ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/497 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কুরসুফ ঐ তুলা বা তুলা জাতীয় জিনিষকে বলা হয়,যা পবিত্রতা/অপবিত্রতাকে পরীক্ষা করার জন্য মাসিকের রাস্তায় প্রবেশ করানো হতো। এর বিধান সম্পর্কে রাহরুর রায়েক গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে-
ثُمَّ وَضْعُ الْكُرْسُفِ مُسْتَحَبٌّ لِلْبِكْرِ فِي الْحَيْضِ وَلِلثَّيِّبِ فِي كُلِّ حَالٍ وَمَوْضِعُهُ مَوْضِعُ الْبَكَارَةِ وَيُكْرَهُ فِي الْفَرْجِ الدَّاخِلِ. اهـ.
وَفِي غَيْرِهِ أَنَّهُ سُنَّةٌ لِلثَّيِّبِ حَالَةَ الْحَيْضِ مُسْتَحَبَّةٌ حَالَةَ الطُّهْرِ وَلَوْ صَلَّتَا بِغَيْرِ كُرْسُف ٍجَازَ.
অবিবাহিত মহিলাদের জন্য মাসিকের সময় কুরসুফ ব্যবহার করা মুস্তাহাব।আর বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায়ই সেটার ব্যবহার মুস্তাহাব।কুরসুফ রাখার স্থান হল, মাসিকের রাস্তার প্রবেশ মূখ। কিন্তু লজ্জাস্থানের ভিতরে কুরসুফ প্রবেশ করানো মাকরুহ।অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, বিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে মাসিকের সময় সুন্নাত এবং পবিত্র সময়ে মুস্তাহাব। বিবাহিত/অবিবাহিত উভয়-ই যদি কুরসুফ ব্যতীত নামায পড়ে নেয়,তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। (বাহরুর রায়েক-১/২০৩)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন-
(ويكره وضعه) وضع جميعه (فى الفرج الداخل)لأنه يشبه النكاح بيدها محيط-
সমস্ত কুরসুফ কে লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করানো মাকরুহ।কেননা ইহা হস্তমৈথুনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। (মাজমু'আতু রাসাঈলে ইবনে আবেদীন-১/৮৪-৮৫)(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি লজ্জাস্থানের ভিতরে আঙ্গুল প্রবেশ না করে বরং লজ্জাস্থানের বাহিরের অংশে তুলা রেখে দিবেন।যখন তুলাতে রক্ত দেখা যাবে, তখন থেকেই আপনি হায়েযকে গণ্য করবেন।