আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
https://ifatwa.info/35170/#q35170

উস্তাদ অাসসালামু অালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ। উস্তাদ অাপনি তো সবই জানেন,অাপনি অাপনার পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করছি অালহামদুলিল্লাহ কমিয়ে দিয়েছি যাওয়া কারন গেলেই মা নানা রকম খাবার তার মেয়ের জামাই এর জন্য দিয়ে দেয়,কিন্তু গত সপ্তাহে মা না জানিয়ে  মেয়ের স্বামীর বাড়ি অনেক খাবার,,পিঠা,,মাছ,, তরকারি নিয়ে অাসে।তারপর মেয়ে বাধ্য হয়েই নিজের স্বামীর অাড়ালে গিয়ে মাকে বলেছে যে সব কিছু হারাম না হলেও কিছু হারাম অাছে অামি জেনে শুনে কি করবো? এরপরে অার অানবা না।অামি খাবো না।কারন বাবার সুদের কাগজ মায়ের কাছে মা জানে,,সে জানে হারাম কিন্তু ছোট  ছেলের পড়াশোনা, সংসার কি করে চলবে তাই বলে।অামি বলেছি অামার স্বামী যা অানবে অামি তাই খাবো অাল্লাহ ভালো রাখছেন।বলেছি যদি বেড়াতে যাই তাহলে রান্না করবা যা তখন উপস্থিত হলে খাবো,বাড়তি কিছু দিবা না নিবো না।বলে রাখি মাসিক ইনকাম বিভিন্ন কাজ করে বাবা পায় তবে মালিকের নিকট ৪ লাখ সুদে ১০ হাজার টাকা পায় মূলত এই ১০ হাজার সুদ বলে অামি জানি অন্য সকল রোজগারের অংশ সুদের সাথে জড়িত নেই বলেই জানি।

কিন্তু হুজুর অামি অামার স্বামী কে কি করে জানাই বাবার সুদের কথা।ভেবেছিলাম কম যাবো অার গেলেও সাময়িক উপস্থিত হয়ে যা পাবো ঐ টুক খাবো অার কিছু নয়।অার খাবার জাতীয় দিয়ে দিলে অানবো না,,হয়তো ইদে জামা প্যন্ট দিবে অামার স্বামী কে সেটা নিষেধ করলে তো বড় ফিতনা হবে তাই স্বামী কে দিলে কিছু বলবো না।অাার অামি কিছু নিবো না।কেননা,স্বামী তো কিছু জানে না।এটা কি অামার ভুল সিদ্ধান্ত উস্তাদ জানাবেন।এভাবে চলার চেষ্টা করবো ভেবেছিলাম ইনশাআল্লাহ
নতুন সমস্যাঃ

মা যা কিছু নিয়ে এসেছে তা সব কিছু মেয়ের জামাই কে নিজেই দেখিয়েছে এত এত জিনিস অানছে। পিঠা পেয়ে মেয়ে জামাই ও খেয়ে নিছে।রান্না তরকারি বা অন্য খাবার মেয়ে অন্য অাত্নীয়দের বাড়ি পাঠিয়ে দিছে বাসার কাজের লোক কে দিয়ে দিছে।কিন্তু অল্প খাবার রেখেছে কেননা মেয়ে জামাই তো সব দেখেছে তাকে না দিলে তো সমস্যা হবে,, সন্দেহ করবে।এখন অামি অপরাধভোদে ভুগছি অামি না হয় না খেয়ে এড়িয়ে যাচ্ছি। কিন্তু স্বামী কে তো খাওয়াচ্ছি। বিভিন্ন  সময় স্বামী অামাকে নিয়ে খায় তখন অামি মনে সংশয় নিয়ে খেয়ে নেই, অাবার দেখা যায় শাশুড়ীর অানা খাবার তো বাসায় অাছে তাই বাজার করতেও বলা যায় না,,ভিন্ন কিছু রান্না ও করা যায় না বলে যা অানছে তাই শেষ করো,যেহেতু মধ্যবিও ভাবে অালহামদুলিল্লাহ চলি।।কিন্তু  পেটে খুদা লাগলে সেই খাবার অামিও খেয়েছি পরিমানে কম,,স্বামীকেও বেরে দিচ্ছি অাবার অাত্নীয়দের দিয়েছি কেউ জানে না সেটায় হারাম অাছে অামিও ১০০% শিওর না যে এতে হারাম অাছে নাকি নেই।কেননা মাসের শুরুতে সুদের ১০ হাজার টাকা ইনকামে প্রবেশ করে অার অন্য টাকা নিজের মজুরি বা কারো কাজ করে দিয়ে বা দালালি করে পাওয়া। দালালি সেটা হারাম কিনা জানাবেন উস্তাদ অামি জানি না।

কিন্তু ১০ হাজার টাকা সুদ এটা শিওর। অামি কি করবো উস্তাদ এই ঘটনায় কি অামার পাপ হয়েছে?যে অামি অল্প খেয়েছি,, স্বামী + অাত্নীয়দের দিয়েছি?

উস্তাদ অামি এই সমস্যা কাটিয়ে কি করে উঠবো উস্তাদ চোখের পানি থামাতে পারি না কেননা মনে ভয় অনেক যে ইলম অর্জন হবে কিনা,,পাপ করছি কি না,,উস্তাদ দু'অা করবেন অামার জন্য অামি অাল্লাহ প্রিয় বান্দি হয়ে মরতে চাই গুনাগার হয়ে না।কিন্তু স্বামী,, বাবা মাকে কষ্ট না দিয়ে কি করে পাপ থেকে বাচবো?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট।তবে যতটুকু বুঝতে পারলাম।আপনার বোন আটনার বাবার কিছুই গ্রহণ করবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
উস্তাদ অাসসালামু অালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। উস্তাদ অামি পূর্বের লিংক দিয়েছি যেটায় অামার বিস্তারিত ছিল উস্তাদ অাপনি উওর দিয়েছিলেন।যদি অাপনার বুঝতে কষ্ট হয় তাহলে কি অাবার দিবো? 
অামি বাবার বাড়ি যাইনি বলে মা উল্টো অামাকে না বলে খাবার নিয়ে অামার বাসায় চলে অাসছে।অামি তো স্বামী কে কিছু বলতে পারিনা,,মাকেও কড়া করে বলতে পারি না ফেতনা বাড়বে।অামি তো জানি এতে হারাম টাকা থাকতে পারে নিশ্চিত নই।,,তাও যদি ধরি সুদের টাকা দিয়ে কেনা অামি তো জেনে শুনে স্বামী কে খেতে দিচ্ছি অনেক সময় বাধ্য হয়ে নিজে খাচ্ছি কারন যে খাবার অাছে মা নিজে এসে অামাকে দিয়ে গেছে অামার স্বামী তো দেখছে সেগুলো তো স্বামী খেতে চায়,,রান্না করতে বলে।এতে অামি কি অামার স্বামী র পাপের ভাগি হচ্ছি?? উস্তাদ। দয়া করে জানাবেন। অামি এতটাই অপরাধী বোধ করছি যে হয়তো কথা বুঝিয়ে বলতে পারছি না উস্তাদ অাফওয়ান 
by (583,410 points)
আপনি যদি নিশ্চিত হন যে, আপনার মায়ের দেওয়া জিনিষ প্রায় হারাম।তাহলে এই হাদিয়াকৃত জিনিষ নিজেও খেতে পারবেন না, এবং অন্য কাউকে বা স্বামীকেও খেতে দিতে পারবেন না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...