আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
319 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (41 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।কোন ওয়াসওয়াসা রূগী যার  মনে সবসময় তালাকের চিন্তা ঘুরে বেড়ায়। সে চাই না তালাক দিতে।যদি মুখ দিয়ে উচ্চারন না করে শুধু জিহ্বা নড়ে,ঠোট ও না নড়ে তাহলে কি তা..... হবে? সে কথাও বলে না ভয়ে।এমন কি দোয়া সহ মনে মনে পড়ে।মাঝে মাঝে ওর মনে হয় কোন জিহ্বা নড়ল কিনা।সে ভয়ে থাকে জিহ্বা নড়ল কিনা।কোন কথায় সহজে বলতে চায় না ভয়ে।তাই জানার জন্য  প্রশ্নটা করলাম।

২।প্রশ্নটাও জানার জন্য করতেছি।ধরেন কোন স্বামি স্ত্রী আগে কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানত না।শুধু জানত তালাক বললে তালাক হয়।কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানার পর স্ত্রী যদি জানতে পারে এসব স্বামি বলেছে।আর তাদের মেসেজে কথা হত।প্রায় ঝগড়া হত।আর স্ত্রী তালাক চাওয়ার পর পর বলেছে কিনা মনে না থাকে।স্বামির ও যদি মনে না থাকে  আর তালাকের নিয়তকে  অস্বীকার করে তাহলে তাদের কি করা উচিত?তারা কি আগের  মত সংসার করতে পারবে?আর পুরাতন গুনাহর জন্য ক্ষমা,চেয়ে আল্লাহর কাছে এরপর কি সংসার করতে পারবে?

৩।কোন দম্পতির নতুন বিয়ে।মানে বিয়ে হয়েছে ধরেন ১ বছর।আগে শুনেছে শুধু তালাক বললে তালাক হয়।কেনায়া তালাকের ব্যপারে কোনদিন শুনে নাই।কারন বাংংলাদেশে এর সাধারন জনগন এ নিয়ে জানেও না।আর ধরেন ওদের শুধু আকদ হয়েছে এবং কাবিন ও কিন্তুু নামিয়ে নিয়ে যাই নায়।ফোনে বা মেসেজে কথা হয়। কেনায়া তালাকের ব্যপারে শুনার পর যদি বুঝতে পারে ওদের মাঝেও এমন হয়েছে তাহলে কি ওদের তা..... হবে?আল্লাহ তহ না জেনে গুণাহ ক্ষমা করে দেন ক্ষমা চাইলে।এ বিষয়ে শতর্ক হয়ে ভবিষ্যৎ এ এমন কোন কিছু করবে না বলে ক্ষমা চাইলো আর তওবা করল তখন কি তারা পুনরায় সংসার করতে পারবে? জানার জন্য প্রশ্নটা করলাম।

1 Answer

0 votes
by (549,150 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাকের কথা চিন্তা করল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না,  তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। কারণ শুধু অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।

ঠোট+জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে তালাক প্রদানের বিষয় স্পষ্ট আকারে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক দিলে তালাক হবে।
এতটুকু আওয়াজ হওয়া চাই,যেক্ষেত্রে ফ্যান বা অন্য কোনো কিছুর আওয়াজ না থাকলে উক্ত উচ্চারিত বাক্যটি নিজ কানে আসতো,এতটুকু আওয়াজ হওয়া চাই। 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
 
অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন  

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

(০২)
তালাকের মজলিস ছিলো কিনা,মনে না থাকলে মনে করার চেষ্টা চালাবে।
আপ্রান চেষ্টার পরেও মনে না আসলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে চলবে।
তালাক হবেনা।
এক্ষেত্রে বিষয়টিকে সন্দেহের স্তরে ধরা হবে,আর সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক হয়না।
সুতরাং এক্ষেত্রেও তালাক হবেনা।

(০৩)
এক্ষেত্রে স্বামী যেহেতু কেনায়া তালাক সংক্রান্ত জানেইনা,তাই স্পষ্ট যে তার তালাকের নিয়ত ছিলোনা।
সুতরাং উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক হবেনা। 
তাদের ঘর সংসার বৈধ।            


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
হুজুর আছছালামু আলাইকুম, তাহলে ঠোঁট বন্ধ কিন্তু শুধু জিহ্বা নড়লো এভাবে মুখ বন্ধ করে তালাক বললে তালাক হয় না ?  
by (549,150 points)
এতে তালাক হয়না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...