আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
407 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,হুজুর।

একটু ক্লিয়ার হতে চাই ব্যাপারটা। হুরমত নিয়ে প্রশ্ন আমার।কেও যদি লজ্জাস্থান দেখে নেয় এবং তখন তার কিছুই অনুভুত হয় না।কিন্তু হুরমতে বিধিবিধান জানার পর সে ওয়াসওয়াসায় পরে যায়। যার লজ্জাস্থান দেখেছে তার সামনে যদি তখন অনিচ্ছাকৃত খারাপ চিন্তা আসে লজ্জাস্থান ছবি ভেসে আসে। যদিও সে কাপড়পরিধান অবস্থা তখন এর বিধান কি? তাছাড়া কেও ত এমন টা চায় না হুরমতের মত কিছু হোক। ইচ্ছা ----অনিচ্ছায় খারাপ চিন্তা আসলে, লজ্জাস্থান ভেসে আসলে।সেটা সহবাস বা কাম্ভাব থেকে না কিন্তু কল্পনার   বা ভাবনার ধরুন লজ্জাস্থান কেমন যেন ফিল হয় সেটা ইচ্ছাকৃত না। তখন কি হুরমত হবে।(নাউজুবিল্লাহ সহবাস এর মত চিত্র ভেসে আসলে যদিও সে মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ভাবনা না আনার জন্য কিন্তু এই রকম চিত্র ভেসে আসলে কি হুর মত হবে?যদি আগেই লজ্জাসস্থান দেখে থাকে।আর যদি তখন উত্তেজনা ফিল না হয় কারন সে তখন এই ব্যাপারটায় অবগত ই না।

হুরমত নিয়ে ওয়াসওয়াসা হলে কি করনীয়?  স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। অস্থিরতা, উদ্বিগ্নতা, ভয় এর কারনে কোন কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছিনা ইবাদাত এ ভুল বাড়ছে।যাকে নিয়ে ভয় সেই মাহরাম এর ভয়েজ শুনলেও ভয় হচ্ছে।সারাদিন অস্থিরতায় ভোগা।না চাইতেও খারাপ চিন্তা আসা।কি করনীয় সামনে রামাদান আমি স্বাভাবিক হতে চাচ্ছি কিন্তু পারছিনা।সারাদিনি ভয় করে।মাহরাম এর উপস্থিতি অনুপস্থিতি উভয়েই।

কারও  যদি মনে হয় লজ্জাস্থান দেখসে কিন্তু তার স্পষ্ট চিত্র মনেই আর সন্দেহের কারনে মনে হয় যে দেখেছে বাট আদৌ দেখেছে কিনা সন্দেহ।দেখে থাক্লে চিত ত মনে থাকার কথা কিন্তু ওয়াসওয়াসার ধরুন কল্পনায় সেই চিত্র ভেসে আসা কি করনীয়। কারন মনে হয় এই রকম কিছু হয় নি আবার মনে হয় হইসে। কিন্তু হইলে ত সেই স্পষ্ট চিত্র মনে থাকার কথা।(কিন্তু কল্পনায় বার বার ভেসে আসে) যা ঘটেছিল কিনা সন্দেহ।কি করনীয়।না দেখাটাই স্ট্রং ফিল আসে কিন্তু মাঝে আবার ভয় লেগে যায় যে আসলেই দেখেছি কিনা।দেখে থাকলে এত বছর কেন মনে আসেনি। কখনও মনেও হয় নি এই রকম হয়েছে। কিন্তু এখন হুরমত ব্যাপার তা জানার পর সারাদিন মাথায় হুরমতের পয়েন্ট গুলা ঘুরে কিছু হয়েছে কিনা দেখেছি কিনা।তারপর উল্টাপ্লাটা কল্পনা এসে মনে হয় আসলেই ক দেখেছি।এই ক্ষেত্রে কি করব?

মাফ করবেন এলোমেলো লিখেছি।একটু নাসিহা ও করবেন দয়া করে আমি হুরমত এর ব্যাপারটা থেকে বের হতে পারছিনা আগের মত স্বাভাবিক হতে চাই  স্বাভাবিক ভাবতে চাই। আমি প্রাক্টিসিং মুসলিম কিন্তু ওয়াসওয়াসা আমায় খুব কষ্ট দিচ্ছে।যেমন অন্য কারও সাথে স্পর্শ লাগলেও হুরমত এর পয়েন্ট গুলা মাথায় ঘুরে।কামভাব সহবাস মানে খুব পীরা হয় এইভাবে ভাব তে চাই না।খুব গিল্ট ফিল হয়। কিন্তু আমিত ইচ্ছা করে করিনা।আল্লাহ র কাছে খুব পানাহ চাই।(সর্বোপরি আমি মাহরাম নিয়ে স্বাভাবিক হতে চাই।আগের মত নরমাল হতে চাই।)

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
উক্ত নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।
لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)
ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا
অর্থাৎ- যার দিকে দৃষ্টি দেয়া হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না। (ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দৃষ্টি প্রদাণের সময় কামভাব না থাকলে হুরমত প্রমাণিত হবে না। সুতরাং আপনার হুরমত হবে না। যখনই মনে শয়তানের ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই আপনি অজু করে নামাযে দাড়িয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...