী (রহঃ) ...... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কেউ যদি আল্লাহর উদ্দেশ্যে চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার সাথে জামাআতে সালাত আদায় করে তবে তাকে দুটি মুক্তি সনদ লিখে দেয়া হয় একটি হল জাহান্নাম থেকে মুক্তির, অপরটি হল মুনাফিকী থেকে মুক্তির। - তা'লীকুর রাগীব ১/১৫১, সহিহাহ ২৬৫২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এখন প্রথম প্রশ্ন হলো:-

গত কিছু দিন যাবৎ আমি এটি আমল করার চেষ্টা করছি।কিন্তু আমার শারিরিক সমস্যার কারণে আমি ওজু বেশি ক্ষন ধরে রাখতে পারি না।অনেক সময় এক বা দুই রাকাত এর পর ওজু ভেঙ্গে যায়।তখন আমি রুকু সেজদাহ ও অন্যান্য দোয়া না পরে শুধু ইমাম যা করে তাই করি।এখন আমার এ আমল আদায় হবে কিনা?

আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো:-

আজকে এশারা জামাতে আমার ১ম রাকাতের রুকু করার সময় ওজু ভেঙ্গে গেছে।পিছনে অনেক মানুষ ছিলো।এরপর হুজুর তিন রাকাত পরে ভুল করে সালাম ফিরান।ভুল বোঝার পর তিনি আবার নামাজ শুরু করেন।পিছনে ওনেক মানুষ থাকায় আমি বের হয়ে ওজু করার সুযোগ পায়নি।এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি কি ওই ১ম রাকাতের রুকু থেকে সালাত আদায় করব নাি প্রথম থেকে।আর আমার তাকবিরে উলা বজায় থাকবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/9888/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ 
শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো নামাজের মধ্যে অজু ভেঙে যায়,তাহলে সে সাথে সাথে অজু করার জন্য যাবে,

(জামাআতের সাথে নামাজ আদায় করলে কাতার ভেঙ্গে দিয়ে সে পিছনের কাতার ফাকা করে মসজিদ থেকে বের হবে,চাইলে নাকের উপর হাত রেখেও বের হতে পারে।) 

এক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ যেনো তার থেকে প্রকাশ না পায়, (যেমন কাহারো সাথে কথা বলা,ইত্যাদি)   অজু করে এসে তার ছুটে যাওয়া আগে আদায় করবে,এক্ষেত্রে তাকে কিরাআত পড়তে হবেনা,  তারপর ইমামের সাথে শরীক হয়ে তার সাথেই সালাম ফিরাইবে,আর যদি ইতিমধ্যে ইমাম সালাম ফিরিয়ে দেয়,তাহলে তার নামাজ পুরো করে সে নিজেই সালাম ফিরিয়ে দিয়ে নামাজ শেষ করবে।

★ উল্লেখ্য যে কাতার ফাকা করে অজু করতে যাওয়ার সময় সে যদি চায়,নাকে হাত দিতে পারে। যাতে করে মুছল্লিরা বুঝে নিবে যে তার অজু ভেঙ্গে গিয়েছে,তাতে সকলেই দ্রুত তার  যাওয়ার জন্য  জায়গা ফাকা করে দিবে। 

সুনানে ইবনে মাজা তে আছেঃ

عن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا قالت: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من أصابہ قيء أو رعاف
أو قلس أو مذي، فلنصرف فلیتوضأ، ثم لیبن علی صلاتہ وہو في ذٰلک لایتکلم۔ (سنن ابن ماجۃ ۱؍۸۵ رقم: ۱۲۲۱)

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামায রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে অযু করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে।
(ইবনে মাজাহ ১২২১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য উক্ত সময়ে অযু করে এসে নামাজে শরীক হওয়ার নিয়ম ছিলো।
কিন্তু আপনি যেহেতু অযু করতে যাননি,বরং আপনি 
রুকু সেজদাহ ও অন্যান্য দোয়া না পরে শুধু ইমাম যা করে তাই করেছেন,তার মানে আপনার উক্ত নামাজ আদায় হয়নি।
পুনরায় উক্ত নামাজ পূর্ণ ভাবে আদায় করতে হবে,সুতরাং আপনার তাকবিরে উলা ছুটে গিয়েছে।

(০২)
আপনার জন্য উচিত হলো সাথে সাথেই অযু করতে যাওয়া,অতঃপর ১ম রাকাতের রুকু থেকে সালাত আদায় করা।
আপনি সাথে সাথে অযু করতে না গেলে আপনার তাকবিরে উলা ছুটে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...