জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তালাকের কথা চিন্তা করল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, তার জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। কারণ শুধু অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।
ঠোট+জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে তালাক প্রদানের বিষয় স্পষ্ট আকারে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তালাক দিলে তালাক হবে।
এতটুকু আওয়াজ হওয়া চাই,যেক্ষেত্রে ফ্যান বা অন্য কোনো কিছুর আওয়াজ না থাকলে উক্ত উচ্চারিত বাক্যটি নিজ কানে আসতো,এতটুকু আওয়াজ হওয়া চাই।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
অপর এক হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।
(০২)
তালাকের মজলিস ছিলো কিনা,মনে না থাকলে মনে করার চেষ্টা চালাবে।
আপ্রান চেষ্টার পরেও মনে না আসলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে চলবে।
তালাক হবেনা।
এক্ষেত্রে বিষয়টিকে সন্দেহের স্তরে ধরা হবে,আর সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক হয়না।
সুতরাং এক্ষেত্রেও তালাক হবেনা।
(০৩)
এক্ষেত্রে স্বামী যেহেতু কেনায়া তালাক সংক্রান্ত জানেইনা,তাই স্পষ্ট যে তার তালাকের নিয়ত ছিলোনা।
সুতরাং উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক হবেনা।
তাদের ঘর সংসার বৈধ।